শুক্রবার, নভেম্বর ২২

সকল কুর্ণিশ জমা হোক ঈর্ষার মঞ্জিলে

0

বিপুলা এই পৃথিবীতে আমাদের আসা হয়তো একবারই। এখানে যা-কিছুই চলমান তার চূড়ান্ত নৈরাজ্যের স্বাদ নিতে, রকমারি রহস্যের বৃত্তকে ভাঙতে আমরা যতটা পারি তারও চাইতে অধিক কল্পনা করি। আমাদের সত্তার বা আত্মার দুঃখের, বেদনার ভাষাকে অনুভূতির অনন্য রঙে রাঙাতে মরিয়া হয়ে উঠি। ঘুম থেকে ঘুম, মাঝে বহমান এই যে জাগরণ সেখানে কত কত মুখ, কত কাহিনি, কত বিলাপ, কত আহাজারি, কত পাওয়া না-পাওয়া, দুঃখ-শোক, ক্লান্তি-জরা, ক্ষুধা-খরা— প্যানারোমার মতো ভেসে যাচ্ছে বেশ্যা, মাতাল, চোর, পকেটমার, খুনী, ভণ্ড, জারজ, উন্মাদ, সুদখোর, অন্ধ, ভিখারি। ভিড়ের মধ্যে অই দূর অন্ধকারেও সামান্য আলো হয়ে চেয়ে চেয়ে দেখছেন কেবল একজনই। তিনি একজন লেখক। খাঁটি গদ্যকার।

E software_ Strip Ad_Shibly Moktadir

হাসান আজিজুল হক, জীবন যার বিশাল এবং পরিব্যাপ্ত। বিশাল জীবনের প্রত্যন্ত গভীরে ডুব দিয়ে যতটা না মণিমুক্তা তুলেছেন তার চেয়ে তিনি বেশি মন্থন করেছেন তিক্তগরল। বিশ্বাস, সেজন্য তার প্রয়োজন হয়েছে নিরাসক্ত মেদহীন স্বচ্ছ পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার। একজোড়া জ্যোতিষ্মান সর্বভেদী চোখ হাসানের ভেতরে কোথাও ঠাঁয় বসানো আছে, যে যমজ চোখ আমাদের প্রবাহমান জীবনের উপরের স্তরে ভেসে থাকা আবর্জনা দর্শনেই সন্তুষ্ট থাকে না বরং অভেদ্য অনেক লেয়ার ভেদ করে মরে-হেজে যাওয়া কানাগলিরও শেষ প্রান্তে তার শুদ্ধ আলোকরশ্মি চারিয়ে নেন। চিন্তার ক্ষেত্রে শিল্পীর বিচ্ছিন্নতার মূল কারণ তার সংবেদনশীলতা। শিল্পী হওয়ার পূর্ব শর্ত হচ্ছে একটি দরদি মন, যাকে বলা যায় ইমপ্যাথি; একটি অতিরিক্ত তৃতীয় নয়ন— যা দিয়ে শিল্পী নিজের মধ্যে অবস্থান করেও দেখতে পান বাইরের জগতকে। হাসান আজিজুল হক এরকম একজন শিল্পী-মানসের অধিকারী।

শৈশব-কৈশোর-যৌবন ভিন্ন ভিন্ন আবর্তে আবর্তিত। নতুন প্রেক্ষিতেই একজন শিল্পী জন্ম দেন নতুন মানুষের এবং প্রতিটি পর্যায়েই সে মানুষ কিছুটা হলেও বিচ্ছিন্ন বোধ করে। শৈশব-স্মৃতি হাসানকে আজীবন তাড়িত করেছে। শৈশবের এই নস্টালজিয়াই একজন শিল্পীর কাছে মূল্যবান সম্পদ বিশেষ। শৈশবের স্থান, পরিবেশ ও মানুষ থেকে বিচ্ছিন্নতা তার মনে জন্ম দিয়েছিল গভীর এক যন্ত্রণাবোধের। হাসার আজিজুল হকের গল্পগুলোতে এর ছাপ স্পষ্টত বোঝা যায়। এমনকি জীবনের শেষ প্রান্তে এসে লেখা তার উপন্যাসগুলোও এর ব্যতিক্রম নয়। বিশেষ যুগের সামাজিক-রাজনৈতিক-ঐতিহাসিক পরিবেশও অনেক সময় বিচ্ছিন্নতার জন্ম দেয়। বিশেষকরে দেশভাগ, সাম্প্রদায়িকতা, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বেকারত্ব, ছাত্র-আন্দোলন, মুদ্রাস্ফীতি, শূন্যতাবোধ, মানুষের প্রতি অবিশ্বাস তার গল্পগুলোর মূল উপজীব্য।

