গল্পটা দু-রকম।
এক গল্পে কলেজে তোমার চেয়ে কম ইংরেজি পারা ইংরেজি শিক্ষকের কাছে মুখ বুজে অপমান সহ্য করে বাসায় ফিরছ তুমি। ধূসর স্মৃতিপটে ভাসছে তোমার সব ব্যর্থতার চিত্র। কীভাবে তুমি কেবল শিক্ষকের চোখেই না, বাবা-মা, সহপাঠী এমনকি প্রেমিকার কাছেও ব্যর্থ। বাবা-মা আর শিক্ষকের কাছে ব্যর্থ তুমি একই কারণে—তোমার বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে তারা অবহিত না। এমনকি তুমি কতটুকু জানো, সেটাও তারা জানে না। তোমার বুদ্ধিমত্তার জানান দিতেও তুমি উদাসীন। কেননা তুমি একজন নৈরাশ্যবাদী। যার কাছে সকাল আটটায় উঠে কলেজ যাওয়া থেকে শুরু করে, ক্লাসে পেছনে বেঞ্চে বসা সহপাঠীদের বাংলা ম্যাডামের বক্ষবিভাজিকা নিয়ে আলাপ, ক্যারিয়ার সচেতন সহপাঠীদের টিফিনের সময়ও বইয়ে মুখ বুজে বসে থাকা, সিটিতে দুই নম্বরের জন্য কই মাছের মতো তিড়িংবিড়িং করে স্যারের কাছে তেড়ে যাওয়া—পুরোটাই খুব আঁতেলমার্কা মনে হয়। আর এই কলেজ থেকে পাশ করে চাকরিতে ঢোকা, কর্পোরেট ল্যাডারে তেল দিয়ে ওপরে ওঠার প্রচেষ্টা, সব তোমার কাছে লাগে অনর্থক। কেননা তুমি ধ্বংসবাদী। তুমি ধ্বংসে বিশ্বাসী। তুমি বিশ্বাস করো এই মহাবিশ্বে তুমি অতি ক্ষুদ্র একটা কীট, যে পুরো পৃথিবীসমেত ছুটে চলছে কৃষ্ণগহব্বরের উদ্দেশে।
এমন সময় মাথাটা তোমার চিলিঙ্গি দিয়ে উঠল। ধপাস করে পড়ে গেলে মাটিতে। আশপাশ থেকে মানুষ এসে ধরে তুলল তোমায়। এবার ব্যথায় কুঁকড়ে গেলে একদম, গগণবিদারী চিৎকার করে উঠলে। ক্লাসে তোমার সামনের বেঞ্চে বসে যে, যাকে তুমি বিশেষ গুরুত্ব দাওনি কখনোই, সে তোমাকে ধরে নিয়ে গেল হাসপাতালে। যোগাযোগ করল তোমার বাবা-মার সাথে। আর্জেন্ট সিটি স্ক্যানের ব্যবস্থা করতে হলো। তারা এলে আধা লিটার পানি খাইয়ে তোমার মাথা ঢুকিয়ে দেওয়া হলো মেশিনের ভেতর।
আশপাশ থেকে মানুষ এসে ধরে তুলল তোমায়। এবার ব্যথায় কুঁকড়ে গেলে একদম, গগণবিদারী চিৎকার করে উঠলে। ক্লাসে তোমার সামনের বেঞ্চে বসে যে, যাকে তুমি বিশেষ গুরুত্ব দাওনি কখনোই, সে তোমাকে ধরে নিয়ে গেল হাসপাতালে। যোগাযোগ করল তোমার বাবা-মার সাথে।
