বির্কেনাও : জাইক্লোন-বি’র নীল ছোবল
শাকুর মজিদ
পঞ্চপর্যটকদের নিয়ে বয়ে বেড়ানো দুটো প্রাইভেটকার আসভিচ থেকে বেরিয়ে ছুটে চলে সেই বির্কেন (Birkenau)-এর দিকে। এই বির্কেনাও এখান থেকে ৪-৫ কিলোমিটার দূরে। ভুল করে যেখানে আমরা আগেই গিয়ে পৌঁছেছিলাম, এখন আমরা যাচ্ছি ভালো করে সে জায়গাটা দেখে নিতে।
আসভিচে যখন বন্দির সংখ্যা বেড়ে যেতে লাগল, প্রতিদিন পড়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার বন্দি আসতে শুরু হলো, ১৯৪১ সালের অক্টোবর মাসে মূল ক্যাম্প থেকে চার কিলোমিটার দুরে এই বার্কেনাভে সব থেকে বড়ো ক্যাম্পটি তৈরি করা হয়। এর শ্রমিক ছিল মূলত বন্দিরাই। এটি মূল আসভিচ ক্যাম্পেরই বর্ধিত অংশ।
হিটলার যখন ঘোষণা করলো ‘ফাইনাল সল্যুশন অব দ্য যিউস কোয়েশ্চেন’ তখন হাজারে হাজারে ইহুদি বন্দি আসতে থাকল পুরো ইউরোপ থেকে। সে সময়ে বন্দিদের আনা হতো ট্রেনে করে। এখনো বহাল তবিয়তে এই রেললাইন পড়ে আছে এখানে।
হিটলার যখন ঘোষণা করলো ‘ফাইনাল সল্যুশন অব দ্য যিউস কোয়েশ্চেন’ তখন হাজারে হাজারে ইহুদি বন্দি আসতে থাকল পুরো ইউরোপ থেকে। সে সময়ে বন্দিদের আনা হতো ট্রেনে করে। এখনো বহাল তবিয়তে এই রেললাইন পড়ে আছে এখানে।
আমাদের গাড়ি থামে এই রেললাইনের পাশে। এর পাশেই কাঁটাতারে ঘেরা সেই ক্যাম্প। ক্যাম্প বার্কেনাভ। এখানে ব্যারাকগুলো এমন করে বানানো যাতে করে ট্রেনের ওয়াগনগুলো সরসরি ব্যারাকের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া যায়।
এখানে এই বির্কেনাও ক্যাম্পে পৃথিবীর কুখ্যাত গ্যাস জাইক্লোন-বি এর প্রয়োগে সব চেয়ে বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়। যদিও জাইক্লোন-বি’র পরীক্ষামূলক প্রয়োগ প্রথম ঘটানো হয়েছিল আসভিচ-১ ক্যাম্পে।
আসভিচ-১ ক্যাম্পের ১১ নাম্বার ব্লকের বেসমেন্টকে গ্যাসচেম্বারের উপযোগী করে তৈরি করে ১৯৪১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ছয়শ’ রাশিয়ান যুদ্ধবন্দি এবং আড়াইশ’ পোলিশ রাজবন্দির ওপরে প্রথম জাইক্লোন-বি নামের সায়ানাইড যুক্ত বিষাক্ত গ্যাস পরীক্ষা করা হয়। Cyclone এর জার্মান শব্দ Zyklon আর বি এসেছে প্রুসিক এসিডের জার্মান নাম Blausaure এর সংক্ষেপ থেকে। আসভিচ-১ যখন জাইক্লোন-বি তার মিশন সফল করলো তখন এই বার্কেনাভ ক্যাম্পে পরিকল্পিত ভাবে গ্যাস চেম্বার বানানো হলো।
