ওয়ারশোর নবজাগরণ ও বাঙালি
শাকুর মজিদ
সাইফউদ্দিন ভাই গাড়ি স্টার্ট দিলেন। গাড়িতে বাংলা গান। সঞ্জীব চৌধুরী গাইছেন, ‘এই নষ্ট শহরে, নাম না জানা যেকোনো মাস্তান…’।
পোল্যান্ডের এই ওয়ারশোর মতো সবচেয়ে বড়ো শহরেও খুব বেশি বাঙালি নাই। ২-৩ শ’র মতো। এবং এঁদের আগমন ঘটেছিল গেল শতকের আশির দশক থেকে। পোল্যান্ড সরকার তখন বছরে ৪টি বৃত্তি দিত বাংলাদেশি মেধাবী ছাত্রদের জন্য। সেই মেধাবী ছাত্ররা পড়তে আসত পোল্যান্ডে। তাদেরকে তখন অবশ্যই পোলিশ ভাষাটা শিখে ফেলতে হতো। ভাষা শিখে ফেললে যা হয়, অনেক সহজে এদের সংস্কৃতির সাথে মিশেও থাকা যায়। তখন পোল্যান্ড মাত্র জাগছে। সমাজতন্ত্রের জাল থেকে মুক্ত হয়ে গণতান্ত্রিক ও ধনতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার ভেতর দিয়ে এগোচ্ছে। সুতরাং পড়াশুনা শেষ করে এখানে নতুন চাকরি-বাকরি বা ব্যবসায় নিজেদের যোগ্য করে তুলতে আর কোনো সমস্যা নাই। তখন থেকে যাওয়ার চিন্তা করেছেন অনেকে। থেকেও গেছেন।
পোল্যান্ড সরকার তখন বছরে ৪টি বৃত্তি দিত বাংলাদেশি মেধাবী ছাত্রদের জন্য। সেই মেধাবী ছাত্ররা পড়তে আসত পোল্যান্ডে। তাদেরকে তখন অবশ্যই পোলিশ ভাষাটা শিখে ফেলতে হতো। ভাষা শিখে ফেললে যা হয়, অনেক সহজে এদের সংস্কৃতির সাথে মিশেও থাকা যায়।
বাঙালি যে সম্প্রদায়টি এখানে থেকে যান, তাঁরা উচ্চ পেশাজীবী। কেউ বড়ো ডাক্তার হয়েছেন, বড়ো হাসপাতালে, কেউ বড়ো প্রকৌশলী। কেউ আইন পেশায়ও আছেন। কেউ কেউ ব্যবসায়ী হয়েছেন।
পোল্যান্ড যেহেতু ইউরোপের লো প্রোফাইল দেশ হিসেবেই অনেকটা স্বীকৃত, তখন এসব বাঙালিকে ডাঁটের সাথে বসবাস ও কাজকর্ম করতে কোথাও কোনো সংকট হয়নি। ইউরোপের তখাকথিত উন্নত দেশগুলোর মতো সস্তা শ্রমের হিসেবে নয়, তারা উচ্চ পেশাজীবী হিসেবেই আরেকজন পোলিশের মতোই মিশে গিয়েছিলেন। এবং এই মেলামেশার ক্ষেত্রে, তাদের জন্য প্রধান অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছিল, পোলিশ রমণীরা।
পোলিশ রমণীরা এমনিতেই খুব সুন্দর এবং তারা অনেক বেশি স্বামী বৎসল। এক্ষেত্রে খুব সহজেই কোমলপ্রাণ বাঙালি যুবকদের মন জয় করতে তাদের কষ্ট হয়নি।
পোলিশ রমণীরা এমনিতেই খুব সুন্দর এবং তারা অনেক বেশি স্বামী বৎসল। এক্ষেত্রে খুব সহজেই কোমলপ্রাণ বাঙালি যুবকদের মন জয় করতে তাদের কষ্ট হয়নি। সে কারণেই সম্ভবত একজন মাত্র পেশাজীবী বাঙালি বাংলাদেশ থেকে স্ত্রী নিয়ে ওয়ারশোতে আছেন, বাদবাকী সবাই পোলিশ ললনাকে বিয়ে করে থেকে গেছেন।
এদের ক্ষেত্রে কেউ কেউ তাদের স্ত্রীকেও ধর্মান্তরিত করে মসুলমান করে ফেলেছেন, কেউ কেউ স্ত্রীর ওপর কোনো কর্তৃত্ব আরোপ করেননি। যে যার মতো নিজের ধর্ম পালন করছেন। সাইফউদ্দিন চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফল করে পোল্যান্ড এসেছিলেন ১৯৮৯ সালে। এর মধ্যে পোলিশ রমণী বিয়ে করে থেকে গেছেন। এখন ব্যবসা করেন। সফল ব্যবসায়ী। তার এক ছেলে এক মেয়ে।
তারাও ইউরোপীয় মুসলিম সংস্কৃতির ভেতর বড়ো হচ্ছে। কিছুদিন আগে তার ছেলেকে খৎনা করিয়েছেন। বলেন, এর আগে কোনো বাঙালি মুসলমানের খৎনা হয়নি এই শহরে, আমার ছেলেরটাই প্রথম। বলেন, ‘যদিও পোল্যান্ড খ্রিষ্টান প্রধান দেশ কিন্তু এখানে অন্য ধর্ম পালনে কোথাও কোনো বাধা নেই। আমি যখন হাঁসপাতালে গিয়ে ডাক্তারদের বললাম, তারা খুব যত্নের সাথে আমার ছেলের খৎনা করিয়ে দেন।