বাইরে তাকিয়ে দেখতে পাও তোমার বাবা-মা করুণ চোখে জানালা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে। তাদের চোখে মুখে দুশ্চিন্তার ছাপ দেখে ভালো লাগছে তোমার খুব। পাশবিক আনন্দ হচ্ছে। বেশিরভাগ আত্মহননই তো ঘটে কাউকে না কাউকে শাস্তি দিতে। তুমি সেই শাস্তি দেওয়ার আনন্দ উপভোগ করছ এখনই। কীসের শাস্তি? প্রথমত, তোমাকে তারা ধরিত্রীতে এনেছে তোমার অনুমতি ছাড়াই। এর উপর তারা চাপিয়ে দিয়েছে হাজারও প্রত্যাশার বোঝা। তারা চেয়েছে তাদের অপূর্ণতাগুলো তোমাকে দিয়ে পূরণ করাতে। তারা কৈফিয়ত চেয়েছে তোমার কাছে, এতদিন মানুষ করেছে কোলেপিঠে, এখন তারা যা চায়, তাই দিতে। তুমি তা দিতে নারাজ। তারা বলে, তারা নাকি তোমার জন্যই সংসার করছে শুধু। তাদের প্রত্যাশা ছিল, তোমার আগমনই তাদের ভয়ংকর, বিষপূর্ণ সম্পর্কটা ফুলের মতো করে দিবে। সুন্দর ইতি ঘটবে।
কিন্তু আদতে যে সুন্দর ইতি হয় না! হ্যাপি এন্ডিংয়ের অর্থ হচ্ছে অসমাপ্ত কাহিনিতে দাড়ি বসিয়ে দেওয়া। হায়! বোকারা তা বোঝেনি। তুমি আসার পর কিছুদিন হয়তো সুখে ছিল তারা, মেতে ছিল পৃথিবীতে নতুন প্রাণ নিয়ে আসার সফলতা নিয়ে। কিন্তু যেই তুমি বড়ো হলে—তুমি দেখে আসতে লাগলে ভয়ংকর সব বচসা, শুনতে শুরু করলে জঘন্য সব কথা। ‘কুত্তার বাচ্চা, আর একটা কথা বলবি তো তোরে, তোর বাচ্চাডারে জবাই কইরা নিজে ফাঁস নিমু।’
শুনে তুমি ভয়ে কাঁপতে।
যদি স্কুলে যাওয়ার আগে দেখতে বাসায় ঝগড়া হচ্ছে, তাহলে তুমি ক্লাসের ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে থাকতে প্রতিটা মিনিট, প্রহর গুনতে ছুটির। মস্তিষ্কে নানা বিদঘুটে চিত্রের ঝড় বয়ে যেত। দেখতে তোমার বাবা ফাঁস নিয়েছে, আর মা চেয়ারে বাঁধা, গলায় বটির কোপ। দৌড়ে বাসায় ফিরে দেখতে কিছু হয়নি। হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেও কাদঁতে কিছুক্ষণ বারান্দায় বসে। এসব কিছুর শাস্তি দিতে পেরে তোমার ভালো লাগছে খুব। প্রতিশোধস্পৃহায় এত উন্মত্ত, যে নিজের অসুখের প্রতিই উদাসীন হয়ে পড়ো তুমি।
সিটি স্ক্যানের রিপোর্টে চোখ বুলিয়ে ডাক্তার বাইরে যেতে বলে তোমাকে, সে কথা বলতে চায় তোমার বাবা-মার সাথে একান্তে। কিন্তু ডাক্তারের চেহারা দেখে তুমি আঁচ করে ফেলতে পারো কী হয়েছে তোমার। বাবা-মার চেহারা দেখে বুদ্ধিমান তুমি এ-ও আঁচ করতে পারো, তোমার হাতে বেশি দিন নেই।
খানিকটা মিশ্রপ্রতিক্রিয়া নিয়ে বাসায় ফেরো তুমি। মাথাটা ঝিমঝিম করতে থাকে। কিন্তু তোমার যে খুব আফসোস হচ্ছে, তা না। তুমি কি খানিকটা খুশি?
২.
