বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১

অভিজিৎ দাস ও অন্যান্য কবিতা : সোমেশ্বর অলি

0

রার্তনাদ


সন্দেহের মতো দানাদার এই সন্ধ্যা;

ঘরে ফেরা মানে ঘরেই ফেরা
আর কোথাও নয়।

নিয়তির মতো নিমপাতা দোল খায় অসুখী বাতাসে

আর
নেমে
যেতে
যেতে
ফুরিয়ে
যায়
সন্ধ্যা

ঘড়ির বাইরে বাড়ছে রাত ও রার্তনাদ।


বিরোধ


সবুজ মাঠে একটি অর্ধনির্মিত বাড়ি;
সীমানা বিরোধের জের ধরে যার সংসার করা হলো না।


মৃত্যুবার্ষিকী


মাকে নিয়ে লেখার মধ্যে বাবা বসে থাকেন চেয়ারে হেলান দিয়ে,
জর্দামাখা পান চিবাচ্ছেন মোড়লসাব—

মায়েরা এমনই বাবাময়; বাঁচলে, মরলেও।

আব্বা দীর্ঘায়ু পেয়েছিলেন;

আম্মার চলে যাওয়ার দিনটাতে
আব্বাকেও মনে পড়তে থাকে, পড়তেই থাকে।

একদা খুব সকাল সকাল
আমাদের ফেলে রেখে তাঁর পিছে পিছে নাইয়র গেছেন আম্মা,
পাছে আব্বার দরকারি কিছু লাগে!


সুবচন


মেঘ ও মাদকে ভরতি নারীর হৃদয়

আমি শরীর গলিয়ে ঢুকে
দেখেছি হৃদয় মিথ্যে নয়
আমি হৃদয় গলিয়ে বুকে
লিখেছি শরীর সত্যি নয়

মেঘ ও মাদকে ভর্তি নারীর শরীর


অভিজিৎ দাস


এখনো থামেনি স্লোগান, ধমনিতে টের পাও উপহাস!
যে কবিতা ধাবমান, তার বুকে ছুরি, কালো ইতিহাস—

নিখোঁজ মানুষ এক, ভাবা যাচ্ছে না প্রয়াত,
এভাবে অমর সে—
মিছে তবে তোমাদের শোকসভা, জমায়েতও।

বেকার গানের সুর, কাঁটাতারে এখনো বন্দি বাতাস,
ঘরে ঘরে তোমাদের সকলের অজ্ঞাতবাস।

শেয়ার করুন

লেখক পরিচিতি

নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুরের বালিচান্দা গ্রামে জন্ম। ছেলেবেলায় লেখালেখির হাতেখড়ি। জাতীয় পর্যায়ের পত্রিকায় প্রথম লেখা অনুগল্প; বের হয় ২০০২ সালে। অলি একটা সময় পর্যন্ত নিয়মিত লিখেছেন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও ছোটোকাগজে। দশক বিচারে সতীর্থ লেখকদের অনেকেই শূন্যের ঘরে, তবে নানাবিধ কারণে অলির প্রথম কবিতার বই 'কিছুটা উপর থেকে মানুষ দেখতে ভালো লাগে' (গ্রন্থমেলা ২০২৩) প্রকাশে সময় লাগল দীর্ঘ বছর। এর মধ্যে গীতিকার হিসেবে এসেছে পরিচিতি, ব্যস্ততা ও সম্মাননা। গানের পাশাপাশি লিখছেন নাটক, চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য। যায়যায়দিন ও সমকাল পত্রিকা এবং বাংলানিউজ টুয়েন্টিফোর ও দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ওয়েব পোর্টালে (২০০৭-২০১৭) দশ বছর চাকরি করার পর সাংবাদিকতায় ইস্তফা। বর্তমানে কর্মরত ইবিএস গ্রুপ-এ।

error: আপনার আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় ।