রবিবার, নভেম্বর ২৪

নির্বাচিত দশ কবিতা : ওবায়েদ আকাশ

0

জাতিসংঘের মরচেধরা চাবির জন্য কবি আবুল
হাসানের কোনোই দুঃখ ছিল না


ভাল আছি, খুব ভাল আছি? আবুল হাসান। রাত্রিদিন পৃথক পালঙ্কে শুয়ে অচিকিৎস্য আরোগ্যের পাশে তোমাকে দেখাচ্ছে ভীষণ আত্মবিশ্বাসী। রাজা যায় রাজা আসে আর আমাদের মাঠভর্তি ধানক্ষেত দীর্ঘকাল অরক্ষিত থেকে এবার বানের জলে ভাসে। যে তুমি হরণ করো তার টিকিটি ধরে একবার পচাডোবা এঁদো পুকুরের জলে নিক্ষেপ করে প্রশান্তির দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভেবেছিলে— এইবার দীর্ঘদিন তোমার লক্ষ্মী বোনটিকে নিরুপদ্রবে লাল শাড়িতে মানিয়ে নিতে পারবে বৈকি। অথচ তার নগ্ন নিমিত্ত দেখো : একদিন তোমার নিজের চিবুকের কাছেও ভীষণ একা হয়ে গেলে। আর একদিন এইসব অসহ্য সুন্দর তোমাকে মানিয়ে গেলেও— জাতিসংঘ তোমাকে মেনে নিতে পারেনি কখনো। আর সেই থেকে ভাবতে বসে গেলে : দুঃখের কোনো মাতৃভাষা থাকতে নেই কেন। কেবলই লাবণ্য ধরে— এমন পাথর, তার হিতাহিত ধরে টান দিতে গিয়ে একদিন মৃত্যু এসে তোমাকে নিয়ে গেল আবুল হাসান। তোমার বাবা যতদিন বেঁচে ছিলেন চামেলী হাতে নিম্নমানের মানুষ, ততদিন তোমার বাংলায় কোনো মৃত সুন্দরীকে গোর দিতে দেখেছিলে বলে মনে করতে পারছ না ভেবে— পুলিশ ও মানুষের মধ্যে যথার্থ বৈষম্যজ্ঞান তোমার আমৃত্যুই থেকে গিয়েছিল। তোমার উদিত দুঃখের দেশে পানপাতা হলুদ হতে হতে আমরা তো ভুলে গেছি নিসর্গের প্রকৃত বানান। তবু ভেবে দেখি, বেশ ভাল আছি (?), তুমি কেমন আছ আবুল হাসান!


প্রাক-বৈবাহিক


একবার আমাকে একটি বিবাহ-উপযুক্ত মেয়ের হস্তাক্ষর পাঠিয়ে বলা হলো, এই মেয়ে এতদিন জলেই বসবাস করেছেন; আর তার সাম্প্রতিক স্যাঁতসেঁতে প্রকাণ্ড শরীর রৌদ্রে শুকোতে দেয়া আছে। তার হস্তাক্ষরে এই যে কোথাও মাত্রা পড়েছে বা পড়েনি, আর এই যে যতিচিহ্নের কোথাও ভুল বা কোথাও সঠিক ব্যবহার— এসব কিছুই নাকি মেয়েটির যথার্থ যোগ্যতা বা দোষগুণ যেটাই ধারণা করা হোক। মেয়েটির উচ্চতা আমাদের মাঠভর্তি জলের সমান, অর্থাৎ এটা আমার আন্দাজ করে নেয়ার কথা। যা হোক, মায়ের কাছ থেকে পত্রমারফত এ সংবাদ জেনেই কিছু ব্যক্তিগত প্রশ্নপত্র তৈরি করেছি। আর ভাবছি, মীন রাজ্যের অধ্যয়ন পর্বে মেয়েটির দীর্ঘ বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এসব প্রশ্ন খুব একটা কমন পড়ার কথা নয়। আর তাহলে এভাবে হস্তাক্ষর পাঠিয়ে এক জননীর কোনো অনাথ যুবকের এ মতো মন ভোলানোর কোনো মানেই হয় না। ভেবে দেখছি, আমার অপেক্ষার দিনগুলো কী উৎকণ্ঠার! শীত কিংবা বর্ষাই আমার প্রিয় ঋতু হলেও ভাবছি, তাকে ভেজা জবুথবু নাকি শীতে কোঁকড়ানো দেখতেই বেশি আনন্দদায়ক হবে। আজ এই মুখর বর্ষণে ছাতা হাতে বৃষ্টি বাঁচিয়ে এমনতর ভাবনাগুলোই পোস্টাপিস অবধি পৌঁছে দিয়ে এলাম। আর তখনই আমার হঠাৎ মনে এলো— তাকে শেষ প্রশ্নটি করাই হয়নি যে, অবশিষ্ট জীবনে তিনি মীন ধর্মেই ফিরে যেতে আগ্রহী কিনা