গদ্যের নীতিবিদ্যার দৃষ্টিভঙ্গীকে যারা বড়ো করে দেখেন, করেন তার ভাষা, ভাব, বিষয় ইত্যাদির মধ্যে প্রচলিত শ্লীলতার অনুসন্ধান— তাদের উদ্দেশ্যে এই কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক ড্যাশ ড্যাশ দূরত্বে থেকে আপন সংস্কার বর্ণগন্ধে রক্ষণশীল ধনিকশ্রেণির শাসকের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে লিখেছেন তার নিজস্ব কাহিনিধর্মী সহজাত গদ্যকথন। নিছক ছিঁচকাঁদুনে গল্পের রমরমা বাজারে তিনি ঈশ্বরপ্রতিমভাবে ব্যতিক্রম। তার টেক্সট মানবজীবনের গুহাহিত বিপুল ঐশ্বর্যের ভাণ্ডারের গহন থেকে উৎস মুখ খুলে দিয়েছে। প্রবঞ্চনা, নিপীড়ন, সীমাহীন শোষণ, শোষণের প্রক্রিয়া, সমাজ ও সময়ের ভেতরে দ্বন্দ্ব ও সংঘাত, ঐতিহ্য-উত্তরাধিকার তার কুশলী হাতে দলিল হয়ে উঠেছে। দায়বদ্ধতার দায় থেকেই তিনি সাহিত্য করেন। নিষ্ঠা, সততা, সহিষ্ণুতা, বৈদগ্ধ, পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা, পরিচর্যায় হাসান দুঃসাহসী।

গল্পে যে কাহিনি তিনি তুলে ধরেন পাঠকের সামনে, তাতে তারই অভিজ্ঞতালালিত দৃষ্টিকোণ বারাবর ঘুরেফিরে আসে, একটা নিজস্ব উপনিবেশ তিনি সৃষ্টি করেন, হয়তো একেই বলা হয়, লেখকের উপনিবেশ। বিষয় ও চরিত্র তার গল্প পারস্পরিক বোধে এগিয়ে যায়, কখনোই মনে হয় না আরোপিত অথবা স্থুল।

গল্পে যে কাহিনি তিনি তুলে ধরেন পাঠকের সামনে, তাতে তারই অভিজ্ঞতালালিত দৃষ্টিকোণ বারাবর ঘুরেফিরে আসে, একটা নিজস্ব উপনিবেশ তিনি সৃষ্টি করেন, হয়তো একেই বলা হয়, লেখকের উপনিবেশ। বিষয় ও চরিত্র তার গল্প পারস্পরিক বোধে এগিয়ে যায়, কখনোই মনে হয় না আরোপিত অথবা স্থুল। প্রায় গল্পেই হাসান আজিজুল হক তার রাজনৈতিক বিশ্বাস থেকে সরে দাঁড়াননি, বরং তার সেই অন্তর্জাত চেতনার কল্পস্রোত প্রবাহমানতা পেয়েছে গল্পে। তার সমসাময়িক গল্পকারদের সঙ্গে এখানেই তার তফাৎ। তিনি ভুলে যাননি ছোটোগল্পের সংজ্ঞা কি এবং ছোটোগল্প কি হওয়া উচিত। তিনি পাঠককে মূলত গল্পই দিতে চেয়েছেন, সে গল্প সুনির্দিষ্ট, স্পষ্ট, ঋজু, বাস্তব ও চিরকালীন। একজন ভাস্কর যেমন পাষাণ কুঁদে কুঁদে নিস্পন্দ ও প্রাণহীন বুকে জীবন সঞ্চারণ করেন, তেমিন হাসান তার উষ্ণ রক্ত কুঁদে কুঁদে গল্পের জীবন লেখেন। মূলত এখানেই তিনি গভীর-মগ্নতায় শিকড়-সন্ধনী ও আত্মানুসন্ধানী।