কিন্তু প্রতিবার সূর্য ডোবার সাথে তোমার মনের মাঝে এই ক্ষীণ আনন্দ হতে থাকে ক্ষীণতর। তোমার অবস্থা খারাপ হয় ক্রমশ। মাঝে মাঝে ব্যথার তীব্রতা এত বাড়ে, যেন ইচ্ছে করে নিজেই রিভলভার দিয়ে মাথায় গুলি ঠুকে টিউমারের কাজকে ত্বরান্বিত করতে। বমি হয় দিনে কয়েকবার করে। এত ব্যথা তোমার অস্তিত্বের অর্থহীনতাকে আরও বেশি করে মনে করিয়ে দেয়। এখন তুমি দিনাতিপাত করছ চরম বেদনায়, বিষাদে। তোমার স্মৃতি উলটে-পালটে যায় দিনদিন, ভুলে যেতে থাকো সব কথা। কিন্তু একটা স্মৃতি তোমার মস্তিষ্কে জাজ্জ্বল্যমান হয়ে থাকে। তাতিয়ানার কথা। তাতিয়ানা তোমার প্রেমিকা। যার কাছে তুমি এক ব্যর্থ প্রেমিক তো বটেই, ব্যর্থ মানুষও। তুমি তাকেও শাস্তি দেওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকো, তোমার মনে হয়তো মৃদু ঝংকার বাজে আনন্দের। তুমি আশা নিয়ে থাকো, কবে তাতিয়ানা এসে দাঁড়াবে দরজায়, কাঁদবে অঝোরে। কান্নার জলের সাথে তাতিয়ানার অপরাধবোধ আর তোমার প্রতিশোধের আনন্দ ঝড়ে পড়বে।
ওই তো, কে যেন এসে দাঁড়িয়েছে দরজায়। কাঁদছে সে। তাতিয়ানাই কী? ঝাপসা চোখে শরীরী অবয়ব তৈরি করে আর ফোসফোস করে কান্নার শব্দ শুনে তুমি নিশ্চিত হও, এটা তাতিয়ানাই। কিন্তু আনন্দিত হওয়ার বদলে হৃদয়টা দুমড়ে মুচড়ে যায় তোমার। ঘূর্ণায়মান রিলের মতো ছপছপ করে একের পর এক রিল ভাসে চোখে। প্রতিটা রিলেই তুমি তাতিয়ানার পাশে রিকশায় বসে থাকো, তবু প্রতিটা স্মৃতিই স্বতন্ত্র। এক স্মৃতিতে হুড-তোলা রিকশার নিচে আস্তে আস্তে তোমাদের দুজনের কনিষ্ঠা লেগে আসে। আরেক স্মৃতিতে মুষলধারে বৃষ্টির নিচে ভিজে জুবুথুবু হয়ে থাকো দুজন, বৃষ্টি থেকে রক্ষা করার ব্যর্থ প্রয়াস চালায় পলিথিন। আবার দেখো প্রচণ্ড শীতে একই শাল জড়াজড়ি করে বসে থাকো দুজন, আর ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে থাকে তোমাদের দিকে দুটো মেয়ে। তাতিয়ানা তখন জিভ দেখিয়ে ভেংচি কেটে দেয় তাদের। তুমি খিলখিল করে হেসে ওঠো। সেই কনিষ্ঠা আঙুল মেলার দৃশ্য থেকে কখন তানিয়ানা তোমার মাস্ক খুলে নিয়ে মুখ ঘুরিয়ে ঠোঁটে চুমু খাওয়ার দৃশ্য এসে পড়ে দপ করে, তা তুমি টেরও পাও না। তোমাকে ঘিরে ধরে এক রাশ ভোঁতা বেদনা।