যদিও তারা দেশ ছেড়ে এসেছেন, কিন্তু কোনোভাবেই দেশের প্রতি মমত্ব ছাড়েননি কেউই। যদিও আফসোস করেন এই মনে করে যে, নিজের সন্তানদের ঠিকমতো বাংলাটা শেখানো সম্ভব হচ্ছে না। তবুও দেশজ কোনো অনুষ্ঠান বা আয়োজন থাকলে সবাই নিজের পরিবার নিয়ে এসে হাজির হন। বাংলা গান, বাংলা নাচ, বাঙালি সংস্কৃতির নানা বিষয় আশায় শেখানোর চেষ্টাও করেন তারা।
আমাদের গাড়ি ছুটে চলে নতুন ওয়ারশোর দিকে।
ছুটতে ছুটতেই গাড়ির জানালা দিয়ে দেখা হয় সিটি ওয়াল। এটিই ওয়ারশোর সেই প্রাচীন শহররক্ষাকারী প্রাচীর। চতুর্দশ শতকে যখন ওয়ারশ নগরী গড়ে ওঠে সেই একই সময়ে ওয়ারশো নগরীকে রক্ষার জন্য এই সুরক্ষা প্রাচীরটিও তৈরি করা হয়।
প্রাচীর দিয়ে শহর রক্ষা করার বিষয়টি এর আগে ইউরোপের অনেক শহরেও দেখেছি। ইস্তাম্বুলে ছিল শহর রক্ষা প্রাচীর, তরুনেও ছিল। চীন তো সেই দু’হাজার বছর আগে থেকেই নিজেদের রক্ষা করার জন্য দেয়াল বানিয়ে রেখেছিল খোদ পাঁচ শ বছর আগে পর্যন্তও। কিন্তু পোল্যান্ডে ষষ্ঠদশ শতাব্দীতে যখন প্রাচীরটি সংস্কার করা হয় তখন এর নতুন নকশা করে এই রক্ষাপ্রাচীরের কিছুদূর পরে পরে প্যারাপেট সমৃদ্ধ বড়ো বড়ো ফটক তৈরি করা হয়। এই ফটকগুলোই আসলে বারবিকান। প্রতিটি বারবিকানের দৈর্ঘ্য ১৪ মিটার, প্রাচীরের উচ্চতা থেকে ১৫ মিটার উঁচু প্রতিটি বারবিকান।
বহু যুদ্ধবিগ্রহ থেকে ওয়ারশো নগরকে কিছুটা হলেও রক্ষা করেছে এই প্রাচীর। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলারের নাৎসি বাহিনীর কাছ থেকে এর খুব একটা রক্ষা হয়নি। যুদ্ধপরবর্তীতে ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৫৪ সালের মধ্যে সপ্তদশ শতকের স্থাপত্য নকশাকে ধরে রেখে প্রাচীরটি আবার পুনঃনির্মাণ করা হয়।
আমরা ছুটতে থাকি নতুন শহরের দিকে।
ওয়ারশো নতুন শহর ও স্মৃতিসৌধ
সমাজতান্ত্রিক দীনতা ঝেড়ে ফেলে এই শহর যেন নতুন রূপ নিয়ে ফুটে উঠছে। আমরা বেশিদূর যেতে পারি না। রাস্তার পাশে একটি সৌধের সামনে এসে আমাদের গাড়ি থেমে যায়।
এটি ওয়ারশো জাগরণ স্মৃতিসৌধ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলারের নাৎসী বাহিনী যখন কয়েকবার মার খেয়ে পিছু হটতে থাকে তখন স্বয়ং হিটলার হুকুম দেন ওয়ারশো নগরীকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে। এরপরেই ওয়ারশো নগরীর ওপর বুলডোজার চালায় নাৎসী বাহিনী। এর প্রতিউত্তরে পোলিশ সেনাবাহিনীর সাথে সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সামগ্রিক যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে পোলিশ সাধারণ জনগণ, আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা নারী-পুরুষ। ১৯৪৪ সালের ১ আগস্ট সে যুদ্ধ শুরু হয়ে একটানা ৬৩ দিন পরে সেপ্টেম্বর মাসে এসে শেষ হয়। এটিই বিশ্ব ইতিহাসে ওয়ারশো জাগরণ হিসেবে পরিচিত হয়ে আছে।
