মিথ
তোমাকে মাপতে গিয়ে
নিজেকেই মেপে এলাম
পরে বুঝলাম এইসব ইলিউশন
অন্যমনস্কতায় যখন ছায়ারা জমে থাকে ভীষণ
যা এখনো গল্প হয়ে ঘুরছে মাথায়
মনে করো
মনে করো— আমার মন
ঝিঁ ঝিঁ পোকার মতো
একটা ডাক পারা গানে
কেবল ডুবে থাকি
মনে করো— একটা পাখি জীবন
পাবো ভেবে আমিও
পাগলের হাসিটাকে সচল রাখি
ভিন্নতা
পাশের বাড়ির মেয়েটি
প্রেমে হারেনি বোধহয়
জিতেইছিল—
বরং আমি বুঝিনি
জীবনও অনুবাদ হয়
শুধু চলে যাবার আগে একদিন
বলেছিল—
রোদে জল মেপো না
তাতে পাড় ভেঙে যায়
পাড় আর জল বন্ধু চিরকাল…
প্রেমের শেষ
এত কাছে এসেও বুঝতে পারিনি
ঠিক কতটুকু দরকার ছিল
তোমার দিনরাত্রির ভেতর আমার
এই বলতে না পারাটুকুই
যেন ইতস্তত গৌরব—
অবশ্য চলে আসার পর ভেবেছি
মেঘ ডাকলেও মেঘবৃত জল
বৃষ্টি হয় না কোথাও কোথাও
অমার্জিত
গলি পথের দিকে যাই। এখানে বিস্তর
বিয়োগচিহ্ন হাওয়ায় শিশুর ঝাঁক।
কোথাও যেতে যেতে ভাবি
শব্দের আর্তনাদে কি আছে
মেলে ধরার মতো এমন
যা ছিল সুন্দর স্কুলবেলার সরলদৌড়
আজো বুকে লিখে রাখি
টানবাজার, বরফকল
কবি। জন্ম মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ। প্রকাশিত কবিতার বই দুইটি। ‘বিষণ্ণ স্নায়ুবন’ ও ‘দূরে, হে হাওয়াগান’। প্রকাশিত হয় যথাক্রমে প্রকাশকাল ২০২০ ও ২০২১ সালে। সম্পাদিত ছোটকাগজ ‘মেরুদণ্ড’।