একটি ভিন্ন তবে প্রাসঙ্গিক গল্প দিয়েই শুরু করি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরুর আগে নিউ ইয়র্কের হাডসন বদ্বীপের পাশে ক্যাটস্কিল পর্বতের পাশে এক গ্রামে বাস করতেন রিপ ভ্যান উইঙ্কল। রিপ ছিল একজন ডাচ বংশোদ্ভূত মার্কিন। কাজকর্মে তার মন ছিল না। ভবঘুরের মতো সে পর্বতের অরণ্যে ঘুরে বেড়াত। গ্রামের লোকজন, শিশুরা তাকে খুব পছন্দ করলেও স্ত্রীর কাছে সে ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে বাজে স্বামী। কাজ করত না বলে সে এটা নিয়ে সারাদিন রিপের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত থাকত। একদিনে রিপ তার স্ত্রীর ঝগড়া থেকে বাঁচতে তার বন্দুক আর বিশ্বস্ত কুকুরকে নিয়ে পাহাড়ে চলে যায়। ঘটনাক্রমে পাহাড়ে তার দেখা হয় ডাচ পোশাক পরা একজন সুসজ্জিত, নিশ্চুপ ও দাড়িওয়ালা লোকের সাথে। তার সাথে আলাপ করতে গিয়ে মদপান করে সে ঘুমিয়ে পড়ে। ঘুম থেকে উঠে সে অবাক। দেখে তার বন্দুক মরিচা পড়ে ক্ষয়ে গেছে, তার দাড়ি পা পর্যন্ত লম্বা আর কুকুরটিও আশেপাশে নেই। সে গ্রামে ফিরলে কেউ তাকে চিনতে পারে না। সে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে তার স্ত্রী মারা গেছে, কাছের বন্ধুরা যুদ্ধে গিয়ে মারা গেছে এবং কেউ কেউ সেই গ্রাম ছেড়ে চলে গেছে। কিছুক্ষণ পর রিপ বুঝল, সে আসলে এক রাত না, ঘুমিয়েছে বিশ বছর। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে এবং রাজা জর্জের ছবির পরিবর্তে এখন হোটেলে জর্জ ওয়াশিংটনের ছবি ঝুলছে। ১৮১৯ সালে ‘রিপ ভ্যান উইঙ্কল’ নামে এই জনপ্রিয় ছোটোগল্পটি লিখেছিলেন ওয়াশিংটন আর্ভিং যেটা নিয়ে পরে অনেক মঞ্চ নাটক, সিনেমা তৈরি হয়েছে। এই গল্পের কথা এখানে বলার কারণটায় আরেকটু পর আসছি।
গত কয়েক বছরে ওয়েব প্ল্যাটফর্ম আমাদের বিনোদন জগতে বেশ আলোড়ন তুলেছে। যাদের প্রতিভা বা পরিশ্রম এতদিন পাদপ্রদীপের আড়ালে ছিল, ওয়েব প্ল্যাটফর্মে তারা স্বমহিমায় জ্বলতে শুরু করেছেন। এদের মধ্যে একজন হলেন ‘হইচই’ এর জনপ্রিয় সিরিজ ‘তাকদীর’ এর নির্মাতা সৈয়দ আহমেদ শাওকী। জন্ম বাংলাদেশে হলেও বাবার চাকরির সুবাদে তার শৈশব-কৈশোর কেটেছে সৌদি আরবের দাম্মামে।
সে সময় বাহরাইনের টিভি চ্যানেলে সপ্তাহে এক দিন সিনেমা দেখাত, সেটাই রেকর্ড করে সপ্তাহজুড়ে বারবার দেখতেন শাওকী। সেই থেকে সিনেমার পোকা হয়তো বাসা বাঁধে শাওকীর মাথায়। দাম্মামে এ-লেভেল শেষ করে ২০০৮ সালে ঢাকায় ফিরে ভর্তি হন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে। সিনেমার ঝোঁকটা তাঁকে সংযুক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম ক্লাবের সঙ্গে। তাঁর চাচাতো ভাই আরেক নির্মাতা সালেহ সোবহান অনীমের সঙ্গে মিলে কাজ শুরু করেন তরুণ পরিচালক তানিম নূরের সহকারী হিসেবে।