আসলে হয়কি জনহৃদয়ের ভালো-মন্দ শক্তিগুলোর বিকাশ ও বিস্তৃতি একজন কথাসাহিত্যিক ফুটিয়ে তোলেন তার শিল্পকর্মে, কিন্তু সফলতা যখন আসে সে আদর্শকে জীবন দিয়ে অনুভব করা যায়। আর তাই একজন জীবনবাদী সাহিত্যিক মানবচরিত্র সম্পর্কে সুগভীর অন্তর্দৃষ্টি না থাকলে তার পক্ষে ইনিস্ট্যান্ট রাখা দুরূহ ব্যাপার। সকল বিসদৃশ্যকে জীবনবোধের আওতায় এনে তাকে আস্বাদন করে অগ্রসর হতে হয় অতীব ঘনিষ্টভাবে। আমাদের দেখা চারপাশের সস্তা ভাবালুতাকে এক ঝটকায় ডিলিট করে চলা মানে একপ্রকার মনোহরণের মার্জিত রূপ, যেখানে শাশ্বত ঐতিহ্যের সম্প্রসারণ ঘটে আর্থসামাজিক জীবনের সঙ্গে ঘনিষ্টতাবোধে। হাসান আজিজুল হককে ঘনিষ্টতাবোধের অপর নাম এই তকমা আমরা দিতেই পারি। কেননা চরিত্রসৃষ্টিতে যে পলিমাটির উর্বরতা পাওয়া দরকার মানবীয় বৈশিষ্টের ভেতর, নিরপেক্ষতা অবলম্বনের ভেতর, এবং দরকার দ্বন্দ্বের গভীর সমন্বয়—বস্তুত এসব না থাকলে নমস্য হয়ে ওঠে সে পাঠ্য, একজন পাঠকের কাছে। আমরা দেখেছি, নিম্নবিত্তের মনের সংকীর্ণতার ফলে কাহিনিচরিত্র কখনো পক্ষপাতিত্বের অভ্যর্থনা লাভ করে; যেখানে অন্ত্যজ স্বার্থপরতার উপকণ্ঠে টোটাল শ্রেণিচরিত্র বিকশিত না হয়ে বরং লেখকের প্রোলেতারিয়েট চিন্তাগুলো জাবেদা পর্যায়ে চলে যায়; তখন খামখেয়ালিতে ইনিয়ে-বিনিয়ে গড়ে ওঠে চিত্রটি। সম্পূর্ণতার অভাবে দেখা দেয় একধরনের জটিল এবং যান্ত্রিক চিত্র। এ-ক্ষেত্রেও হাসান আমার পাঠ্যে ব্যতিক্রম। বস্তুত আমাদের জগৎ রৌদ্রালোকিত, তবু অতি-পরিচয়ে মনোযোগের কেন্দ্র হঠাৎ হঠাৎ দূরে সরে যায়। জীবনের এমন অনেক পরিসর আছে যা সজল, ছায়াবৃত, জ্যোৎস্নার রহস্যে মোড়া, অপরিচিত; সে সব আমাদের নিত্যদিনের খুব কাছাকাছি, তবু আমরা এড়িয়ে যাই, লক্ষ্য করি না। জীবনের ঘেরাটোপ ভেঙে মানসিক খাঁচার দরজা খুলে আমরা চকিত হয়ে উঠি। আমাদের চোখের সামনে থেকে সরে যায় অদৃশ্য পর্দা। নানান অনুযঙ্গের জাল বুনে আমরা আমাদের গল্পে ফুটিয়ে তুলতে চাই নতুন পৃথিবী, নতুন পরিসর, নতুন প্রতিবেদন।

