শুক্রবার, নভেম্বর ২২

‘ঝঞ্ঝা ও পুনরুত্থান’ অনন্তকাল থেকে উৎসারিত পঙ্‌ক্তিমালা : আয়শা ঝর্না

0

’ঝঞ্ঝা ও পুনরুত্থান’ কবিতার এক মন্দ্র মধুর উচ্চারণে লিখিত কবিতারাশি, যেন এক অপার্থিব পৃথিবী লীণ হয়ে আছে এই কবিতাগুলির পঙ্‌ক্তিতে পঙ্‌ক্তিতে। অজস্র নীল জলরাশি আছড়ে পড়ে পাঠকের হৃদয়ে। পাঠক মন্ত্রমুগ্ধের মতো তার কবিতায় অবগাহন করে থাকে। অসীম কুমার দাসের কবিতা বিশুদ্ধ কবিতারাশি, যেন ফেনিল জলোৎসব। মৃত্যুকে জয় করেও, প্রেম বিরহ, আধ্যাত্মিকতার ঊর্ধ্বে উঠে তার কবিতা প্রয়াস। কবিতার পঞ্চপাণ্ডব বুদ্ধদেব বসু, বিষ্ণু দে, সুধীন দত্ত, অমিয় চক্রবর্তী, জীবনানন্দ দাস পরবর্তী সময়ে বাংলা কবিতার গতিপথ পুরোপুরি পাল্টে যায়। সে ধারাবাহিকতায় পরবর্তী প্রজন্ম নানাভাবে তার নিজের মতো করে কবিতায় নিরীক্ষা চালিয়েছেন। কবি অসীম কুমার দাস সে ধারারই একজন। যিনি নিজের মতো করে বিশুদ্ধ কবিতার পথে এগিয়েছেন। ছন্দে, শব্দে, বর্ণে, ফর্মে— সব দিক থেকেই তিনি তার কবিতাকে অর্ন্তলীন এক যাত্রাপথের সঙ্গী করে নিয়েছেন। যেন কবিতা এক বিশুদ্ধ, নিমগ্ন আত্মার গান। অতীন্দ্রিয় এক জগতের কথা বলে অসীম কুমার দাসের কবিতা। কবিতাকে কি ব্যাখ্যা করা যায় কিংবা ব্যবচ্ছেদ! —খুব সম্ভব না। কবিতা এক অধরা কুহেলিকাময় কবির ভাবনা থেকে জারিত শব্দরাশি যা কিনা তার পঠন পাঠনের মানসিকতা এবং অভিজ্ঞতাকে ধারণ করে।

ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক হওয়য়ায় বিশ্বব্যাপী কবিতার যে সব আন্দোলন হয়েছে সে সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহাল। ফলে তার কবিতায় শব্দ গাঁথুনি ও চয়ন খুব সুচিন্তিত যদিও কবিতা কখনো সুচিন্তিতভাবে লেখা হয় না তবু কবির পঠনের মননশীলতার ঝলক দেখা যায় কবিতার অজস্র পঙ্‌ক্তিমালায়। বোঝা যায় তার ভার। কবি অসীম কুমার দাসের কবিতা তেমনই এক ভাবনাজারিত। বিক্ষিপ্ত ভাবনা থেকে উঠে এলেও তা অত্যন্ত গোছানো, নিয়ন্ত্রিত। কবির ভাষায় ‘কবিতা আসলে কী তা সংজ্ঞায়িত করবার চেষ্টা যারা করেছেন তারা তীব্রভাবেই অবহিত ছিলেন যে শুধুমাত্র বৌদ্ধিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে কবিতাকে হৃদয়ে ধারণ করা যায় না। কারণ শেষ বিচারে কবিতা গ্রীক পুরাণের প্রোটিয়াসের মতো একটি সত্তা যার রূপ এবং প্রকৃতি নিয়ত পরিবর্তনশীল। জীবনানন্দ, ইয়েটস, এলিয়ট, পাউন্ড প্রভৃতি মহান কবিদের এ ক্ষেত্রে একটি অনিবার্য সুবিধা ছিল। কারণ তারা জানতেন যে বুদ্ধি একটা পর্যায়ে এসে তার কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে। তখন বোধ কাজ করে, অর্ন্তনিহিত অচেতনা ক্রিয়াশীল হয়ে ওঠে। আর তখনই কবিতা ভিনাসের মতো সমুদ্রের নীল জলরাশি থেকে জেগে ওঠে তার মৃত্যুহীন, রহস্যময় সৌন্দর্য নিয়ে, পৃথিবীর স্তব্ধতাকে চূর্ণ করে।’