রূপনগর


রূপনগর আমার হাত থেকে একদিন কেড়ে নিয়ে গেছে চালতার ব্যাগ। আমার প্রিয় চালতাফুল, যাকে বড় হতে দিয়ে একদিন ছ’টাকায় উঠে পড়ি এই নগরের ট্রেনে; সঙ্গে ইলিশ ভাজার ঘ্রাণ, কাগজী লেবু, অথৈ দীর্ঘশ্বাস… এই ফাঁকে মাটির হাঁড়িতে জল, শিং মাছের ঝোল— এই নিয়ে ট্রেনের কামরায় কামরায় কেউ গান ধরে দিলে ঝিলপাড় থেকে ডগাভাঙা দুবলার কষে কেউ কেউ ধুয়ে নেয় হৃদয়ের ক্ষত। আর তাতে বনমরিচ, বুনো বিছুটির মতো টগবগ করে ছুটে যায় ট্রেন উত্তরের দিকে। আর আমি দুধভরা গাভীর ওলান ভেবে দুই হাতে খুঁজে পাই পুরু ফ্রেমের তলে ফোলা ফোলা চোখের অসুখ। বাঁশবাগান, ঘাসফুল, প্রাচীন হালটের ঢালে বাতাবিলেবুর ফুলে এমন আষাঢ়ের দিনে, একদিন মৌমাছি তুলেছিল বৃষ্টির ভাষা; অথৈ সবুজ থেকে নুয়ে পড়া স্নেহের গভীরে বসে চালতাফুল, ক্রমে তারা ফিরে পায় বহুরঙ মানুষের রূপ।… রূপনগর, এই প্রিয় অভিবাস মুখরতা কোলাহলে ছায়াহীন ভালবেসে বসে আছে অজস্র স্টেশন শেষে


কৃষককন্যার কাব্যচর্চা


এক কৃষকের মেয়ে— কিশোরী সে— স্কুলে যায়— লোকজন বলে— প্রতিটি সকালে— না যদি সূর্য ওঠে— একমুঠো কাঠের আগুনে— পৃথিবী কি আলোকিত হয়?

প্রতিবেশী আমি— এমনই কিশোরী সে— রাত করে ছড়া-পদ্য লেখে— কেবলই আমাকে চেনে— আর ভাবে মনে মনে— একদিন তুমিও কিশোর— প্রেমপদ্য লিখে শেষে— ছুড়েছ আগুনে— আমি তার পদ্য ঘেঁটে পাই— রূপের আগুনে তার— পতঙ্গেরা পুড়ে পুড়ে— কত হলো ছাই— আরো লেখে মেয়ে— অন্যত্র তুষের আগুন— কৃষক পিতাকে তার— আজন্ম জ্বালিয়েছে— তারো চে’ দ্বিগুণ— আমি তাকে বলি— রূপের সীমানা যদি— খেয়ে যায় ঘুণে— ছড়া-পদ্য লিখে মেয়ে— তুমিও ছুড়বে আগুনে—

আমার রচনাবলি— চারিদিকে বারুদের ঘ্রাণে— একদিন জেনো তারা— গড়াবে ধুলায়— আর তুমি কৃষককন্যা— একমুঠো কাঠের আগুন— প্রতিদিন দেখা হবে— তারায় তারায়


রক্তের ধারা


মাছবাজারে যে মাছটির দরদাম নিয়ে
কথা কাটাকাটি হাতাহাতির দিকে যাচ্ছিল—
তার পাশের ডালা থেকে একটি কর্তিত কাতলের মাথা
আমার ব্যাগের ভেতর লাফিয়ে ঢুকে গেল