কথাসাহিত্যিকরা বহুস্তরা জীবনের বিভিন্ন অর্থ খোঁজার অভিপ্রায়ে প্রবেশ করেন জীবন ও সমাজের তলদেশে। সমাজ ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার তাবৎ বৈষম্য, গৃহীত অন্যায্য ব্যবস্থাকে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ-সমালোচনা সহযোগে উর্বর করে তোলেন তাদের ছোটোগল্পের ভূমি। এই ভূমিকে আরো সম্প্রসারিত করেছেন হাসান আজিজুল হক।

কথাসাহিত্যিকরা বহুস্তরা জীবনের বিভিন্ন অর্থ খোঁজার অভিপ্রায়ে প্রবেশ করেন জীবন ও সমাজের তলদেশে। সমাজ ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার তাবৎ বৈষম্য, গৃহীত অন্যায্য ব্যবস্থাকে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ-সমালোচনা সহযোগে উর্বর করে তোলেন তাদের ছোটোগল্পের ভূমি। এই ভূমিকে আরো সম্প্রসারিত করেছেন হাসান আজিজুল হক। শোষণের বিবিধ কৌশল এবং শোষিতের নিরূপায় অসহায় আর্তনাদ তার গল্পে এসেছে বিস্তারিতভাবে। তার গল্পে প্রকৃতিও জীবন্ত। যে জনপদের যে মানুষের জীবন তার গল্পের বিষয় ঠিক সেরকম নির্দয় প্রকৃতির সাক্ষাৎই আমরা পাই। হাসান তার গল্পে প্রকৃতিকে কখনোই চাপিয়ে দেননি বা কোথা থেকে তুলে এনে সেট করে দেননি। প্রকৃতির মতো গল্পের মানুষ হয় অতীব রুক্ষ, রোদে পোড়া, শীতজর্জর, বৃষ্টিতে ভিজে ন্যাতানো। তার গল্পের মানুষ ও প্রকৃতিকে তাই ছিঁড়ে কখনোই আলাদা করা যায় না।

হাসান আজিজুল হকের কলমের চাইতে চোখের দৃষ্টি বড়ো প্রখর এবং দেখার চাইতে দেখানোর পরিম-ল, আয়তন, প্রেক্ষিত আরও বড়ো। হাসান তার গল্পে কথা কম বলেন। নিদেনপক্ষে যেটা না বললেই নয়, পরোক্ষে বা প্রত্যক্ষভাবে বলার কথা বলা হচ্ছে না শুধু তেমন জায়গাতেই অত্যন্ত সরল অনাড়ম্বরভাবে কিছু কথা জুড়ে বসেন। সাহিত্যে পরিমিতিবোধ বলতে পোক্তভাবে যে অভিধার কথা পরিষ্কার হয় তার জন্য ঈর্ষণীয় কৃতিত্ব দিতে হয় হাসান আজিজুল হককে। কথাসাহিত্যিকদের কোনো ধ্রুব অবয়ব থাকতে নেই। এক প্রতিবেদন থেকে অন্য প্রতিবেদনে পৌঁছাতে পৌঁছাতে রূপান্তরিত হয়ে যায় বলে তাদের অবয়ব আসলে আপেক্ষিক ও প্রতীয়মান। তাই গল্প-উপন্যাস লিখতে গিয়ে নিজেকে লুকোনোর জন্য হাসানকে কখনোই মুখোস পরতে হয়নি। বিচিত্র কূটাভাসের মধ্যে দিয়ে তিনি যতখানি অদৃশ্য থেকে যান, ঠিক সেই অনুপাতে পাঠকের প্রতীতিতে দৃশ্যমান হয়ে ওঠেন।