কবি নিজেই নিজের কবিতাকে আইডেন্টিফাই করে দিয়েছেন যেখানে তার কবিতা বিশ্লেষণে না যেয়ে আমরা তার কবিতার দিকে তাকাই দেখি সেখানে লীন হয়ে আছে মৃত্যুর ভেতর দিয়ে মৃত্যুহীন এক জগৎ। শুধু মৃত্যুহীন—

আসলে তো
মৃত্যুহীন কবিতাই গান।
নেতি আছে
স্তব্ধতাও আছে
তবু তো শব্দের ধ্বনি
পোড়ানো যাবে না, কোনদিন,
হারিয়ে যাবে না তার শিখা—
আধুনিক অথচ প্রাচীন।

তার কবিতা হারিয়ে যাবার নয়। দীর্ঘ এক যাত্রার জন্য প্রস্তুত কবি অসীম কুমার দাসের কবিতা— যা মৃত্যুহীন অনন্তকালকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়। তার কবিতা পাঠে এক বিস্ময়বোধ জেগে ওঠে, বলে এই যে কবিতা এসেছে পাঠকের করতলে, মুগ্ধতায় মেলে ধরে গভীর মহাজাগতিক উপমা নিয়ে। কবি অসীম কুমার দাস তার ‘ঝঞ্ঝা ও পুনরুত্থান’ কবিতার বইটির মুখবন্ধে নিজেই তার কবিতা ভাবনাকে মেলে ধরেছেন। তিনটি পর্বে তার বইটি রচিত, পর্যায়গুলো হলো ‘প্রথমার্ধ’, ‘উত্তরার্ধ’ এবং ‘কবিতার উড্ডীন শিখায়’। এ পর্য়ায়গুলো তার কবিতা ভ্রমণের পর্যায়। আশির দশকের এক উজ্জ্বল কবি অসীম কুমার দাসের এই বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৯২ সালে অল্প কয়েক ফর্মায়। পরবর্তীতে আরও কবিতা যুক্ত করে ২০১১ সালে শুদ্ধস্বর থেকে বইটি পুন: প্রকাশিত হয়।

‘ঝঞ্ঝা ও পুনরুত্থান’ যেন এক ফেনিল উৎসব, উচ্ছ্বসিত কবিতারাশি— অনন্দ, বিষাদ, ক্ষয় নিয়ে এক নিবিড় ঘন স্বর উচ্চারিত হয়। পল এলুয়ার, র‌্যাবো, ভের্লেনের কবিতার পাশাপাশি পহ্চ কবির কবিতার প্রভাব, বিস্তার লক্ষ করা যায় অসীম কুমার দাসের কবিতায়।

‘অথচ ক্রন্দন থেকে যাবে’ কবিতায়—

তোমার পৃথিবী আর
আমাকে ছোঁবে না কোনোদিন—
অথচ বন্ধন থেকে যাবে,
অবলুপ্ত সূর্যের সোনায়
ঊষার ক্রন্দন থেকে যাবে।

..
আর কোনো লুব্ধ রাত্রি
বিপর্যস্ত আঙুলের ফাঁকে
তোমাকে ছোঁবে না—
রজনীগন্ধার গন্ধ
অন্তরীক্ষে ছড়াবে বেদনা।