বিয়ের মানে তোমার কাছে দুটো মানুষের যৌন চাহিদা পূরণের জন্য রাষ্ট্র থেকে পাওয়া অনুমতি; প্রেম মানে দুজন দুজনের কাছ থেকে যা শুনতে চায়, কেবল তাই বলা— হোক সে মিথ্যে।
সত্যিই তো, কী দোষ ছিল তাতিয়ানার? দোষ যা আছে, সব তো তোমারই। তুমি কি তাকে বলোনি, জগৎ সংসারের আর সবকিছুর পাশাপাশি বিয়েও কেমন অনর্থক তোমার কাছে? সে যখন নিজের স্বপ্নের কথা বলত, তোমাদের বিয়ের পর ছোটো একটা ঘর থাকবে জঙ্গলের পাশে, নিভৃতে, থাকবে দুটো ছোটো ছোটো বাচ্চা। তখন তার সমস্ত স্বপ্নে পানি ফেলে দিয়ে তুমি কী বলেছিলে? বলেছিলে, বিয়ের মানে তোমার কাছে দুটো মানুষের যৌন চাহিদা পূরণের জন্য রাষ্ট্র থেকে পাওয়া অনুমতি; প্রেম মানে দুজন দুজনের কাছ থেকে যা শুনতে চায়, কেবল তাই বলা— হোক সে মিথ্যে। যেদিন তোমরা দুজনের মিথ্যা আশ্বাস শুনে আনন্দ পাবে না আর, বা বলার ইচ্ছা থাকবে না, সেদিনই কর্পূরের মতো এক নিমিষে উবে যাবে তোমাদের প্রেম—এমন উদ্ভট সব কথা। তাহলে তাতিয়ানা যখন বাবা-মার পছন্দে বিয়ে করে ফেলল অন্যকে, তখন কেনই-বা পুষেছিলে এত রাগ? না, মানে, তোমার কাছে তো বিয়ে মানে দুটো মানুষের যৌন চাহিদা পুরণের ছুতো-ই। তাই নয় কী?
হায়! তাতিয়ানার বদলে অপরাধবোধে নিজেই ভুগছো তুমি এখন। সব কেন উলট-পালট হয়ে যাচ্ছে এমন? তোমার কেন ইচ্ছা করছে আরও কিছুদিন বাঁচতে? কেন তাতিয়ানার মতো নিরীহগোছের একটা মেয়ে, যে এত স্বার্থপর মানুষের মাঝে বিনা স্বার্থে ভালোবেসেছিল তোমাকে, তাকে দূরে সড়িয়ে দিয়েছিলে ওভাবে? কেনই-বা এখন আবার চাইছো সব ভুল ঠিক করে নিতে, তাতিয়ানাকে বিয়ে করতে?
আহারে, দুয়ারে দাঁড়ায়ে তোমার বাবা-মাও দেখছি কাঁদছে একজন আরেকজনের কাঁধে মাথা রেখে। তোমার মায়া হচ্ছে কেন এত? তুমি তো নিষ্ঠুর হতে চেয়েছিলে! তোমার কেন ইচ্ছে করছে উঠে গিয়ে তাদের জড়িয়ে ধরে তাদের ধন্যবাদ দিতে, তোমাকে সামান্য ভ্রূণ থেকে সাড়ে পাঁচ ফুটের মানুষে পরিনত করার জন্য? কেন তোমার আজ ইচ্ছা করছে বাইরে গিয়ে সবুজ ঘাসে, শরতের মেঘের নিচে বসে টিং টং করা আইস্ক্রিমওয়ালার কাছ থেকে কুলফি আইসক্রিম কিনে খেতে?