প্রতিটি ব্যারাকের বেসমেন্টে গ্যাসচেম্বার। গ্যাস চেম্বারগুলো ছিল এয়ারটাইট। চেম্বারে ঢোকার মুখেই একটি রুম থাকত। সেখানে বন্দিদের সমস্ত জামা কাপড় খুলে রাখা হতো। গ্যাস চেম্বারের মূল হলঘরের দরজা ছিল গ্যাস নিরোধক। দরজা বন্ধ করার সাথে সাথে এখান থেকে বাতাস বের হওয়ার কোনো রাস্তা থাকত না। এর পরে যখন গ্যাস তার কার্য সমাধা করত তখন এর ভেন্টিলেটারগুলো খুলে দেওয়া হতো এবং চেম্বার থেকে সব গ্যাস বেরিয়ে যেত। গ্যাস চেম্বারের একদিকে থাকত আগুনের চুল্লি। আগুনের চুল্লির সাথে লম্বা চিমনি। গ্যাস বেরিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে লাশগুলো টেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য থাকত ছোটো ছোটো ওয়াগন। এই ওয়াগন ভরে লাশ নিয়ে সরাসরি চুল্লির ভিতরে ছেড়ে দেওয়া হতো।
বন্দিদের এই গ্যাস চেম্বারে নেওয়ারও একটা পদ্ধতি ছিল। এদেরকে দুইভাগে ভাগ করে রেজিস্ট্রেশন করা হতো। তারপরে বৃদ্ধ নারী পুরুষ এবং শিশুদের বলা হতো তোমরা জার্নি করে এসেছো তোমাদের এখন গোসল করতে হবে।
সে সময় তাদের কাপড় চোপড় খুলে উলঙ্গ করে গ্যাস চেম্বারে ঢুকিয়ে দেওয়া হতো। গ্যাস চেম্বারের সিলিংয়ে ফলস সাওয়ার ট্যাপ লাগানো থাকত। বন্দিরা যখন সাওয়ার থেকে পানি পড়ার অপেক্ষায় থাকত তখন চেম্বারের মধ্যে জাইক্লোন বি ট্যাবলেট ছেড়ে দেওয়া হতো। এর পরে হৈ চৈ চ্যাচ্যামেচির শব্দ। তিন থেকে পনেরো মিনিটের মধ্যে সব নিস্তব্ধ।
আমরা সেই রেললাইনের ওপরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ডানে বামে তাকিয়ে সেই সব গ্যাস চেম্বার খুঁজতে থাকি। কিন্তু যেদিকে তাকাই শুধুই সবুজ ঘাস।
আসভিচ -১ এ এরকম একটা গ্যাস চেম্বার দেখে এসেছি।
১৯৪৩ সালের দিকে যখন হাঙ্গেরি আর চেকোস্লাভাকিয়া থেকে হাজারে হাজারে ইহুদি বন্দিদের আনা হতে থাকল, তখন ট্রেনে তোলার সময় বন্দিদের দুই ভাবে ভাগ করে ট্রেনে তোলা হতো। কর্মক্ষম নারী পুরুষদের জন্য আলাদা ট্রেন আর কর্মঅক্ষম নারী পুরুষদের আলাদা ট্রেন। কর্মক্ষম নারী পুরুষদের ট্রেনটি চলে যেত শ্রমিক হিসেবে রেজিস্ট্রেশনের জন্য আর কর্মঅক্ষম নারী-পুরুষ-শিশুদের ট্রেনটি সরাসরি ঢুকে যেত ব্যারাকের মধ্যে গ্যাস চেম্বারে। সেখানে ওয়াগনগুলো রেখে শুধু ইঞ্জিনটি বেরিয়ে যেত ব্যারাকের আরেক মাথা দিয়ে। ব্যারাকের মধ্যে পড়ে থাকত মানুষভর্তি ওয়াগন গুলো। তার পরে চতুর্দিক থেকে বন্ধ করা এইসব ব্যারাকের মধ্যে জাইক্লোন-বি ছেড়ে দেওয়া হতো। তিন থেকে পনেরো