এ যেন বিদীর্ণ আত্মার গান, ক্ষরণ চলে তবু তা সমাহিত, নির্লিপ্ততায় ছুঁয়ে যায় পাঠক হৃদয়। কবিতা কখনো বৌদ্ধিক জায়গা থেকে নির্মিত হয় না, তা উঠে আসে কবির গভীর বোধ থেকে যা তাকে জারিত করে বেদনায় কিংবা বিষাদে। অসীম কুমার দাসের কবিতা সে রকমই এক কবিতা সম্ভার, রূপকধর্মী, মননশীল গভীর তার উচ্চারণ।

‘অন্তহীন শাদা বিভাবরী’ কবিতায়—

শব্দেও আসে না
শুধু ধ্বনি
বাতাসে গোঙানি—
যাযাবর পাখিদের লাশ
যেন প্রকাণ্ড আকাশ,
বরফের
দিগন্ত-ডোবানো আঙিনায়
স্লেজের আলেয়া:
হিমায়িত মানুষের চোখ
চেয়ে আছে
নিষ্পলক,
দৃষ্টির ওপারে
অন্তহীন
শাদা বিভাবরী।

‘তুমি নেই’ কবিতায় তিনি তার নিজস্ব রূপকে সাজিয়েছেন। যেমন চুলের মতো হাসি, হলুদ নদীর আকাশ, কালো কথা! শব্দেরা তার কবিতায় নতুন করে বাঙ্ময়, প্রাণ পেয়ে হেসে ওঠে ঐশ্বরিক বিভায়। ‘তোমার চোখের হতাশায়’ কবিতায়—

কালো পাহাড়ের নিচে ঈশ্বর-বিলীন কুয়াশায়
ছায়মূর্তি—
কাক ডাকে
বাতাসে ভাঙন।

তার কবিতায় জীবনানন্দ দাশের চেয়েও এক ধুসর বিষণ্নতা ভর করে থাকে। মর্বিডিটি, নিঃসঙ্গ প্রাণের গান তার কবিতায় উঠে আসে অনায়াস ভঙ্গিতে—

একদিন
কবিতারও শেষ হয়,
হংসবলাকার নীল
নিস্তব্ধ ডানায়
অন্ধকার দিগন্তে মিলায়।

(তুমি আর আমি)

মৃত্যু চেতনার ওপারে আরেকটি জগতের নিগূঢ় ইশারা সে কবিতাকে অন্য একটি মাত্রায় পৌঁছে দেয়—

শোনো
আমি এক আদিম রাতের কথা বলি,
মোমের আলোয় রাঙা ঘর,
সেইখানে
এভারেস্ট ছুঁয়েছিলো
দুজনের দুরন্ত বাসনা,
..
মোমবাতি
নিভে গেছে কবে
বিলম্বিত সোনাটার মতো
ক্রমাগত পুড়ে পুড়ে পুড়ে
একদিন ছুঁয়েছে আঁধার।

(আদিম রাতের কথা বলি)

একইসাথে রোমান্টিসিজম, মৃত্যুচেতনা, বিষণ্নতা তার কবিতাকে অনন্য চূড়ায় পৌঁছে দেয়। ‘অযোনিসম্ভবা রাত্রি’ কবিতায়—

রুপ ফিরে গেল স্বপ্নে
স্বপ্ন ফিরে গেল কুয়াশায়,
তারপরে
নীলাকাশও নাই।

অযোনিসম্ভবা রাত্রি
চেয়ে থাকে
লুপ্ত তারকায়।

অসীম কুমার দাস অনেক কবিতা নিজের পরিচিত জনকে উৎসর্গ করেছেন। তার ভেতর কবি সুব্রত অগাস্টিন গোমেজকে যে কবিতাটি উৎসর্গ করেছেন তার কিছুটা অংশ না দিলেই নয়—

