বাংলাদেশের লোকায়ত পরিমণ্ডলের হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, বৈষ্ণব, বাউলসহ প্রায় সকল সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে কৃত্যাচার পালনের জন্যে অনিবার্যভাবে পঞ্জিকার ব্যবহার প্রত্যক্ষ করা যায়। এছাড়া, গৃহনির্মাণ থেকে শুরু করে কোনো শুভ কাজ শুরুর লক্ষ্যে পঞ্জিকা দেখে শুভাশুভ নির্ধারণ করা হয়। এমনকি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিবাহ-অনুষ্ঠানের দিন ধার্যকরণে পঞ্জিকা অনুসরণ করা হয়। এই প্রয়োজনীয়তার কথা চিন্তা করে অতীত কাল থেকে শুরু করে বর্তমান কাল পর্যন্ত বিভিন্ন সম্প্রদায়ের উপযোগী করে বিভিন্ন ধরনের পঞ্জিকা প্রকাশ করা হয়ে থাকে।
জানা যায়, আদিতে গ্রামের মানুষ তাঁদের ঐতিহ্যিক জীবনের অন্যতম অংশ কৃষি ব্যবস্থার ঋতুভিত্তিক প্রথা অনুসরণের জন্যেই প্রধানত পঞ্জিকা ব্যবহার করতেন
জানা যায়, আদিতে গ্রামের মানুষ তাঁদের ঐতিহ্যিক জীবনের অন্যতম অংশ কৃষি ব্যবস্থার ঋতুভিত্তিক প্রথা অনুসরণের জন্যেই প্রধানত পঞ্জিকা ব্যবহার করতেন; এক্ষেত্রে অনেক সময় নিরক্ষর কৃষকের মুখপত্র হিসেবে গ্রামের কিছু শিক্ষিত, স্বল্প শিক্ষিত বা স্বশিক্ষিত মানুষ পঞ্জিকা দেখে ঋতু ও কৃষি ব্যবস্থার মধ্যে কোন সময় কোন ফসল উৎপাদনের জন্য শুভ বা অশুভ তা শনাক্ত করতেন। এর পাশাপাশি ঐতিহ্যিক জীবনের অন্যান্য অংশের মধ্যে জন্ম, বিবাহ এবং নানা ধরনের উৎসব, পার্বণ, কৃত্য ইত্যাদি নির্ধারণের জন্যে পঞ্জিকাকে অবলম্বন করতেন এবং এখনও করেন। অবশ্য রাজপ্রশাসন পঞ্জিকাকে ব্যবহার করেছে কৃষকদের কাছ থেকে কর আদায়ের জন্যে। পঞ্জিকা তথা বর্ষপঞ্জি বিষয়ক গবেষণায় এই বিষয়টি তাই যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে বিবেচিত ও আলোচিত হয়েছে। সেই আলোচনার নিচে অনেকটা অনালোচিত রয়ে গেছে জনগণের মাঝে পঞ্জিকার গ্রহণযোগ্যতার সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ভূপ্রাকৃতিক ও উৎপাদনশীলতার নীতিনির্ধারণের বিষয়টি। এখন সময় এসেছে নৃতাত্ত্বিক, সমাজতাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকে পঞ্জিকার বিভিন্ন ধরনের ক্রিয়াশীলতার বিষয় নিয়ে আলোচনা ও গবেষণা করার।
একটি কথা বলে রাখা ভালো, মুদ্রণব্যবস্থার প্রসারে মুদ্রিত পঞ্জিকার যে প্রচলনের কথা আমাদের জানা আছে, তার আগে হস্তলিখিত পঞ্জিকার প্রচলন ছিল। এখনও বাংলাদেশের অনেক গ্রন্থাগারের হস্তলিখিত পুথি সংগ্রহশালায় অনেক ধরনের হস্তলিখিত পঞ্জিকার সন্ধান পাওয়া যায়, যার আকৃতি ও অলংকরণ অনেকক্ষেত্রে চিত্তাকর্ষক ও নন্দনবোধ সম্পন্ন। কিন্তু আমাদের দেশে পঞ্জিকার এই ঐতিহ্য নিয়ে তেমন কোনো গবেষণার উদ্যোগ চোখে পড়ে না। এর প্রধান কারণ পঞ্জিকার সমাজতাত্ত্বিক গুরুত্ব সম্পর্কে উদাসিনতা, দ্বিতীয় কারণ হস্তলিখিত লিপির পাঠ বিষয়ে অদক্ষতা এবং তৃতীয় কারণ হস্তলিখিত বিচিত্র পুথি গবেষণায় সমাজের নীতিনির্ধারকদের সৃষ্ট জটিলতা ও কুটিল মানসিকতা। আমাদের ধারণা, এ সকল অন্তরায় অতিক্রম করে বাংলা পঞ্জিকার ঐতিহ্য সম্পর্কিত গবেষণাকর্ম দুরুহ হয়ে আছে। তথাপি পঞ্জিকার সামাজিক গুরুত্বের কথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।