এই ওয়ারশো জাগরণে যে সব সেনাবাহিনী এবং সাধারণ জনগণ নিহত হয়েছিলেন এবং অংশ গ্রহণ করেছিলেন তাদের স্মৃতির উদ্দেশে এই ক্রসিনস্কি স্কয়ারে স্মৃতিসৌধটি নির্মাণ করা হয়।
আর এই ওয়ারশো জাগরণে যে সব সেনাবাহিনী এবং সাধারণ জনগণ নিহত হয়েছিলেন এবং অংশ গ্রহণ করেছিলেন তাদের স্মৃতির উদ্দেশে এই ক্রসিনস্কি স্কয়ারে স্মৃতিসৌধটি নির্মাণ করা হয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ওয়ারশো নগরীর ধ্বংসস্তূপের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসছে পোলিশ সেনাবাহিনী। পেছনের খাড়া কলামগুলো ধ্বংসের মধ্যেও মাথানত না করার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
ওয়ারশো জাগরণ স্মৃতিসৌধের মূর্তিগুলো দুটো ভাগে বিভক্ত। একটি ভাগে ইনসার্জেন্ট ইউনিট। এটি মূলত সে সময়ে পোলিশ সেনাবাহিনীর যে সব সদস্য যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন এবং যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলেন তাদের প্রতিনিধিত্ব করছে। আর অপর অংশ ‘এক্সোডাস গ্রুপ’ এই অংশে মূলত যেসব সাধারণ জনগণ ওয়ারশো জাগরণ যুদ্ধে নিহত হয়েছে বা অংশগ্রহণ করেছিল তাদের স্মৃতির উদ্দেশে নির্মিত।
১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলেও এই স্মৃতিসৌধটিকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত অবগুন্ঠিতই থাকতে হয়েছিল। কারণ ওয়ারশো জাগরণ যুদ্ধে সোভিয়েত রেড আর্মির ভূমিকা সংক্রান্ত হিসাব নিকাশের বিরাট একটা সমস্যা ছিল। সে কারণে যখন ১৯৮৯ সালে সমাজতান্ত্রিক শাসনের অবসান হয় তখন এই স্মৃতিসৌধের অবগুন্ঠন তুলে নিয়ে উন্মুক্ত করা হয় জনগণের সামনে। এখন প্রতিদিনই দেশপ্রেমিক পোলিশরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে যান সেইসব বীর সেনানিদের।
আমরা ছুটতে থাকি নতুন শহরের রাস্তা ধরে। ওয়ারশোর যে অংশটাকে নতুন শহর বলা হচ্ছে তার জন্মও কিন্তু অষ্টাদশ শতকে। এইসব ভবনও কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ধ্বংস করা হয়েছিল। ওয়ারশো পুনঃজাগরণের পরে ১৯৫৪ সালের মধ্যে আবার এইসব ভবন সংস্কার করা হয়।
১৯৮৯ সালে সমাজতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা বিদায় নেওয়ার পর পোল্যান্ড অতিদ্রুতই পুঁজিবাদের সংস্কৃতি রপ্ত করে ফেলে। তার প্রমাণ এইসব অতি-আধুনিক দালানকোঠা। মধ্যযুগীয় স্থাপত্যরীতির দালানকোঠার পাশাপাশি ওয়ারশোর আকাশসীমা দখল করে ফেলছে অতি-আধুনিক স্থাপত্যরীতির দালানকোঠা। আর এইসব দালানকোঠাতে নির্মাণ সামগ্রী হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ইস্পাত আর কাচ।
নতুন ওয়ারশোয় এসব দৃশাবলী আমাদেরকে আর টানে-না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ক্ষত শুকিয়ে তারা যতই ওপরের দিকে যাক না কেন, আমরা বার বার তাদের সেই সব দুঃখ জাগানিয়া জায়গাগুলো ঘুরে ঘুরে দেখার জন্য অধীর হয়ে যাই।