সে সময় বাহরাইনের টিভি চ্যানেলে সপ্তাহে এক দিন সিনেমা দেখাত, সেটাই রেকর্ড করে সপ্তাহজুড়ে বারবার দেখতেন শাওকী। সেই থেকে সিনেমার পোকা হয়তো বাসা বাঁধে শাওকীর মাথায়। দাম্মামে এ-লেভেল শেষ করে ২০০৮ সালে ঢাকায় ফিরে ভর্তি হন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে। সিনেমার ঝোঁকটা তাঁকে সংযুক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম ক্লাবের সঙ্গে। তাঁর চাচাতো ভাই আরেক নির্মাতা সালেহ সোবহান অনীমের সঙ্গে মিলে কাজ শুরু করেন তরুণ পরিচালক তানিম নূরের সহকারী হিসেবে। তানিম নূরের ‘ফিরে এসো বেহুলা’ সিনেমার সহকারী পরিচালক হিসাবে ২০০৯ সালে মিডিয়ায় পথচলা শুরু তার।
এরপর পড়াশুনা শেষে কী করা যায় ভাবতে ভাবতে শাওকী ও তার ভাই ব্রাদারস মিলে কিছু শর্টফিল্ম বানালেন। ২০১৩ থেকে বিজ্ঞাপন নির্মাণ শুরুর পর ২০১৭ সালে ‘প্রজন্ম টকিজ’ নামে একটি প্রডাকশন হাউজ খোলেন। একটি এনজিওর প্রজেক্টের অধীনে শাওকীসহ অন্যরা সেখানে ১০টি শর্টফিল্ম নির্মাণ করেন। ব্যক্তিগতভাবে ভালো লাগা থেকেই আমি সেই শর্টফিল্মগুলো দেখে খুঁজতে থাকি পেছনের মানুষদের।
শাওকীদের ফিকশনের পরিচিতিটাও ওখানেই অল্প ছড়ায়। সেখান থেকে ২০১৭ সালে অমিতাভ রেজা ও মেজবাউর রহমান সুমনের তত্ত্বাবধানে ‘অস্থির সময়ে স্বস্তির গল্পে’র প্রজেক্টে ‘কথা হবে তো’ নামে ফিকশন বানান শাওকী। কবি আহসান হাবিবের ‘দোতলায় ল্যান্ডিং’ কবিতার অনুপ্রেরণায় গল্পটা লিখেছিলেন গাউসুল আলম শাওন। ঈদে প্রচার হওয়ায় মনোজ প্রামাণিক ও নাবিলাকে নিয়ে তৈরি সেই কাজটাতে বেশ প্রশংসা ও পরিচিতি পান শাওকী।
এরপর কেটে যায় আরও এক বছর। ফিকশনের পাশাপাশি বিজ্ঞাপনও নির্মাণ চলছিল। এর মাঝে ‘হইচই’ বাংলাদেশি কনটেন্ট বানানো শুরু করেছে। অমিতাভ রেজা ‘ঢাকা মেট্রো’, তানিম নূর আর কৃষ্ণেন্দু বানিয়ে ফেলেছেন ‘মানি হানি’। শাওকীও ‘তাকদীর’ নামের একটি মানুষকে ভেবে দাঁড় করানো একটি গল্প শোনালেন ‘হইচই’তে। ‘প্রজন্ম টকিজ’ এ যারা কাজ করেছিলেন সেই মানুষগুলোকে নিয়েই ‘তাকদীর’ নির্মাণ করেন শাওকী। বাকি কথাটা প্রায় সবাই জানেন।
আমি শাওকীর সব কাজই আগ্রহ নিয়ে দেখেছি। অনেকবার ভার্চুয়ালি কথা হয়েছে, একবার লাইভে সাক্ষাৎকার নিয়েছি। শেষমেশ দেখা হলে, তার সামনের কাজ নিয়েও কথা বলি। আলাপ হয়েছে বর্তমান ওয়েব প্ল্যাটফর্মগুলোর চাহিদা ও আমাদের কাজের অবস্থা নিয়ে। পত্রিকায় এক সাক্ষাৎকারে শাওকী বলেছেন— ‘এখন বাসায় বসে হলিউড, বলিউড, ইউরোপিয়ান— সব সিনেমা বা কনটেন্টই দেখতে পারছেন। আপনার আক্ষেপ, আপনার দেশের কনটেন্ট কেন ওদের মতো হয় না! তো মানের বিচার করলে তো আমাদের আপডেট হতে হবে। ইউটিউব আর নেটফ্লিক্স-এর মধ্যে পার্থক্য তো থাকবেই। আমরা আশাকরি আমাদের কাজ ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডে হবে, তখন দেখতে হবে ওরাও ওদের দেশের কাজটা কিভাবে ডিস্ট্রিবিউট করছে। আমি কি একটি ‘গেম অব থ্রোনস’ ইউটিউবে দেখতে পারি? আমেরিকান কোনো টিভি শো ইউটিউবে দেখতে পারবেন না। ইউটিউবের জন্য যদি কনটেন্ট বানাতাম সেটা এত বড়ো ক্যামেরায় শুটও করতাম না। আমরা ইউটিউব থেকে কেন যেন অনেক বেশি আশা করছি। কিন্তু আমার মনে হয় না, এটা ভবিষ্যতে খুব বেশি দাঁড়াবে বা ওটিটির সঙ্গে টেকনিক্যালি পারবে। কারণ ফ্রি দেখানোর প্রসেসটাই আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে ‘তাকদীর’ ইউটিউবে এলে টিভিতে চালালে অনেক সুপার হিট হতো— এই বিষয়টি আমার মাথায় একবারও আসেনি।’