‘ঘুমা শুধু ঘুমা’
(সুব্রত অগাস্টিন গোমেজর জন্য)

দেবশিশু,
এখন ঘুমাও তুমি
মিসিসিপি নদীর সীমায়
তোমার উদভ্রান্ত রেটিনায়
নেমে আসে যেন লুপ্তি
নক্ষত্রের প্রশান্ত সময়।

আলোকিত পাখিদের উড়ন্ত ডানায়
তোমার ঘুমন্ত চোখে— পরাক্রান্ত শিরায় শিরায়
পরাজিত অন্ধকার দান্তে হোক
আলোর ঢেউয়ের মতো ফেনা।

এই যে ব্যাক্তি থেকে নৈর্ব্যাক্তিক এক বোধে তার অন্তহীন যাত্রা, অনন্তকালের হাতে রেখে যাওয়া শব্দরাশি, নশ্বর উচ্চারণে উচ্চারিত মন্ত্রবাণীর মতো কবিতা অনায়াসেই তার হাতে উঠে আসে। পাঠক নিমগ্ন হয়ে সে কবিতাতে ডুব দিয়ে তুলে আনেন অরুপ রতন, অমৃতের ভাণ্ডার— যা সহজে ফুরাবার নয়। তিনি যে ধারায় কবিতা লেখেন তা অনেক বেশি তীক্ষ্ণ, গভীর, অর্ন্তভেদী। সময়ের ঊর্ধ্বে সে কবিতা মহাজাগতিক ভ্রমণের জন্য প্রস্তুতি নেয়।

‘তমসো মা জ্যোর্তিময়’ কবিতায়—

দুলে ওঠে মেঘ-বিশ্ব
দিগন্তের নিচে
অগনিত মানুষের অনুপস্থিতির শেষে ভয়,
শ্মশান-বেতাল চোষে হাওয়া।

মন্ত্র জাগে— তমসাহারিণী খড়গে,
দেবলোকে প্রর্থনার শেষে
আগুন-ঝরানো ডানা
মৃত্যুঞ্জয় পাখি উড়ে যায়—
আলো-হারানো সুর্য
আর নাস্তির আকাশ-ভাঙা পথে।

দীর্ঘ কবিতার প্রতি কবির গভীর ভালোবাসা থেকে উৎসারিত পঙ্‌ক্তিমালা যেন মন্ত্রোচ্চারণের মতো উচ্চারিত হয় পাঠক হৃদয়ে, ঝংকৃত, মন্দ্র মধুর স্বরে পাঠককে চমৎকৃত করে, টেনে নেয় কবিতার গহন ঘন রাত্রির তলদেশে, সেখান থেকে হাতে উঠে আসে রাশি রাশি মুক্তদানা। এ কবিতা পড়তে পাঠককে তৈরি হতে হয়। বহুল পঠিত হয় না এ ধরনের কবিতা। ফলে কবি অসীম কুমার দাস বহুল পঠিত না হয়েও আশির দশকের এক গুরুত্বপূর্ণ কবি এবং তার কবিতার যাত্রা অসীমকালের। অত্যন্ত সুচয়িত, শব্দচয়নে শৃংখলিত, ছন্দবদ্ধ, রূপকে নির্মিত তার কবিতা হৃদয়ের অনুভূতিকে শাসন করে বিক্ষিপ্ত করে না। এখানেই তার কবিতা অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যায়।

আগুন আগুন খেয়ে
বসে আছি আমি—
পুড়ে যায় অন্ত্রনালী
পুড়ে যায় এই মরদেহ
সম্মুখে পেছনে নাই কেহ,
পুড়ে যায় পিঙ্গলা ও ইড়া।

অসিতবরণী দেবী
কখন সবুজ হবে আলো?