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলারের নাৎসীবাহিনীর হাতে এই এলাকার প্রায় ৩ থেকে ৪ লাখ লোক প্রাণ হারায়। যাদের অধিকাংশ ছিল ইহুদী। সে সময় এই এলাকার লোকজন অস্ত্রহাতে তুলে নেয় নাৎসী বাহিনীর বিরুদ্ধে। সে সমস্ত অস্ত্রের অধিকাংশই ছিল হাতে তৈরি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলারের নাৎসীবাহিনীর হাতে এই এলাকার প্রায় ৩ থেকে ৪ লাখ লোক প্রাণ হারায়। যাদের অধিকাংশ ছিল ইহুদী। সে সময় এই এলাকার লোকজন অস্ত্রহাতে তুলে নেয় নাৎসী বাহিনীর বিরুদ্ধে। সে সমস্ত অস্ত্রের অধিকাংশই ছিল হাতে তৈরি। এই এলাকার যোদ্ধাদের মধ্যে ইহুদীদের সংখ্যাই ছিল বেশি। সে সময় পুরো ওয়াশোর সমস্ত ইহুদী এক হয়েছিল এই Ghetto এলাকায়। যখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয় তখন এই এলাকায় হাতে গোনা মাত্র কয়েকজন ইহুদী জীবিত ছিলেন। পরবর্তীতে তারাও ইসরাইলে চলে যান।
কিন্তু তারপরেও ইহুদীরা বিশ্বের যেকোনো জায়গায়ই থাকুন না কেন জীবনে একবার হলেও এই মূর্তির সামনে এসে মাথা নত করে সেইসব বীরদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানাতে ভুল করেন না। যার প্রমাণ আমরা চোখের সামনেই দেখতে পাচ্ছি। তাজা ফুলে ফুলেল হয়ে আছে চত্বরটি।
এ জায়গাটি শুধু পোলিশদের নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ইহুদীদের একটা বড়ো শ্রদ্ধার জায়গা। প্রতিটি ইহুদীই মনে করে জীবনে একবার এসে যদি এই স্মৃতি সৌধে একটি ফুলের পাপড়ি রেখে যেতে পারি, তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত ইহুদীদের প্রতি তাদের কিঞ্চিত সমবেদনা দেখানো সম্ভব হয়। ইহুদীরা স্বজনদের প্রতি অনেক দরদী। যে কারণে এই স্মৃতিসৌধে প্রতিদিনই কোনো না কোনো ইহুদীকে এসে ফুল দিতে দেখা যায়।
আমরা আবার ছুটতে থাকি নতুন শহরের রাস্তা ধরে। পোল্যান্ড যখন ১৯৮৯ সালে ধনতান্ত্রিক বিশ্বে যুক্ত হলো তখন ওয়ারশোও পরিবর্তিত হতে থাকে। এবং এই পরিবর্তনটা ঘটে খুব দ্রুত। ওয়ারশো শহরের যারা বাসিন্দা তাদের চোখেও ধরা পড়ে এই পরিবর্তন।
১৯৮৯ সালের পরে ওয়ারশো যেমন ধনতান্ত্রিক বিশ্বের সাথে তাল মেলানোর জন্য প্রতিযোগিতা করছে তেমনি ধনতান্ত্রিক বিশ্বের মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো তাদের ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে হাজির হচ্ছে এই ওয়ারশো শহরে, আর যে কারণে এই আকাশছোয়া কাচের ভবনগুলো দিয়ে ছেঁয়ে দিচ্ছে ওয়ারশোর আকাশ সীমা।
ওয়ারশোর নতুন শহরের প্রশস্ত রাস্তা দিয়ে ঘুরতে-ঘুরতেই সূর্য পাটে বসে। ওয়ারশোর নতুন শহরের নিয়ন বাতিগুলো জ্বলে ওঠে। নিয়নের আলোয় রাতের ওয়ারশোকে দেখা হয়।
আকাশছোঁয়া সুউঁচ্চ ইমারতগুলোর ভিতর থেকে ঠিকরে পড়া আলোতে আমাদের পড়া হয়ে যায়, সমাজতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে অতি-অল্পসময়ে ওয়ারশো কতোটা এগিয়েছে।
ধারাবাহিকটির অন্য পর্বগুলো পড়ুন :
পোল্যান্ড : লেস ওয়ালেসার দেশ ।। পর্ব-০১
পোল্যান্ড : লেস ওয়ালেসার দেশ ।। পর্ব-০২
পোল্যান্ড : লেস ওয়ালেসার দেশ ।। পর্ব-০৩
পোল্যান্ড : লেস ওয়ালেসার দেশ ।। পর্ব-০৪
জন্ম ২২ নভেম্বর, ১৯৬৫। তিনি একজন বাংলাদেশি স্থপতি, নাট্যকার, তথ্যচিত্র নির্মাতা ও চিত্রগ্রাহক। ভ্রমণকাহিনি ও জীবনী সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি ২০১৮ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।