মিনিটের মধ্যেই সব শেষ। তার পরে আরেকটি ইঞ্জিন এগিয়ে যেত ব্যারাকের মধ্যে। ওয়াগনগুলো টেনে নিয়ে যেত সব সময় জ্বলতে থাকা একটি চিমনির সামনে। সেখানে বন্দি শ্রমিকরা লাশগুলো ঠেলে ঠেলে জলন্ত গনগনে আগুনের মধ্যে ফেলে দিত। চিমনির আরেক মাথা থেকে ছাই আকারে বেরিয়ে যেত সেইসব লাশ। এই ছাই একসময় স্তূপ আকারে জমে জমে পাহাড়সম হতে থাকল। এই ছাই ফেলার জন্য চিমনির মাথায় পুকুর খনন করা হলো। সেই সব পুকুর এখন আমাদের চোখের সামনে।
হিটলারের নাৎসীবাহিনী তখন স্বল্প খরচে মানুষ হত্যা করার নতুন নতুন পদ্ধতি আবিষ্কারে মশগুল। গুলি করে হত্যা করতে অনেক খরচ। প্রতিটি গুলির অনেক দাম। হত্যার পরে কবর দেওয়া সেও অনেক সময় এবং শ্রম সাপেক্ষ ব্যাপার। তাছাড়া একসময় কবরে কবরে ভরে যাবে পুরো ক্যাম্প এলাকা। সে কারণেই তারা হত্যা এবং সমাধিস্থ কাজ একই প্যাকেজে সেরে ফেলার এই সহজতর পদ্ধতিটি আবিষ্কার করেছিল।
ব্যারাকগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে কিন্তু ঢাকার অদূরে আশুলিয়ার ইটের ভাটার চিমনিগুলোর মতো গ্যাস চেম্বারের চিমনিগুলো সারি সারি এখন দাঁড়িয়ে আছে মাথা উঁচু করে।
বার্কেনাভের বিশাল চত্বরটি এখন শুধুই একটি বিশাল মাঠ। চারদিকে কাঁটাতারের বেড়া, মাঝখানে কয়েকটি এখনও অক্ষত ঘর, একটি লম্বা রেলপথ, একটি শূন্য প্লাটফর্ম, আর তার পাশে এক নিরীহ ওয়াগন। আহ! এই সেই ওয়াগন! প্রায় ৭০ বছরের আয়ু নিয়ে এক নিরীহ ওয়াগন আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে। ওর মুখে যদি কথা ফোটানো যেত!
পোল্যান্ডের মাইনাস চব্বিশ ডিগ্রি তাপমাত্রায় কাঠের ফ্লোরে গাদাগাদি করে শুয়ে থাকত হাজার হাজার বন্দি। সেই প্রচণ্ড শীতে মানুষগুলো ঠক ঠক করে কাঁপত আর অপেক্ষায় থাকত প্রাণ পাখি খাঁচা ছেড়ে উড়ে যাওয়ার। সারাদিন হাড়ভাঙ্গা খাটুনির পরে এরকম কাঠের খোপ খোপ বাঙ্কারে একসাথে থাকত কয়েক শ বন্দি।
ভোর চারটেই বন্দিদের তিন সারিতে দাঁড় করিয়ে প্রথমে রোল কল করা হতো। তারপরে তাদের ১৫ মিনিট সময় দেওয়া হতো প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য। আর প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা ছিল খোলা একসারির গর্ত। সেখানে নারী পুরুষ নির্বিশেষে তাদের প্রাতকর্ম শেষ করতেন।
তারপরে তাদের ছুটতে হতো কাছের কারখানাগুলোতে স্বেচ্ছা শ্রম দিতে। সারাদিন হাড়ভাঙা খাটুনির পরে আবার তারা ফিরে আসতো এই ক্যাম্পে। সারাদিন পরে তাদের একবেলা খাবার দেওয়া হতো। সে খাওয়ার ছিল একমগ স্যুপ আর একটি রুটি। কাঠের একটা লম্বা পাইপ দিয়ে ভেসে যেত স্যুপ সেখান থেকেই মগ চুবিয়ে উঠিয়ে নিত তারা।
তারপরে তাদের ছুটতে হতো কাছের কারখানাগুলোতে স্বেচ্ছা শ্রম দিতে। সারাদিন হাড়ভাঙা খাটুনির পরে আবার তারা ফিরে আসতো এই ক্যাম্পে। সারাদিন পরে তাদের একবেলা খাবার দেওয়া হতো। সে খাওয়ার ছিল একমগ স্যুপ আর একটি রুটি। কাঠের একটা লম্বা পাইপ দিয়ে ভেসে যেত স্যুপ সেখান থেকেই মগ চুবিয়ে উঠিয়ে নিত তারা।
এই বার্কেনাভ ক্যাম্পে মাত্র ছয় হাজার এসএস সৈন্য হত্যা করেছে প্রায় নয় লক্ষ মানুষ। ২৭ জানুয়ারি ১৯৪৫, যখন সোভিয়েত রেড আর্মি এই বার্কেনাভ ক্যাম্প দখল করে, তখন এই ক্যাম্পের ৩০০ ব্যারাকের মধ্যে প্রায় সবই ধ্বংস করে গেছে এসএস বাহিনী। এই ৩০০ ব্যারাকের মধ্যে মাত্র ১৯ টিকে আগের মতো করেই পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে। ১৯ টি পুনর্নির্মিত ব্যারাকের মধ্যে ১৮ টিই এই প্রবেশ পথের আশেপাশে যেগুলোকে আমরা দেখছি।
সোভিয়েত রেড আর্মি যখন আসভিচের দিকে এগিয়ে আসছে, তখন ২৫ নভেম্বর ১৯৪৫ এসএস প্রধান হেনরিক হিমলার আদেশ জারি করলেন, আসভিচ এবং বার্কেনাভ-এর সমস্ত গ্যাস চেম্বার ধ্বংস করে ফেলতে। সে আদেশ বলে এসএস বাহিনী বার্কেনাভ ক্যাম্পের সমস্ত ব্যারাক ধ্বংস করে ফেলে এবং নির্যাতন ও হত্যার সমস্ত আলামতও তারা বিলুপ্ত করার চেষ্টা চালায়।
আর এসএস বাহিনী যখন নিশ্চিত পরাজয় জেনে এই এলাকা ছেড়ে চলে যায়, তখন তারা প্রায় ৬০ হাজার বন্দিকে নিয়ে যায় তাদের সাথে। নিজেরা গাড়িতে গেলেও বন্দিদের তারা হাঁটিয়ে বা দৌড়িয়ে নিয়ে যায়। যারা তাদের সাথে তাল মিলিয়ে দৌড়াতে পারেনি তাদেরকে তারা গুলি করে হত্যা করে। এভাবে তারা প্রায় ১৫ হাজার বন্দিকে গুলি করে হত্যা করে যাত্রা পথেই।
তারপরেও সোভিয়েত রেড আর্মি এই বধ্যভূমি থেকে প্রায় সাত হাজার বন্দিকে উদ্ধার করে। তাদের সবাই ছিল বৃদ্ধ নারী পুরুষ এবং শিশু। এদের সবাই ছিল অসুস্থ এবং তাদের অধিকাংশেরই ওপর ঔষধ এবং কেমিক্যালের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়েছিল।
সোভিয়েত রেড আর্মির উদ্ধারকৃত বন্দিদের মধ্য থেকে প্রায় ৯০০ বন্দি মৃত্যু বরণ করে এবং তাদের একসাথে এখানে এই জায়গায় সমাধিস্থ করা হয়। এখানে এই আসভিচ ক্যাম্পে যারা জীবন বলি দিয়েছে তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে চারটি শিখা-প্রজ্বলন করা হয়। সেই শিখা আজও জ্বল জ্বল করে জ্বলছে আলোক-বর্তিকা হিসেবে।