আমি জিজ্ঞেস করেছি, পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা কবে বানাবেন কিংবা সাহিত্য থেকে কোনো কাজ করতে চান কি না। দুটোতেই শাওকী জোর দিয়ে ‘হ্যাঁ’ বলেছেন। তার আরেক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন— ‘আমি অবশ্যই সিনেমা বানাতে চাই। সিনেমা আমার স্বপ্নের জগত। বিনিয়োগ পেলে সিনেমার কাজ অবশ্যই শুরু করব। তবে তাকদীর নিয়েও সিনেমা বানানো যেত। এটা ৯০ মিনিটের একটি সিরিজ। এটা নির্মাণে বিগ বাজেট ছিল। ছয় জেলার ৩৯টা লোকেশনে শতাধিক শিল্পী নিয়ে শুটিং করতে হয়েছে। চাইলে এটাকে সিনেমা বানানো যেত। তবে সিনেমা করতে হলে নির্মাণে আরও বড়ো পরিসরে কাজ করতে হতো। প্রস্তুতিটা সিনেমার মতো করেই নিতে হতো। সিরিজ আকারে এটা প্রকাশে পেয়েছে তাই এখন এটা ওয়েব সিরিজ।’
শাওকী সিনেমা বানালে সেটা কেমন হবে! কমার্শিয়াল না আর্ট ঘরানার অফট্র্যাক সিনেমা? সেটা নিয়েও তার জবাব আছে।
‘কমার্শিয়াল ও নন কমার্শিয়াল ছবির কথা এলে বলতে হয়, পৃথিবীর কোনো দেশে শুধু অফট্রাকের মুভির একক ইন্ডাষ্ট্রি নেই। কমার্শিয়াল ও নন কমার্শিয়াল ছবি মিলেই একটি ইন্ডাষ্ট্রি। বলিউডে সালমান খানের সিনেমা হয় দেখেই তো অনুরাগ ক্যাশ্যপ ছবি বানাতে পারেন, ইরফান খানের ছবি মুক্তি পায়। সেগুলোও হলে চলে। দর্শকরা দেখেন। হিট হয়। সেখানে কিন্তু সালমান খান ও ইরফান খান কাউকেই এড়িয়ে যেতে পারবেন না। আমি কি ধারার সিনেমা বানাব সেটা বলবে আমার গল্প। গল্প যদি পরোপুরি কমার্শিয়াল দাঁড়ায় তাহলে কমার্শিয়াল আর যদি অফট্র্যাকের দাঁড়ায় তাহলে অফট্র্যাক।’
এটা ভাবার অবকাশ নেই ‘তাকদীর’ হিট দিয়েছি বলে তারা একের পর এক শুধু আমাকে দিয়েই কন্টেন্ট বানাবে। তাদের সঙ্গে এরপর কোনো কাজ করতে চাইলে আমাকে ভালো কনসেপ্ট নিয়েই যেতে হবে। মোটকথা, ইন্টারন্যাশনাল ওটিটি প্লাটফর্মে এখন ভালো গল্পের চাহিদা রয়েছে, নির্মাতা হিট না ফ্লপ এটা ম্যাটার করে না।
লাইভে সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘তাকদীর’ যেখানে শেষ সেখান থেকে আবার শুরু করে সিজন টু করার চিন্তা আছে কি না। তিনি বলেছেন, ‘আপাতত চিন্তা নেই, গল্প থাকলে দেন।’ ‘হইচই’ এর সঙ্গে নতুন কাজের ব্যাপারে বলছিলেন— ‘হইচইয়ের সঙ্গে আমিও যদি ফের কাজ করতে যাই তাহলে কিন্তু আমাকে ভিন্ন আইডিয়া নিয়েই এগোতে হবে। তবে এক্ষেত্রে তাকদীরের সাফল্য হয়তো সহায়তা করবে। প্লাটফর্মগুলো যেহেতু ইন্টারন্যাশনাল তাই তাদের কাজ সেই মানের হতে হবে। এ ক্ষেত্রে নির্মাতা যদি ভালো গল্প ও আইডিয়া নিয়ে যান তাহলে সবার জন্যই কাজের সুযোগ আছে। আমি অতীতে হিট কাজ দিয়েছি কি না এটা দেখার বিষয় নয়। দেখার বিষয় আমি