১.
এখান থেকে উঠে আসব ভাবি—
ভাবনার এই ক্রিটিক্যাল দূরত্বে
একটি জামরুল গাছ আর তার অধিকন্তু
হারমোনি হারমোনি— ঠান্ডা লাল শীতের ভিতর দিয়ে
হেঁটে যাবে আমার জ্বরতপ্ত আরও বার দুয়েক
দেখলে সাঙ্ঘাতিক যৌনদক্ষ মনে হয়
মেয়েটিকে নিয়ে আমি আবারও ট্যুরে যাব মনে মনে
উলের জামার ভিতর উষ্ণ দুধ খাব
ওর দোতলার কাঠের বারান্দায়—
পান করব আমার কখনো লিটারেলি পাঁচমারি না-যাওয়া
২.
আবার পৃথার কথা বলি, গুণ ছড়ায়
প্রার্থিত রঙে ভাসমান হই
খুব দেরি হয়ে গেছে এইভাবে শিশার ভিতর লোকাল ট্রেন—
বৃষ্টিভেজা লোহার কামরায় পৃথার পিঙ্ক চুড়িদার
আর Valium 5mg-তে গা ভাসিয়ে
আজ সারাদিন পার করে দেব
৩.
এই সেদিনও চাঁদসি ভবনের নিচে মুদির দোকানে ভাইকে নিয়ে
বিস্কুট কিনতে এসেছ অবেলায়
তোমার গায়ের রং এখন আমার মনের মতো
আমার মনের মতো ওই তোমার অল্পবয়স
যেন তার থেকে একদানা নিয়ে জানালায় একটি পিঁপড়ে
ট্রানজিশনাল ফেজের দিকের চলে গেল এই মাত্র
৪.
কাঠপোল পার করে আরও দূরে যাওয়া যায়
চায়ের দোকান, প্রার্থনা, ভাষার সন্ধিক্ষণে
দত্তপুকুরে আমাদের ফ্যালাসির ধারে রেপড হওয়া মেয়েটি এখন
কুঁকড়ে শুয়ে আছে, তার অস্ফুট ভাষা ব্যবহার থেকে
খসে পড়ছে সমস্ত কারক, বিভক্তি ও সমাস
তার অনুনয়ের ভাষা এখনও মাথা নিচু করে বসে আছে
দূরে পুলিশ ফাঁড়িতে, তড়কা-রুটি ও কর্তব্যবোধের পাশে
নিভু নিভু হলুদ ডুম খুব আস্তে সকাল হচ্ছে
৫.
আমার মেঘলা আসে, মেদুর দপদপ করে ওঠে
সম্ভাবনায় ধূমপান করি, কফি খাই, স্ট্রবেরি-অ্যালার্মক্লক ক্যাফের
নীরবতায় বহমান মেয়েটির রোদচশমায় প্রতিফলিত হই
এভাবেই আমার মেলানকলি বদলে যাচ্ছে ধীরে ধীরে
আগামীকাল দুপুরের ভিতর যদিও তেমন কিচ্ছু হবে না
মেয়েদের হাতব্যাগের মতো রহস্যময়
একটা সফলতার ভিতর আমি শুয়ে শুয়ে টের পাই
আগামীকাল এগারোটা চল্লিশ নাগাদ আমি
তরুণ কবির প্রথম কবিতা বইয়ের ফাইনাল প্রুফ হব
ফাটিয়ে দেব বাংলাবাজার
লেখালেখির শুরু নব্বই দশকের মাঝামাঝি। কবিতা লেখার পেডিগ্রি বলতে দৈবক্রমে বিনয় মজুমদারের প্রতিবেশী। ‘গান্ধার’ পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৯৮ সালের বইমেলায় অল্প কিছু কবিতা নিয়ে গান্ধার থেকেই প্রথম কবিতা সংকলন, ‘নম্র বৈশাখী ও নীলিমার অন্যান্য আয়োজন’ প্রকাশ হয়। বর্তমানে তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা চারটি: ‘চন্দনপিঁড়ি’ (২০১৪) ‘অশ্রুতরবার’ (২০১৯) ‘সৌম্য যেভাবে আকাশ দেখেছিল’ (২০২০) এবং ‘অশ্রুত রবার ফুল’ (২০২১)।