তখন মস্তকবিহীন কাতলের অবশিষ্ট দেহের দিকে তাকাতেই
আমার সমস্ত শরীর রক্তে লাল হয়ে গেল

কাতলের যিনি প্রকৃত ক্রেতা ছিলেন
মানিব্যাগ থেকে মূল্য পরিশোধ করে বললেন—

“এ নিয়ে কিছু ভাববেন না হে
আজকাল মাছেরা যেভাবে রক্তপাত করতে শুরু করেছে
এভাবে চললে আপনি-আমি সবাই এমন রক্তে নেয়ে যাবো”

তৎক্ষণাৎ বাজারের সকল মৎস্যবিক্রেতা যার যার রক্তের ধারা
আবিষ্কার করতে ব্যস্ত হয়ে গেল

কেউ বলল: আমি সেন বংশজাত, আমি পাল বংশোদ্ভূত, আমি…

এবং দেখা গেল, বাজারে যে ক’জন ক্রেতা ছিলেন
শুধু তারাই ছিলেন মীনবংশজাত

যারা নিজেরাই নিজেদের মাংস ভক্ষণ করতে
বাজারে এসে কথা কাটাকাটি থেকে রক্তারক্তি পর্যন্ত চলে যেতে পারে


শিশুপুত্রের অভিলাষ


টেবিল থেকে লাফিয়ে নামছে কবিতার খাতা

আমার শিশুপুত্র কবি হতে চেয়ে বায়না ধরেছে এবছর

খাতাটি লাফিয়ে নামছে মাটিতে আর
ছেলেটি তার নিচ দিয়ে অনায়াসে ঢুকতে পেরে
এক অসামান্য খেলায় মেতে উঠেছে

পড়ে যাওয়া খাতার শরীরে হাত দিয়ে দেখি
তপ্ত জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে গা
ছেলেটি মা মা করে কাঁদছে
আর বাবার সংগ্রহ থেকে
একটি একটি ঘুমের পিল বিরামহীন খাইয়ে চলেছেন মা

এবং ভোর হতে না হতেই স্নানঘরে ঢুকে
প্রতিটি কবিতার গায়ে অঝর ধারায় জল ঢেলে দিচ্ছে

পঙ্ক্তিগুলো আরো জল আরো জল বলে
শরীর থেকে সমস্ত বসন খুলে
নিজেদের গা ছেড়ে দিল অমৃত ধারায়

এই এক শিশুপুত্র প্রতিদিন একটি-দুটি শব্দ
সারারাত জলে ভিজিয়ে রেখে ভোর বেলা
বাবার হাতে তুলে দিয়ে ভীষণ তৃপ্ত হচ্ছে আজকাল

আমার ঘরভর্তি জ্বরতপ্ত খাতা আর শিশুপুত্রের
ভেজা কোমল শব্দগুলোর ভেতর একপ্রকার
যোগসূত্র নির্ণয় করতে চেয়েছি

বিপরীতে আজকাল তারা আমার নিঝুম উঠোনের
শরীরের উত্তাপ নিয়ে গবেষণাগার ভারি করে তুলছে—


গোরখোদক


আলাউদ্দিন, গোরখোদক
একটি একটি কবর খোঁড়ার পর
সারারাত নিজের জন্য স্বনির্মিত কবরেই ঘুমিয়ে থাকে

তার দেহখানা আলনায় ঝুলিয়ে দেয় আর
আত্মাটাকে খুলে রেখে কবরের দরজা ভেজিয়ে দেয়

গোরস্থানে আলাউদ্দিন এক স্বনামখ্যাত ডাক
তার মুখভর্তি ছোটবড় কাচের আসবাব
বুকভর্তি রাজপথ এবং
চোখভর্তি হরপ্পা-মহেঞ্জোদারো সভ্যতার বিস্মৃতি

সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে আলাউদ্দিন যা করে :
কখনো কাকতাড়–য়া আবার কখনো
বাঘের চামড়ায় ঢেকে নিজেকেই দাঁড় করিয়ে দেয়
গোরস্থানের মূর্তিমান মনুষ্য-আতঙ্ক করে

আর ভাবে মনে মনে, পৃথিবীতে দৈর্ঘ্যকে প্রস্থ আর
প্রস্থকে দৈর্ঘ্য বানানো গেলে
এই প্রকার মনুষ্য-আতঙ্ক একদিন
মানুষের প্রস্থানকেও প্রতিরোধ করার শক্তি যোগাবে!
অভিধান থেকে ইতিহাস— গোরখোদক শব্দটি
কোথাও থাকবে না আর

হঠাৎ চিৎকার করে কবরের ভেজানো দরজায় লাথি মেরে দেখে
কে যেন তার খুলে-রাখা পুরনো আত্মাটি
হাতিয়ে নিয়ে গেছে
এবং নিজেকে আবিষ্কার করে একটি নতুন আত্মার মুখোমুখি

আলাউদ্দিন, গোরখোদক
অভিধাটি আজকাল কেউ ব্যবহার করে না আর


মিশেল ফুকো ও মামুন হুসাইনের চিকিৎসাপদ্ধতি


মিশেল ফুকো পাগলাগারদের বৃত্তান্ত বোঝেন
তার প্রতিটি অস্থিসন্ধির প্রলাপ— ভিসুভিয়াসের উত্তপ্ততায়
মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে অকৃত্রিম অনুরাগীকুলে

পাশ্চাত্য-যৌনতার উন্মুক্ততা ও অবদমন বিষয়ক তর্ক কিংবা
স্বভাব মনোবিকলনকালে, যখন তিনি হেঁটে হেঁটে
আমাদের মধ্যরাত্রিক চেতনার উদ্যানজুড়ে বসিয়ে দেন মীমাংসা;—
আমরা কি তখন ততটাই প্রলাপমুখর গভীর তন্দ্রায়?

কিংবা আমাদের প্রতিদিনের কারাগারের অবিশ্বাস্য বোঝাপড়ায়
যখন মিশেল ফুকো দাম্পত্যে, প্রেমে, রান্নাঘরে, বাথরুমে
অফিসে, বক্তৃতায়, সংগ্রামে, সৈকতে— ঘরে ঘরে পাঠ্য হয়ে ওঠেন—
আমরা তখন ফুকোর চকচকে টাক উঠোনের আমগাছের ছায়ায়
বিছিয়ে নিয়ে দল বেঁধে দিবানিদ্রায় যাই—

আজ প্রাচ্য কিংবা পাশ্চাত্যে দর্শন ও শল্যচিকিৎসার
করুণ পরিণতিজুড়ে একদিন আমাদেরও খোয়াবনামায়
জুড়ে বসেছিল মিশেল ফুকোর আসমান-সমান প্রকা- ছায়া

তবু ফুকো আমাদের প্রতিদিনের আসবাবপত্র ঝাড়মোছ
ঘষামাজায় কতটা কি যোগান না যোগান, তার চেয়ে বড়
তিনি আমাদের অগণিত প্রধান সড়কের পাশে পদ্মপাতার
অসংখ্য শুশ্রƒষালয় ফেরি করে ফেরেন ফরাসি ভাষায়—

তখন আমি আমাদের অসামান্য কথাকার, মনোচিকিৎসক
মামুন হুসাইনের শরণাপন্ন হলে— তিনি আমাকে তার উপন্যাস
ও গল্পের বিভাষায় একটি টাকা আটকানোর রাবার বাঁহাতে লাগিয়ে
চলতেফিরতে ও সময়মতো টেনে আবার শরীরে ছুড়ে মারতে বলেন!
তাতে আমি যেমন চিৎকার করে সুস্থ হয়ে উঠি;
তেমনি দিনদিন মামুন হুসাইনের অন্ধ ভক্ত হয়ে— প্রতিদিন তার
কোলেপিঠে চড়ে মিশেল ফুকোর বেবাক গল্প শুনি


বাবার গন্ধ


আমার আড়াই বছরের কন্যা
ফ্রিজ থেকে একটি পুরনো সেভেন-আপের বোতল বের করে
তার মায়ের হাতে দিয়ে বলল:
“মা দেখো, এটা বাবার গন্ধ”

শুনে আমরা বিস্মিত হলাম। এবং বোতল শুঁকে বুঝলাম:
কোনোদিন তাতে বিশেষ ধরনের পানীয় জমা রাখা ছিল

গতকাল রাতেও আমরা পেপসি-রঙের
বিশেষ পানীয় পান করেছি প্রকাশ্যে—
আমাদের ভীষণ পেপসি-প্রিয় মেয়ে একবারও আগ্রহ করেনি
পেপসিতে চুমুক বসাতে—

এবারও আমরা বিস্মিত হয়েছি। এবং
আজও যখন তার কারণ খুঁজতে জামতলা থেকে ছাতিমতলা
ইতিহাস ঘেঁটে চলেছি—
মেয়েটি এসে বাবার গন্ধের সাথে
পরিচয় করিয়ে মীমাংসা খুঁজে দিল—

তবে কি সম্পূর্ণ কথা না-ফোটা সন্তান
‘বাবার গন্ধ’ নামের
নতুন এক গন্ধ আবিষ্কার করে
তার প্রতি অনাগ্রহ দেখিয়ে চলেছে?