প্রতি বছর বৈশাখ আসার আগেই বর্তমান প্রবন্ধকারের জন্মদাত্রী মাতা সন্তানের কাছে পঞ্জিকা উপহার চান এবং এই ঘটনাটি প্রায় দেড় যুগের বেশি সময় ধরে ঘটছে। এর আগে প্রবন্ধকার তার পিতাকে বছর শুরুর আগেই পঞ্জিকা নিয়ে বাড়ি ফেরার সাক্ষী, সে ২০০১ খ্রিষ্টাব্দের আগের কথা। প্রথম থেকেই পারিবারিক ঐতিহ্যের সূত্রে পিতা-মাতাকে যে পঞ্জিকা ব্যবহার করতে দেখেছি, তাতে আশ্চর্যভাবে সকল ধর্মের নানা ধরনের তিথি, পার্বণ, প্রার্থনা, উপাসনার দিনক্ষণের তারিখ-বার, সময় ইত্যাদি যেমন প্রত্যক্ষ করেছি, তেমনি সকল ধর্মের বিশেষ বিশেষ ব্যক্তিত্বের জীবনী পরিচয়, অবদান ইত্যাদির পাশাপাশি নানান ধর্মের উৎসব-পার্বণের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও তার কার্যকরণ পাঠ করেছি। স্বীকার করতে দ্বিধা নেই, পঞ্জিকার ভেতর হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, মুসলিম, বৈষ্ণব, এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে আদিবাসীদের কোনো উৎসব সম্পর্কেও অনেকটা আবেগহীনভাবে যে সকল বর্ণনা পাঠ করা যায়, তার মাধ্যমে একজন সহনশীল ও উদার মনের মানুষ হতে গ্রামের সাধারণকে অনেকটাই ইন্ধন যোগায় বৈকি। দুঃখের বিষয় পঞ্জিকার উৎপত্তির ইতিহাসের তথ্য-প্রামাণ্যের কোনো আলোচনাতে এই বিষয়টি তেমনভাবে উল্লিখিত হতে দেখা যায় না।
সনাতন ধর্মী পূর্জা-পার্বণ ও উৎসবের ছবির মধ্যে দুর্গাপূজা, চড়কপূজা, গণেশপূজা, শিবরাত্রি, কার্তিকপূজা প্রভৃতির সচিত্র তথ্য রয়েছে। অন্যদিকে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের মহররম উদ্যাপনের সচিত্র তথ্য এবং খ্রিষ্টানদের বড়দিনের সচিত্র তথ্য রয়েছে।
আজ থেকে শতাধিক বছর আগে মুদ্রিত কিছু পঞ্জিকা প্রত্যক্ষ করাও সুযোগ আমার হয়েছে। এক্ষেত্রে ১৩২৬ বঙ্গাব্দের (১৯১৯-১৯২০ খ্রিষ্টাব্দের) গুপ্তপ্রেশ পঞ্জিকা এবং ১৩৫৪ বঙ্গাব্দের (১৯৪৭-১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দের) গুপ্তপ্রেশ ডাইরেক্টরি পঞ্জিকাতে সম্প্রদায় ভেদবুদ্ধির ঊর্ধ্বে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের উৎসব-পার্বণ উদ্যাপনের সচিত্র তারিখ ও তথ্য প্রত্যক্ষ করি। শুধু তাই নয়, ১৩২৬ বঙ্গাব্দের গুপ্তপ্রেশ পঞ্জিকার ৯৮ পৃষ্ঠায় ‘বাঙ্গালা, ইংরাজি ও মুসলমানীয় বার ও মাসের নাম’ এবং ‘নানাদেশীয় বৎসর ও দিন নিদর্শন’ অংশে সম্প্রদায় সম্প্রীতির প্রকাশ স্পষ্ট রয়েছে। একই বর্ণনা ১৩৫৪ বঙ্গাব্দের গুপ্তপ্রেশ ডাইরেক্টরি পঞ্জিকাতেও লভ্য। এছাড়া, এই দুটি পঞ্জিকার বিভিন্ন অংশে সমান গুরুত্ব দিয়ে সনাতন ধর্মীয় পূজা-পার্বণের সচিত্র তথ্য যেমন উপস্থাপন করা হয়েছে তেমনি ইসলাম ও খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের কৃত্যমূলক উৎসবের সচিত্র তথ্য প্রদান করা হয়েছে। সনাতন ধর্মী পূর্জা-পার্বণ ও উৎসবের ছবির মধ্যে দুর্গাপূজা, চড়কপূজা, গণেশপূজা, শিবরাত্রি, কার্তিকপূজা প্রভৃতির সচিত্র তথ্য রয়েছে। অন্যদিকে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের মহররম উদ্যাপনের সচিত্র তথ্য এবং খ্রিষ্টানদের বড়দিনের সচিত্র তথ্য রয়েছে। উল্লেখ্য, উৎসব উদ্যাপনের চিত্রের জন্যে অনেক সময় পূর্ণ পৃষ্ঠা ব্যবহার করা হয়েছে এবং প্রতিটি ক্ষেত্রে ছবির নিচে বাংলা তারিখ নির্দেশ করা হয়েছে। দৃষ্টান্ত স্বরূপ এই লেখার সঙ্গে ১৩২৬ বঙ্গাব্দের গুপ্তপ্রেশ পঞ্জিকা হতে সনাতন, মুসলিম ও খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান তিনটি উৎসবের চিত্র দেওয়া হলো।
পঞ্জিকায় প্রকাশিত ছবিগুলো দৃষ্টে খুব সহজেই সম্প্রীতির ঐতিহ্য সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়। এই রীতি বাংলা পঞ্জিকার মধ্যে অদ্যাবধি প্রবহমান রয়েছে বৈকি।
০২.
সাম্প্রতিক বাংলাদেশে লোকনাথ পঞ্জিকা ও মোহাম্মদী পঞ্জিকার প্রচলনই বেশি। লক্ষ্য করার বিষয় দুই ধরনের পঞ্জিকাতেই প্রায় সকল ধর্মের উৎসব-পার্বণের বিবরণ লিপিবদ্ধ থাকে। তাই এ সকল পঞ্জিকার গ্রহণযোগ্যতাও সর্বজনীন।
বাংলা পঞ্জিকার সাথে যেহেতু বাংলাবর্ষ তথা বঙ্গাব্দের সংযোগ রয়েছে সেহেতু বঙ্গাব্দের প্রচলন সম্পর্কে কিছু কথা না বললে হয়তো এই আলোচনা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। তাই বঙ্গাব্দ সম্পর্কে কিছু কথা বলা যাক। বঙ্গাব্দের সূচনা সম্পর্কে প্রধানত দুটি মত চালু রয়েছে। প্রথমটি হলো, অনেক গবেষকের ধারণা যে, প্রাচীন বাংলায় (গৌড়) রাজা শশাঙ্ক (রাজত্বকাল আনুমানিক ৫৯০-৬২৫ খ্রিষ্টাব্দ) বঙ্গাব্দ চালু করেছিলেন। শশাঙ্ক মূলত সপ্তম শতাব্দীর প্রারম্ভে বঙ্গদেশের রাজচক্রবর্তী রাজা ছিলেন। আধুনিক বঙ্গ, বিহার ও ওড়িশার অধিকাংশ এলাকা তাঁর সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল৷ অনুমান করা হয় যে, জুলীয় বর্ষপঞ্জির বৃহস্পতিবার ১৮ মার্চ ৫৯৪ এবং গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি বা পঞ্জিকার শনিবার ২০ মার্চ ৫৯৪ বঙ্গাব্দের সূচনা হয়েছিল। আর দ্বিতীয় মত অনুসারে, ভারতে ইসলামী শাসনামলে হিজরি পঞ্জিকা অনুসারেই সকল কাজকর্ম পরিচালিত হতো। মূল হিজরি পঞ্জিকা চান্দ্র মাসের উপর নির্ভরশীল। চান্দ্র বৎসর সৌর বৎসরের চেয়ে ১১/১২ দিন কম হয়। কারণ সৌর বৎসর ৩৬৫ দিন, আর চান্দ্র বৎসর ৩৫৪ দিন। একারণে চান্দ্র বৎসরে ঋতুগুলি ঠিক থাকে না। আর চাষাবাদ ও এ জাতীয় অনেক কাজ ঋতুনির্ভর। এজন্য ভারতের মোগল সম্রাট আকবরের সময়ে প্রচলিত হিজরী চান্দ্র পঞ্জিকাকে সৌর পঞ্জিকায় রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সম্রাট আকবর ইরান থেকে আগত বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও জ্যোতির্বিদ আমির ফতুল্লাহ শিরাজীকে হিজরী চান্দ্র বর্ষপঞ্জি বা পঞ্জিকাকে সৌর বর্ষপঞ্জিতে