দরজা
কেউ আসে—কেউ যায়!
আমি কি এসেছিলাম—
……………..নাকি আসিনি।
আজও জানি না—
কি অদ্ভুত এই পথ।
কতো মানুষ এলো-গেল
আর আমি তার কিছুই টের পেলাম না!
ফুলের শব্দ
তুমি এক ঋতু—
বাগান সে কথাই বলছে
…………ফুলের শব্দের ভেতর
নিবিড়, একেকটি মথ
কোত্থেকে উড়ে এসে—
আবার হারিয়ে যাচ্ছে সেখানে…
ভাবছি—
সেইসব কথার মাথামুণ্ডু কী
কোথায় যাচ্ছে তারা
কোন গৃহে—
কোন দরজায়—
কোন হৃদয়ের ফাঁকে উড়ছে
…………এমন হাওয়ার ইশারা
এ কী মাথার কাজ—
এ কী সর্বস্ব ব্যথা—
এ কী ছোট্ট জামা—
লুকানো দেহের আবির
…………সেখানে তোমার হাত—
…………যদিও আমার কপাল
……………………শিশুর মতো
তুমি যেমন ইচ্ছে—
এখন তাকে নিয়ে খেলতে পারো
দূরে, বীজ ফেটে যাওয়া শব্দ
তীব্র রোদের ফুল—
তুমি চিৎকার করো না
ভাবো, এটা তুমি এবং তুমিই
পৃথিবীর সমগ্র খেলনা—
……………..আর দোহাই
কে বানিয়েছে তাকে?
তার রূপ—এমন রূপক
আমাকে ভেঙে ভেঙে
যেন তুমিই আমি—
………আর আমিই তুমি
একটি প্রশ্নের মতো
আকাশের দিকে তাকিয়ে—
হঠাৎ নিশ্চুপ বেঁকে যাচ্ছি আমি
আমাকে বুকে নাও—
ওখানে এক বাগান
দ্যাখো, ফুলের শব্দে ভেতর
……………….একটি মথ—
কেমন দিশেহারা হয়ে
ঘুরে ঘুরে নাচছে…
প্রকৃতি
আমাকে কোলে নাও—
যদিও আমি চল্লিশ
ওখান থেকে সিক্সটি নাইন—
যেতে খুব সময় লাগবে না
বড়োজোর তিরিশ মিনিট
দুদিক থেকে আমরা
এক ঈশ্বরকে ডাকব—
আমাকে নামিও না
কিছুক্ষণ শাসন করো
একা পারবো না—
কেউ একা একা পারে না
কখনই হয় না
এমনি এমনি মানুষ—
ওরা সাদা-কালো বাচ্চা
ওরা পালিয়ে বেড়ায়
এমনকি সারা পৃথিবী
আমার ছোট্ট বাচ্চাটা—
যখন সমুদ্রে এসে দাঁড়ায়
তুমি তার উদ্বেলিত বল
ভাসিয়ে রাখো তাকে ডানায়
যেন হোচট খেলো এইমাত্র—
জন্ম আর ধ্বংসের সব রাতেই
এমন কালো…
কেউ কাউকে শিশু ছাড়া আর—
কিছুই ভাববো না
আমাকে কোলে নাও—
মাথায় রাখো
কখনও মাটিতে ফেলো না।
নিরাপত্তা
নিরাপত্তার কথা বলো না—
ওটা আমার নাই
নিজের কাছেই নিজের নাই।
ধরো, এক অন্ধ—
গান গাইছে
তুমি শুনছো তো?
দেখো বসন্ত খুব ছোট্ট—
যেমন আমার জীবন!
কালো—
রাতের পর রাত
আমি ঘুমিয়ে কাটাচ্ছি
আর তোমার পোশাকে ঢাকা আকাশ—
চুমকি ছড়াচ্ছে।
আমি অন্ধ—
নিরাপত্তা নাই
তুমি চাইলে ছুটে পালিয়ে যেতে পারো—
দূরে, বহুদূরে…
ভালোবাসা
তোমার ভেতর লুকিয়ে আছি—
…………….একরকম ভয়ে
কখনওবা স্বপ্নের মতো!
ঘটনা নিতান্তই এমন যে—
……………আমাকে দেখা মাত্রই
তোমার অতীত—
বর্তমান সবকিছু গোল্লায় যাবে।
জন্ম ২৫ এপ্রিল ১৯৮৪। ১৪নং আকুয়া মাদ্রাসা কোয়ার্টার, ময়মনসিংহ। পেশা: চাকুরি। প্রকাশিত বই: ‘নুর নুর বলে চমকায় পাখি’ [ কবিতা, বেহুলাবাংলা-২০২০], ‘একাই হাঁটছি পাগল’ [কবিতা, দ্বিতীয় সংস্করণ : বেহুলাবাংলা-২০২১]