হাসানের দৃষ্টি খোদল সৃষ্টিকারী দৃষ্টি। তার দৃষ্টি খুঁড়তে জানে। স্তরান্তরে সেঁধিয়ে অনভ্যস্ত রতœরাজি তুলে আনেন খুঁড়ে খুঁড়ে। তিনি রসিয়ে রসিয়ে অবসর যাপনের গল্প লেখেন না। যে গল্প যে সময়ের প্রতিনিধিত্বের দায় বহন করে হাসান সেই সময়ের অন্তর্গূঢ় নিষ্করুণ সামাজিক বাস্তবতার প্রতিরূপ তুলে আনেন একজন দক্ষ ডুবুরীর মতো। খাদের পরিমাণ যতটুকু নিতান্ত না হলেই সোনাকে সুডৌল ভূষণ-আদলে শিল্পিত করা যায় না, বিজ্ঞ হাসান খাদে-সোনায় ততটুকুই মিশ্রণ করেন। ফলে লক্ষ করলে দেখা যায় তার গল্পে সময়কে এক অপরিহার্য নিয়ামক হিসাবে।

পরম দুঃখভোগের ভেতর দিয়ে মানবচরিত্রে যে আকুতি প্রকাশ পায় তা প্রকারন্তরে জীবনের জয়গানকেই প্রকাশ করে। ফলে পরাজিত মানুষদের জীবনের বেদনাবোধকে যখন তার সকল তীব্রতা নিয়ে হাসান আজিজুল হক অনুভব করেন এবং সে অনুভূতি পাঠকচিত্তে সঞ্চারিত হয় তখন সেটা আর পরাজিত মানবের উপাখ্যান থাকে না

পরম দুঃখভোগের ভেতর দিয়ে মানবচরিত্রে যে আকুতি প্রকাশ পায় তা প্রকারন্তরে জীবনের জয়গানকেই প্রকাশ করে। ফলে পরাজিত মানুষদের জীবনের বেদনাবোধকে যখন তার সকল তীব্রতা নিয়ে হাসান আজিজুল হক অনুভব করেন এবং সে অনুভূতি পাঠকচিত্তে সঞ্চারিত হয় তখন সেটা আর পরাজিত মানবের উপাখ্যান থাকে না, হয়ে ওঠে জীবনের প্রতি আন্তরিক ভালোবাসার দলিল, যে জীবন শত প্রতিকূলতার মধ্যেও পরাজয় মানতে রাজি নয়। গল্পে তার বর্ণনাভঙ্গি কোথাও কোথাও ভীষণ চমৎকার। মনে হয় কবিতার মতো।

আমরা যাকে বাস্তব বলে জানি, সব আকাঙ্ক্ষা তাতে পূরণ হয় না; প্রত্যাশার অনেক দিগন্ত মিলিয়ে যায় আনোখা চোরাবালিতে। তার বর্ণাঢ্য জীবনের সমস্ত টেক্সট আজ রেইনবোর আকার নিয়ে জ্বলজ্বল করছে। তাকে পড়তে পড়তে শরতের এই পড়ন্ত বেলায় হঠাৎ আখের ঝরঝরে হাওয়া দিলো, দূরে যে রয়েছে চিনিকল আচমকা বোঝা গেল!

শেয়ার করুন

লেখক পরিচিতি

কবি, প্রাবন্ধিক। জন্ম : ১১ জুন ১৯৬৯ বগুড়া, বাংলাদেশ। প্রকাশিত গ্রন্থ : ধানের রচনা দিলে পত্রে (কাব্যগ্রন্থ), ছন্দের নান্দনিক পাঠ (প্রবন্ধগ্রন্থ), নিষিদ্ধ পুষ্টির কোলাহল (কাব্যগ্রন্থ), সোনার কার্তুজ (কাব্যগ্রন্থ), রৌদ্রবঞ্চিত লোক (মুক্তগদ্য), ব্যবহারিক বিস্ময় (কাব্যগ্রন্থ), দুর্ভিক্ষের রাতে (কাব্যগ্রন্থ), কায়া ও কৌতুকী (কাব্যগ্রন্থ), ছন্দকথা (প্রবন্ধগ্রন্থ), লুপ্ত সভ্যতার দিকে (কাব্যগ্রন্থ)

error: আপনার আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় ।