ওই যে তোমার ইংরেজি শিক্ষক—যে তোমার চেয়ে কম ইংরেজি পারে, যে নিৎশে পড়ে না, কীয়ের্কেগার্ড পড়ে না, অথচ তোমাকে ইংরেজি নিয়ে শাসায়। ওই যে তোমার সেই ক্লাসমেট, যার পিঠে ভুলে কলমের কালি লাগানোয় সে তোমার কাছে লন্ড্রি ওয়াশের টাকা দাবি করে, না দিতে চাইলে শার্টের কলারে ধরে। এসব মানুষের জন্য মায়া হয় তোমার।
এতসব মানুষ ঘিরে রেখেছে তোমার বিছানা, কারা এরা? ওই তো চিনতে পারছ একে একে, ওই যে তোমার মেজো চাচা—যে জমি নিয়ে বিবাদ করেছে তোমার বাবার সাথে, যাকে তুমি দু-চোখে দেখতে পারো না। ওই যে তোমার ইংরেজি শিক্ষক—যে তোমার চেয়ে কম ইংরেজি পারে, যে নিৎশে পড়ে না, কীয়ের্কেগার্ড পড়ে না, অথচ তোমাকে ইংরেজি নিয়ে শাসায়। ওই যে তোমার সেই ক্লাসমেট, যার পিঠে ভুলে কলমের কালি লাগানোয় সে তোমার কাছে লন্ড্রি ওয়াশের টাকা দাবি করে, না দিতে চাইলে শার্টের কলারে ধরে। এসব মানুষের জন্য মায়া হয় তোমার। আর হুট করে মনে পড়ে তুমি কখনো স্ট্রবেরি খাওনি! কখনো যাওনি রোমে, বার্লিন, টোকিয়ো, হেলসিংকি, ইস্তানবুল! কত কিছু দেখা বাকি, কত স্বাদ নেওয়া বাকি! কত অজানারে!
ভাবতে ভাবতেই চোখ দিয়ে শেষ অশ্রু বেড়িয়ে পড়ে তোমার।
ফুসফুসও যেন-বা চোখের সাথে সম্মতি জানিয়ে ত্যাগ করে শেষ নিশ্বাস।
তুমি মারা যাও, কবরে যায় তোমার রক্ত মাংসের নিথর দেহ। সাথে কবরে যায় তোমার হাসি, তোমার কণ্ঠ, তোমার রাগ, ইন্দ্রীয়, তোমার আফসোস, তোমার আশা, তোমার হতাশা, তোমার অনুশোচনা। তোমার যে কলেজ থেকে আসার পথে আখের শরবত খেতে খুব ভালো লাগত, ভালো লাগত কেউ তোমার কবিতার প্রশংসা করলে, মারা যায় সেই ভালোলাগা গুলোও; তোমার যে বাবা-মা-র মারামারি করার রক্তাক্ত স্মৃতি ভেসে উঠলে গুলিয়ে আসত গা, তাতিয়ানার অভিমানে কিলবিল করা হাজার শব্দের যেই চিঠি পড়ে চাবি দিয়ে চিড় মেরেছিলে হাতে—কবরে যায় সেই ভয়ংকর স্মৃতিগুলাও। কবরে যায় তোমার দর্শন, তোমার বুদ্ধিমত্তা, তোমার নৈরাশ্যবাদী হওয়ার মধ্যে যে হালকা অহংকার খুঁজে পেতে, সেই অহংকার।
৩.
অথবা, গল্পটা আরেকরকম হতে পারে। যেখানে তোমার ব্রেইন টিউমর হয় না। তোমাকে ধরে হাসপাতালে নেওয়ার সুযোগও পায় না কেউ। ইংরেজি শিক্ষকের কাছে চরমভাবে অপমানিত হয়ে হেঁটে বাসায় ফিরতে ফিরতেই কার্ডিয়াক এরেস্টে মারা যাও। কোন গল্পটা বেছে নিতে চাও তুমি?
কীভাবে মারা যেতে চাও? কার্ডিয়াক এরেস্টে নাকি ব্রেইন টিউমরে? ধুকে ধুকে নাকি হুট করে? যেই গল্পে তুমি প্রায়শ্চিত্ত করার সুযোগ পাও, নাকি যেই গল্পে পাও না?
শৈশব কেটেছে সৌদি আরব, মালদ্বীপ আর বাংলাদেশের নানা স্থানে। সাহিত্যে পদচারণা কাফকা, কাম্যু আর মার্কেজ পড়ে। ২০২২ সালে কুইন্স কমনওয়েলথ এসে কম্পিটিশনে সিলভার অ্যাওয়ার্ড জয়ী। কলেজের গণ্ডি পার হননি এখনো।