দূরে সূর্যটা অস্ত যেতে থাকে। কিন্তু শিখা চারটি জ্বলতে থাকে। আমাদের আর ভালো লাগে না। জাইক্লোন-বি’র নীল ছোবল আঘাত হানতে থাকে মানবিক অনুভূতিতে। আমরা পালাতে থাকি দিনের শেষ আলোটুকু নিঃশেষ হওয়ার আগেই।
দূরে সূর্যটা অস্ত যেতে থাকে। কিন্তু শিখা চারটি জ্বলতে থাকে। আমাদের আর ভালো লাগে না। জাইক্লোন-বি’র নীল ছোবল আঘাত হানতে থাকে মানবিক অনুভূতিতে। আমরা পালাতে থাকি দিনের শেষ আলোটুকু নিঃশেষ হওয়ার আগেই। যেতে যেতেই কাঁটাতারের বেড়াটির দিকে তাকাই। কাঁটাতারের বেড়ার তিক্ষ্ণফলাগুলো তাকিয়ে আছে চোখের দিকে।
এখানের মাটিগুলো খুব উর্বর। কাঁটাতারের বেড়া আর আশপাশে যে সকল গাছপালা, লতা-গুল্ম ফুটে আছে, তাও বেশ সতেজ। এতো উর্বরতা এই উদ্ভিদগুলো কোথা থেকে পেল?
সন্ধ্যা হয়ে এসেছে। আমরা ৫ জন ভাগাভাগি করে ২টি গাড়িতে উঠে পড়ি। এর মধ্যে ওমর ভাই এসে যোগ দিয়েছেন আমাদের মাঝে। তিনি জিজ্ঞেস করেন, হিটলারের কাণ্ডকারখানা কেমন দেখলে? আমরা কেউ কোনো জবাব দেই না। আমাদের এখন আর কারো সাথেই কথা বলতে ইচ্ছে করছে না।
রাতে ফিরে আসি আমাদের এপার্টমেন্টে। কথা ছিল, আজ রাতে বাইরের কোনো রেস্টুরেন্টে আমরা খাব, রাতের ক্যাতাভিৎসে সসনোভিস শহর দেখব। কিছুই হলো না। রুমে ফিরে এসে দেখি সবাই ঝিমাচ্ছে। কারো মনে কোনো ফূর্তি নাই। সাঈদ ভাই ওমর ভাইকে দিয়ে ‘শিল্ডার্স লিস’ এর ডিভিডিটা আনিয়েছেন। ছবিটা তাঁর দেখা ছিল না, আমরা ছবি দেখতে বসি। ৫ মিনিট পর আরিফ ভাই বলেন, বন্ধ করো এটা। দেখব না। আমি ঘুমাব। আমরা বিছানায় চলে যাই।
ধারাবাহিকটির অন্য পর্বগুলো পড়ুন :
পোল্যান্ড : লেস ওয়ালেসার দেশ ।। পর্ব-০১
পোল্যান্ড : লেস ওয়ালেসার দেশ ।। পর্ব-০২
পোল্যান্ড : লেস ওয়ালেসার দেশ ।। পর্ব-০৩
পোল্যান্ড : লেস ওয়ালেসার দেশ ।। পর্ব-০৪
পোল্যান্ড : লেস ওয়ালেসার দেশ ।। পর্ব-০৫
পোল্যান্ড : লেস ওয়ালেসার দেশ ।। পর্ব-০৬
পোল্যান্ড : লেস ওয়ালেসার দেশ ।। পর্ব-০৭
পোল্যান্ড : লেস ওয়ালেসার দেশ ।। পর্ব-০৮
জন্ম ২২ নভেম্বর, ১৯৬৫। তিনি একজন বাংলাদেশি স্থপতি, নাট্যকার, তথ্যচিত্র নির্মাতা ও চিত্রগ্রাহক। ভ্রমণকাহিনি ও জীবনী সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি ২০১৮ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।