ছেঁড়া দ্বীপ
সমর মজুমদারের ক্যানভ্যাসে
বাস করে আমার নিরীহ গ্রাম—
আটপৌরে শাড়ি পরা আমার মা,
চৈ চৈ রাজহাঁস, পলগাঁদার সাথে
লুকোচুরি করে বেড়ে ওঠা কলাগাছ—
ইত্যাকার পরিচিত সংসারের রং জীবন।
আমি কেবল ছন্ন ছেড়েছি, সিদ্ধান্তে ছেঁড়া দ্বীপ।
চড়ুইটা খড় জমাচ্ছে
ধান মাপা সুরে বাঁধা
আমাদের সুস্থ শরীর
পৌনঃপুনিকতায় জাগে
ঘুমেরা ঘুমোলে।
ধান ভেনে চলি গঙ্গাফড়িং,
গল্লামারির মতো জনজলসায়
রিক্সার পশ্চাতে রিক্সা-বিহার।
এবং নবাগত নায়িকার ব্রার বাহার।
ধানী লঙ্কার মতো মোটা হচ্ছে স্মৃতি
এবং বিস্মৃতি কুম্ভকর্ণ প্রায়।
ধানের শৈশবের মতো পৌরাণিক স্যাটায়ারে
আমরা হো হো, কিংবা হি হি;
তথাপি পৃথিবী শামুকের ন্যায় সুলভ
প্রেমে ভাসুক।
সত্তার ডালে বিধ্বস্ত চড়ুইটা খড় জমাচ্ছে…
কমপিটিশন
বাতাসে মাইক ভাসানো প্রতিযোগিতা।
প্রযত্নে: ধূসর মানবিকতা। তথাপি সবুজ ঘাস
নীল আকাশের ছায়ায়ও সবুজ সবুজ।
কৃতবাক অসহ্য বিকাশ
নিকাশ ছাড়াই উত্তুঙ্গ।
শ্যামলী জ্যোৎস্না উজান আঁধারে চলে।
সরলরেখা
ভেজা ঢেউ অঙ্ক বাড়িয়ে চলে।
সরল সমীকরণ, আদ্যোপান্ত তিলত্তমা ভাইব্রেশন।
তথাপি গোপন অস্তগত সূর্য-সৌরভ মিলিয়ে গিয়েই সন্ধ্যা। পাড়ের কাজল মুছে আমাদের
পায়ের ব্যাকরণ নিপাতনে সিদ্ধ হয়ে চলে।
হুতুমপেঁচার মতো নিঃশব্দে দুইজোড়া পা কখন যে সরলরেখো এঁকে গেল— দুঃস্থ বালুর প্লটে!
স্ক্রীনশর্ট দেওয়া জীবনটাকে আওড়াই পৌনঃপুনিকতায়।
কমিটমেন্ট, নির্ভেজাল দলিল
বাবাতে বিশ্বাস রাখিনি, মাকেও নয়—
অন্যেরা ধর্তব্য রোহিত।
আগুনে প্রভূত বিশ্বাস,
সাক্ষী মেনে তাই ওহাত ছুঁয়েছি।
আদুরে মিনির মতো ঘুমে—
জেগে আছে স্মৃতির পাহারা।
এবং সেই সমাসের মতো আমরা
এখন মাতাল সংগঠন বিবর্জিত রাত—
ডাবের শাঁসের মতো চাটি স্মৃতির পায়েস।
সুজাতা কি ভুলে যায় পথের হদিশ!
কবি ও গবেষক। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। প্রকাশিত কাব্য: হেমলকে চুম্বন (২০২১) , পৌষালি ঘড়ির পোস্টমোর্টেম (২০২১)।