রূপান্তরিত করার দায়িত্ব প্রদান করেন। ফতুল্লাহ শিরাজীর সুপারিশে পারস্যে প্রচলিত সৌর বর্ষপঞ্জির অনুকরণে ৯৯২ হিজরি মোতাবেক ১৫৮৪ খ্রিষ্টাব্দে সম্রাট আকবর হিজরী সৌর বর্ষপঞ্জি বা পঞ্জিকার প্রচলন করেন। তবে তিনি ঊনত্রিশ বছর পূর্বে তার সিংহাসন আরোহনের বছর থেকে এ পঞ্জিকা প্রচলনের নির্দেশ দেন। এজন্য ৯৬৩ হিজরি সাল থেকে বঙ্গাব্দ গণনা শুরু হয়। ৯৬৩ হিজরি সালের মুহররম মাস ছিল বাংলা বৈশাখ মাস, এজন্য বৈশাখ মাসকেই বঙ্গাব্দ বা বাংলা বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস এবং ১লা বৈশাখকে নববর্ষ ধরা হয়। কিন্তু এতে সমস্যা কাটেনি। এরপর বেশ কয়েকবার তাই বাংলা পঞ্জিকার সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ১৯৫২-৫৪ খ্রিষ্টাব্দে ভারত সরকারের উদ্যোগে জ্যোর্তিপদার্থবিদ মেঘনাদ সাহা এবং ১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দে বাংলা একাডেমির উদ্যোগে ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্-র বাংলা পঞ্জিকা সংস্কারের কাজ করেন। পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশে ইংরেজি পঞ্জিকার সাথে সমন্বয় করে বাংলা পঞ্জিকা তৈরি করা হয়, যা বর্তমানে চলমান।
বাংলা পঞ্জিকার বর্তমান চলমানতার মধ্যে প্রায় সময় গ্রামীণ ও শহরের মানুষের কৃত্য, উৎসব পালনে কিছু বৈসাদৃশ্য দেখা যায়, তার সবচেয়ে বড়ো প্রমাণ
বাংলা পঞ্জিকার বর্তমান চলমানতার মধ্যে প্রায় সময় গ্রামীণ ও শহরের মানুষের কৃত্য, উৎসব পালনে কিছু বৈসাদৃশ্য দেখা যায়, তার সবচেয়ে বড়ো প্রমাণ— এখন পর্যন্ত গ্রামীণ কৃষিজীবী ও নানা পেশাজীবী উৎপাদনশীল মানুষ পুরানো বা সনাতন পঞ্জিকা অনুসারেই তাদের কৃত্যানুষ্ঠান উদ্যাপন করে থাকেন। যে কারণে, ঢাকা ও বাংলাদেশের অন্যান্য শহরে যেদিন মহাসমারহে নববর্ষ তথা পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন চলে, সেদিন গ্রামের মানুষেরা বর্ষবিদায়ের কৃত্যানুষ্ঠান তথা চৈত্রসংক্রান্তি উদ্যাপন করেন। অর্থাৎ গ্রামীণ মানুষের জীবনে বৈশাখ আসে আরও একদিন পরে। বর্ষ উদ্যাপনে গ্রাম ও শহরের এই বিভেদ ঘোচানো তখনই সম্ভব হবে যখন শহরের মানুষেরা গ্রামকেই অনুসরণ করবে। আর এ জন্যে নিশ্চিতভাবেই ইংরেজি ক্যালেন্ডারের সাথে নয়, পুরানো বাংলা পঞ্জিকার সাথেই নতুনের সমন্বয় সাধন করবার দরকার হবে।
একই সঙ্গে একথাও বলা যেতে পারে যে, বাংলা পঞ্জিকার পৃষ্ঠায় লভ্য সম্প্রীতি অনুসরণে বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বৈচিত্র্যকে উদারভাবে গ্রহণ ও চর্চা করা সম্ভব।
সাইমন জাকারিয়ার জন্ম ৩ ডিসেম্বর ১৯৭২ সালে। তিনি একজন বাংলাদেশি লোক সংস্কৃতি গবেষক এবং নাট্যকার যিনি বাংলা একাডেমির ফোকলোর উপবিভাগের সহপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। লোকাচার বিদ্যায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০২০ সালে তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।