(এখন আগুন-খাওয়া আমি)

কবি অসীম কুমার দাস সেই কবি যিনি কবিতাকে প্রার্থনার মতো করে নিয়েছেন। অনেকটা কোলরিজের মতো। এক ধরনের মিষ্টিসিজম আছে তার কবিতায়। তিনি নিজেই তার কবিতাকে ব্যবচ্ছেদ করেছেন কবিতার উড্ডীন শিখায়…

‘কবিতার দুটি প্রধান মাত্রা বা রূপ আছে যারা যেনবা মন্ত্রবলে আমাদের সীমায়িত বাস্তবের বন্ধন ছাড়িয়ে নিয়ে যায় সেই অসীম চৈতন্যের বাধাহীন বিরাট প্রঙ্গণে যেখানে সাময়িকভাবে হলেও আমরা মহাবিশ্বের অমোচনীয় একত্ব সম্পর্কে বিদ্যুচ্চমকে সচেতন হয়ে উঠি। প্রথমটি হচ্ছে কাব্যের ধ্বনিময় রূপ দ্বিতীয়টি হচ্ছে অর্থময় রূপ। ..

মানসিক ও আধ্যাত্মিকভাবে অসুস্থ ও বিপর্যস্ত মানুষের জন্য কবিতা হচ্ছে সেই বিশল্যকরণী যা রাবণের শক্তিশেলের আঘাতে মূর্ছিত লক্ষণকে পুনরুজ্জিবিত করেছিল।

তিনি উপসংহারে আরও বলেন যে, ‘মানসিক ও আধ্যাত্মিকভাবে অসুস্থ ও বিপর্যস্ত মানুষের জন্য কবিতা হচ্ছে সেই বিশল্যকরণী যা রাবণের শক্তিশেলের আঘাতে মূর্ছিত লক্ষণকে পুনরুজ্জিবিত করেছিল।’

তারপর নিশ্চয়ই তার কবিতা নিয়ে বিশ্লেষণ করা কিংবা ব্যবচ্ছেদ করা আমাদের কম্ম নয়। কবি অসীম কুমার দাসের কবিতা অসীমের যাত্রায় আলোর কাণ্ডারি। তার কবিতার পাঠক যারা তাদের অবশ্যই কবিতা পাঠের প্রস্ততি থাকতে হয়— যেখানে দর্শন, ইতিহাস অধ্যাত্মিকতা একাকার হয়ে মিশে আছে কবিতার ছত্রে ছত্রে। মহাকালের যাত্রায় অগ্রগামী যাত্রী কবি অসীম কুমার দাসের কবিতার প্রতি রইল অফুরন্ত ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা।

শেয়ার করুন

লেখক পরিচিতি

নব্বই দশকের কবি, অনুবাদক, প্রাবন্ধিক ও গল্পকার। ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর, এম.এড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। জন্ম ঢাকায়, পেশা শিক্ষকতা। আয়শা ঝর্নার কবিতা বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক পরিসরে ইংরেজিতেও ছাপা হচ্ছে। প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ : ‘আাঁধার যান’ (কবিতা, ১৯৯৬), ‘মাত্রমানুষ’ (কবিতা, ২০০৩), ‘উনুনের গান’ (কবিতা, ২০০৫), ‘আয়না রক্ত হল্লা’ (কবিতা, ২০০৭), ‘বাতাস তাড়িত শব্দ’ (কবিতা, ২০১০), ‘শূন্য ও পৃথিবী’ (কবিতা, ২০১৭), ‘গোলাপের নাম মৃত্যু’ (কবিতা, ২০২১), ‘সিলভিয়া প্লাথের এরিয়েল’ (অনুবাদ, ২০১০), ‘নারীস্বর’ (বিশ্বের নারী কবিদের কবিতার অনুবাদ, ২০১৪), ‘কাভাফি’র কবিতা’ (অনুবাদ, ২০১৮), ‘চারকোল’ (গল্প, ২০০৮), ‘শিল্প ও নারীসত্তা’ (প্রবন্ধ, ২০১৩)।

error: আপনার আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় ।