দেখতে দেখতে শ্রী-র বয়স এক বছর হয়ে গেল। এ এক বিশাল প্রাপ্তি আমাদের জন্য। নিজেদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য হলেও। শুরুটা হয়েছিল ২০২০ সালের কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে। নিজের লেখালেখিকে একটা জায়গায় সংরক্ষণ করার উদ্দেশ্যে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে চেয়েছিলাম। পরবর্তীতে মনে হলো আমার পছন্দের লেখাগুলোও যদি সেখানে রাখা যায় তো মন্দ কী! শ্রী-র যাত্রাটা এভাবেই। এই জার্নিতে সাইটের ডেভলপ করে দিয়েছেন প্রণব কুমার রায় রাহুল। লোগো করে দিয়েছেন শিল্পী রাজীব রাজু। আর শুরু থেকেই অলংকরণ থেকে শুরু করে নানাবিষয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন কবি ও শিল্পী রাজীব দত্ত। এই মানুষদের কাছে আমার অশেষ ঋণ। এই ঋণটা থাকুক।
২০২১ সালের আমার সবচেয়ে বড়ো অর্জন বলতে হলে বলতে হবে শ্রী-কে দাঁড় করানো। কাজটা মোটেও সহজ ছিল না। কিন্তু সকলের সহযোগিতায় তা চলমান রাখতে পেরেছি এখনও। শ্রী-কে এগিয়ে নিতে সামনে আরও কিছু পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। যা ক্রমশ প্রকাশ্য।
এ পর্যন্ত লেখা প্রকাশ করেছি ৫২২টি। দুটি ঈদ সংখ্যা, ইরানি শিল্পসাহিত্য নিয়ে ‘রঙিন পুঁতির মালা’, ঋতুপর্ণ ঘোষকে নিয়ে ‘ঋতুরোদ’ এবং বুদ্ধদেব দাশগুপ্তকে নিয়ে সংখ্যা সাজানোর পাশাপাশি সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষে শ্রী আয়োজন করেছে বর্ণাঢ্য এক সংখ্যা। যা পরবর্তীতে প্রিন্টেও নিতে পেরেছি।
কাজটা ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মতো করেই করে যাচ্ছি এখনও। তবে অর্থনৈতিক সাপোর্ট পেলে শিল্প-সাহিত্যের এই জায়গাটিকে দারুণভাবে কাজে লাগাতে চাই। সে কারণেই আমরা স্পন্সর খুঁজছি। ২০২২ সালে আমাদের লক্ষ্য স্পন্সর খুঁজে বের করা এবং মান সম্পন্ন আরও কিছু দারুণ সংখ্যা প্রকাশ করা যা পরবর্তীতে প্রিন্ট ভার্সনেও আনার ইচ্ছা।
প্রতিষ্ঠাবর্ষিকীতে আমাদের সকল লেখক পাঠক শুভানুধ্যায়ীসহ সকলকে আমার ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা জানাই। আগামী দিনেও আপনাদের পাশে পাবো এই আশা রাখি।
বিধান সাহা
সম্পাদক, শ্রী
…