নাকি বাবার জন্য যা প্রযোজ্য
নিজের জন্য তাকেই বর্জ্যনীয় ভাবতে শিখেছে?


সুলতানপুর, ১৯৭৭


ঘুমের ভেতর চিৎকার দিলে
বুকে টেনে নেন মা
আর মধ্যরাতের টিউকল থেকে অঝরে জল ঝরে পড়ে

আমি আবার ঘুমিয়ে পড়ি
ভোরবেলা জেগে উঠে মায়ের জন্য হাহাকার করি রোজ
কলপাড়ে যাই, কান্নাভেজা চোখ ধুয়ে মাকে পৌঁছে দেই মালতী-জবা

মা আমার কবরের গভীরে শুয়ে ঘ্রাণ নিতে নিতে
বাড়িভর্তি আলো-হাওয়ায় একাকার হয়ে যান—

আর সন্ধেনাগাদ মিশে যান অন্ধকারের দেহে

এখনো ঈশ্বরের সান্নিধ্যের চেয়ে
সন্তানের স্পর্শ অধিক ভালবাসেন মা

আর তাই সন্তানের দেখভালহেতু
প্রতিটি দিনরাত্রিকে কেমন বশ মানিয়ে নিয়েছেন

শূন্য বাড়ি পেলে— এ-ঘরে ও-ঘরে যান

মায়ের এপিটাফ জুড়ে যতই উজ্জ্বল থাকুক
হাজেরা বেগম, সুলতানপুর
মৃত্যু : জানুয়ারি ১৯৭৭


ফুটনোট: লেখকের নিজস্ব বানানরীতি অক্ষুন্ন রাখা হয়েছে।

শেয়ার করুন

লেখক পরিচিতি

জন্ম ১৯৭৩ সালের ১৩ জুন, বাংলাদেশের রাজবাড়ী জেলার সুলতানপুর গ্রামে। একাডেমিক পড়াশোনা বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। পেশা: সাংবাদিকতা। কবিতা, প্রবন্ধ, অনুবাদ, সম্পাদনা, মুক্তগদ্য— সব মিলে গ্রন্থসংখ্যা ৪৬টি। মৌলিক কাব্যগ্রন্থ: ২৬টি। ১৯৯৯ সাল থেকে সম্পাদনা করছেন অধুনাবাদী চিন্তার লিটল ম্যাগাজিন ‘শালুক’।

উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ: ‘পতন গুঞ্জনে ভাসে খরস্রোতা চাঁদ’ (২০০১), ‘কুয়াশা উড়ালো যারা’ (২০০৫), ‘প্রিয় কবিদের রন্ধনশালায়’ (২০১১), ‘রঙ করা দুঃখের তাঁবু’ (২০১২), ‘বিবিধ জন্মের মাছরাঙা’ (একটি দীর্ঘ কবিতা, ২০১৩), ‘তথ্যসূত্র পেরুলেই সরোবর’ (২০১৮), ‘পৃষ্ঠাজুড়ে সুলতানপুর’ (২০২০), ‘নকশিকাঁথায় তুলেছিলে জাতকের মুখ’ (২০২৩) প্রভৃতি।

Translated Book: Faux Assassin (A Poetry Collection, 2019)

শিশুতোষ গ্রন্থ: ভূতের বাপের শ্রাদ্ধ (২০১৯)।

পুরস্কার: এইচএসবিসি-কালি ও কলম তরুণ কবি পুরস্কার ২০০৮। কলকাতা লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্র পুরস্কার ২০০৯। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি লিটল ম্যাগাজিন পুরস্কার ২০২২। নর্দার্ন বিশ্ববিদ্যালয় সম্মাননা পদক ২০২৩।

error: আপনার আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় ।