যখন কাজটি তাদের কাছে নিয়ে যাবে সেটা ওই সময়ে কতটা প্রাসঙ্গিক, গ্রহণযোগ্য। আমি কিন্তু তাকদীরের আগে আহামরি তেমন কোনো কাজ করিনি। ডিরেক্টর হিসেবে কোনো পরিচিতিও আমার ছিল না। তা-ও তারা আমাকে কাজটি করতে দিয়েছেন। এটা ভাবার অবকাশ নেই ‘তাকদীর’ হিট দিয়েছি বলে তারা একের পর এক শুধু আমাকে দিয়েই কন্টেন্ট বানাবে। তাদের সঙ্গে এরপর কোনো কাজ করতে চাইলে আমাকে ভালো কনসেপ্ট নিয়েই যেতে হবে। মোটকথা, ইন্টারন্যাশনাল ওটিটি প্লাটফর্মে এখন ভালো গল্পের চাহিদা রয়েছে, নির্মাতা হিট না ফ্লপ এটা ম্যাটার করে না।’
এবার শুরুর গল্পটায় ফিরি। শাওকী ‘হইচই’তে আবার কাজ করছেন, সেটা হয়তো এ বছরই দেখতে পাওয়া যাবে। আলাপকালে শাওকী খুব সংক্ষেপে সেই কাজ নিয়ে বলেন— ‘একটি কারাগার। যে কারাগারে রয়েছে ৫০১ নম্বর রহস্যময় এক সেল। যে সেলটি গত ৫০ বছর ধরে বন্ধ। কিন্তু এই সেলে ঘুম ভাঙে একজন রিপ ভেন উইঙ্কেল-এর। যে দাবী করে, সে অমর। সে দাবী করে ২০০ বছর ধরে সে জেলে আছে। সেল নম্বর ৫০১, এবং এই মিস্ট্রিম্যানের হিস্ট্রি নিয়ে ওয়েব সিরিজ ‘কারাগার’ এর গল্প।’
বিশ বছর ধরে ঘুমিয়ে থাকা রিপ ভ্যান উইঙ্কলের গল্প তো পড়েছেন। কিন্তু অভিধানে রিপ ভ্যান উইঙ্কল এর সংজ্ঞাটি এমন ব্যক্তিকে নিয়ে, যিনি সামাজিক পরিবর্তন বা চিন্তাধারার পরিবর্তন সম্পর্কে অসচেতন, অবহেলিত। শাওকী তার ‘কারাগার’ দিয়ে বর্তমান সমাজের তেমন কোনো ব্যাক্তিকে তুলে আনবেন কি না সেটা সময় হলে জানা যাবে।
তবে আমার আগ্রহের আরও ব্যাপার ছিল, কে কে থাকছেন এই ‘কারাগার’-এ? পত্রিকায় পড়েছিলাম, এখানে অভিনয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ‘মনপুরা’র অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী নিজেই। তবে কেমন হবে তাঁর চরিত্র, কি আমেজের গল্প কিছুই বলেননি তিনি। শুধু বলেছিলেন, ‘আপাতত মাথায় “কারাগার” ঘুরছে। শুটিংয়ের আগে নিজেকে প্রস্তুত করছি। আশা করছি দর্শক উপভোগ করবেন এমন একটি ওয়েব সিরিজ হবে “কারাগার”। পরিচালক শাওকী খুব যত্ন নিয়ে কাজ করেন। নির্মাতা আর অভিনেতা যার যার কাজ সততার সঙ্গে করলে দর্শকের মন কাড়বেই। তাই আমি দর্শকদের কাছে নিজেকে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে খুব সচেতন থাকার চেষ্টা করি।’ শাওকী বা চঞ্চল সরাসরি না বললেও বাতাসে শুনছি ‘কারাগার’ এ অভিনয় করেছেন লেজেন্ডারি অভিনেতা আফজাল হোসেন, দক্ষ অভিনেতা ইন্তেখাব দিনার, বর্তমান সময়ের সুঅভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণসহ অনেকে। আশা করছি, ‘তাকদীর’ এর ফেরে ‘কারগার’-এ গিয়েও নির্মাণ ও গল্পে এই সময়ের দেখা পাবে দর্শক।
দীপ্ত টিভিতে স্ক্রিপ্টরাইটার হিসাবে কর্মরত। একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। জন্ম ময়মনসিংহে। এখন বসবাস ঢাকায়। ফিল্ম নিয়ে লেখালেখি করেন। এছাড়া ২০২১ সালে ঘাসফুল প্রকাশন থেকে ‘খেয়াবতী’ নামে একটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে।