মালকিন
শরীর আছে বলে জগতে জাগতেছে প্রেম
আর তুমি ভাবতেছ হৃদয়; ব্যথা পেয়ে ঘুমায়ে যাবে
আরও আরও মহানুভবতায় যেমন পাতাসব ঝরে যায়
সময়ে। মানুষ অতকিছু না—
ভালো তারা ততক্ষণই বাসে, যতক্ষণ ভাগাভাগি নাই।
নাকফুল পাশে
নীল রং ছাতাতে গোলাপি বর্ডার
তুমি কালো কামিজে সাদা সালোয়ার
হেঁটে চলে গেলে রোদে ঘামভেজা নাক
দু-মাইল দূরে বিল সে দূরেই থাক
জলে বাড়ে তৃষ্ণা, ঘাম মধুরূপ
তুমি এটু কাছে আসো খেয়ে ফেলি চুপ।
মেঘমেদুর
আমার জানালার কিনারে নয়নতারারা দোলে
তুমি, তোমার ঘরের পাশে কি অলকানন্দা ফোটে
বলো মেয়ে, বরষা নামে কিনা বুকে প্রেম পেলে
অঙ্গে ইচ্ছের পাশে যেমন তিল ফুটে ওঠে
তারও বেশি ভালোবেসে জল ভেজা নাকফুলে
হৃদয় গলে মিশে যায়— হাওয়ায় হাওয়ায় ছোটে।
বস্ত্রহীন
প্রেমে লোকে খোঁজে শূন্যস্থান—
তারপর প্রেমহীন হয়ে গেলে দেখে সে একা
পুরো পৃথিবীরে বুকে লাগে ফাঁকা ফাঁকা
ভালোবাসা মানে জানে তারা গোপনীয়তা
ব্যক্তিগত বস্ত্রবিশেষ!
ইশকুল
বর্তমান চিরকাল ঘটমান অতীত, যা কিছু আমাদের করা তা
করা হয়ে গেছে সময়ের ঘরে। আমরা রিপিট করি, যেমন প্রিয় গান
শুনি বারবার, খুব অসময়ে।
ভালোবেসে মানুষ নতুন কিছুই করে না দুনিয়ায়, ভয়ে;
প্রেম চিরকাল প্রণয়ের নির্ধারিত শাস্ত্রীয় অনুশাসন মেনে চলে বংশ
পরম্পরায়। লোকে ততখানি কাছে আসে যতখানি ঠিক করা আছে।
জন্ম ফরিদপুরের কুঞ্জনগরে, মামাবাড়িতে বরষায়। পড়াশোনা বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। পেশায় সাংবাদিক।