বিবাহিতার প্রতি
ছত্রিশে এসে ছাব্বিশ ভুলিনি ফকফকা আসমান।
পরকালে বিশ্বাস এলে—
নিশ্চিত দেখা হবে হাসরের ময়দান।
যে আঙ্গুল অশ্রু মোছেনি কোনোদিন
তাকে নিয়েই চলছে তোমার—
কী সুন্দরতম সুদিন!
বাৎস্যায়নের কিতাব
আমি প্লেটোনিক নই।
ফ্রয়েডের পাঠশালা থেকে বিদ্যা শিখেছি।
শারীরিক সন্ন্যাস জানি না।
তৃণভোজী মন সংযম মানে
ঠোঁটের সীমারেখা শুধু ঠোঁট ছুঁতে চায়।
বাৎস্যায়নের কিতাবে কোনো নো-ম্যানস-ল্যান্ড নেই।
ফের দেখা হলে; সামাজিক দূরত্ব মানব না।
সুলতানা সমীপেষু
ছেলেটা না বড্ড বোকা। ট্রেনের চাকায় হাওয়া দিতে রোজ সকালে দাঁড়িয়ে থাকে; বাড়ির পাশের ইস্টিশনে। জন্মান্ধ সেই ছেলেটা; চাঁদ দেখারও বায়না ধরে। ছেলেটা না সত্যি বোকা। সাঁতার শেখার আগেই কিনা ঝাঁপিয়ে পড়ে নদীর জলে। বোকার কি আর বুদ্ধি থাকে! সাপের গুহায় হাত ঢুকিয়ে ময়না পাখির শাবক খোঁজে। বিষে যখন নীল হয়ে যায়; তখনো সেই বোকা ছেলে অবাক করা কাণ্ড করে! ঘোমটা পড়া সেই মেয়েটির আঁচিলটাকেই ভালোবাসে। ট্রেনের চাকায় হাওয়া দিতে; হদ্দ বোকা সেই ছেলেটি রোজ সকালে দাঁড়িয়ে থাকে।
সম্মিলিত কাব্যগ্রন্থ ‘দূরাগত জাহাজের আলো’। একক কাব্যগ্রন্থ ‘চোখ যখন পর্নোগ্রাফিতে’। সম্পাদনা: ভাঁজপত্র ‘পাকুড়’। আট বছর গণমাধ্যমে কাজ করার পর স্বেচ্ছায় মগড়া নদীর তীরে চলছে যাপিত জীবন।