♥
বৃক্ষ জানে, এ পাখিজন্ম
……………লেশমাত্র কুটো
এই মৃত্তিকা সংরাগের
এই মৃত্তিকা ব্যথার
তবু, এরই ভিতর অনুগত এসে—
……………পাতায় বসেছে
অশ্রুপাত মিথ্যা জেনে
……..মর্মরে রেখে গেছে ধুলো
বৃক্ষ জানে এই পাখিজন্ম লেশমাত্র কুটো…
♥
জলাঞ্জলি থেকে উঠে আসা উত্তরের হাওয়া
লুকানো ছোবলের মতো—
পদ্মপুকুর ভাসিয়ে চলে গেছে
আত্মা কি অদাহ্য?
……….আটকে থাকে জলের ছায়ায়?
আয়ান-ই একমাত্র জেনেছিল—
মুক্তির-ও অধিক আমি জড়িয়েছিলাম
……………তার শিকলের মায়ায়…
♥
একলব্যের মতো একাগ্রতা অথবা প্রসন্নতায়
চূড়ান্ত ছুঁয়েছো যাকে, তার
নির্বিপাক ত্বকের আড়ালে বিপর্যস্ত প্রণয়
এও এক অদ্ভুত দহন!
তাপোতীর্ণ এবং নরম
অথচ সশঙ্কিত জ্বর পোহানোর দিনে
রক্তের ভিতর অনন্ত মধু ও ঝাঁপ!
এও তো নিছক প্রেম নয়;
……………………প্রেমের অহম…
♥
ক্ষুধার্ত
তবু গলা পর্যন্ত এসে পিছলে যাচ্ছে
…………………………যাবতীয় আহার!
নদী ছুঁয়ে থাকা—
তুমি সেই বিষণ্ণ প্রেমিক আমার
মৃতপ্রায় মাছের মতো নির্লিপ্ত!
ঝুঁকে আছো,
তবু একটা লাফের সাহস দেখাতে পারোনি
অপরূপ নিদ্রাগমনের ভিতর, এরপর
আমিও আর কোনো সংশয় রাখিনি
রাখিনি দেহলির সম্ভ্রম
♥
ঘর ও বাঁশি— একই সময়ে
বেঁচে থাকা এবং মরার উন্মত্ত বাসনা
কে যে উঠে আসে কার আগে!
একে অপরকে ডাকে নাকি রিফিউজ করে?
অসম্ভবের প্রবণতা নাকি নিয়ন্ত্রণের প্রতিভা—
……………………….কে কার অন্দরে ছায়া ফেলে!
কে কাকে অমায়িক বলো, এমন আঁচড়ায়?
ভরন্ত এই দুপুরে, নতমুখ,
……………স্পর্শ জ্বলে যায়…
জন্ম ১৯৭৩, ২৬ জুন। প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ছয়টি।