লিরিক্যাল
গীতবিতানের ধ্বংসাবশেষ দিয়ে
যারা ঠেকাতে চেয়েছিল
আমাদের সামগ্রিক ধ্বংস,
আমি নিশ্চিত
তারা কেউ তোমাকে দেখেনি৷
তারা দেখেনি,
গানের গয়নায় গড়া পৃথিবীর তলায়
কোনোমতে টিকে থাকার জন্য
তোমার আসুরিক প্ল্যানপ্রোগ্রাম।
হ্যালো নভেম্বর
নভেম্বর এসে গেল
নভেম্বর রেইনও আসবে নিশ্চয়ই
আপাতত দক্ষিণ ঢাকার রোদ খেতে খেতে
ভুখাপেটে উত্তর ঢাকায় যেতে যেতে ভাবতে থাকা যাক
কবিতায় কী করে আনা যায় শীতের ফ্লেভার।
যে জীবন পেটে-ভাতের
ভাতের পর ঘুমের
সিগারেট আফটার সেক্সের,
সে জীবন নভেম্বরের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলতে ফেলতে
ডিসেম্বরে ঢুকতে চাইলে
কবিতার কুতুবেরা
লিরিক্যাল লারেলাপ্পায় কিংবা প্রোজপোয়েটিক ধাপ্পায়
তোমাকে খুঁজতে বলে নিজস্ব অক্ষর।
চলো, আমরা নভেম্বর থাকতে থাকতে
খানাতল্লাশ করে দেখে আসি
হেই ব্রো-দের কবিতায় ঠিকঠাক আছে কি না
তাদেরই নিজস্ব লিঙ্গের স্বর!
এই এমন
ঘুম থেকে উঠে মনে হয়
এ কোন দেশে এলাম!
অকূল দরিয়ার পানিতে রাতভর
তামামতুমুল খেলাধুলা শেষে
সকালের সীমাবাঁধা
এই আলোর কায়াকূলে
নোঙর আমার।
নিদ্রিত গাছে গাছে অচিন সুর হয়ে
জমাট তো বেঁধে ছিলাম;
এখন গান-ভাঙা পৃথিবী
একসঙ্গে এত দৃশ্য, এত শব্দ
এই এত ফলাফলে ভরা।
তারার গর্ভ আর চাঁদের ঔরসে
অজ্ঞান থাকার আনন্দ চুরমার করে
জ্বলন্ত সূর্যের তলায়
এমন জন্মের ব্যথা
আমি কত ঘুমে লুকাবো বলো!
ফিল্মি
ছোটোবেলার সিনেমা বড়ো হয়ে দেখতে গেলে
কবর থেকে শৈশব-কৈশোরের কঙ্কাল উঠে আসে।
ফেলে আসা নায়িকা স্ক্রিন থেকে বেরিয়ে আলগোছে
ভূতপূর্ব আমার কঙ্কালে জরুরি যাবতীয় রক্তমাংস
এবং বিশেষত চোখের হারানো সুর বসিয়ে যেতে থাকে।
মিউজিয়াম অব মিউজিয়াম
ঘুমলাইনে চলে যাওয়া মালবাহী স্বপ্ন
তার কতটুকু নিতে পারো নিজের বন্দোবস্তে!
রকমারি তারায় ক্ষতবিক্ষত আকাশের সারল্য,
জটিলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের গানে যতদূর মিল্কিওয়ে
তার তলে এই প্রভাতের পথে বিরান স্তনাঞ্চল ঘিরে
লংমার্চ করে পৌঁছানো কি যায় মস্কো কিংবা কিয়েভে!
শীত আসবে আসবে করে বারবার হেমন্ত-দেখানো
শীতের ছেনালিপনা চলে, চলবে শুনি আরও কিছুকাল।
সমরাস্ত্র হিমে অধিকৃত হলে তখন তল্লাশ হবে সোলমেটের;
আপাতত বলো তো আমাকে
কে নয়, মাস্টারবেশন বয়?
জন্ম ২১ ডিসেম্বর, ১৯৮৪ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর, বাংলা একাডেমিতে কর্মরত। কবিতার বই আছে বেশ কিছু। লেখালেখির সূত্রে পেয়েছেন কয়েকটি পুরস্কার ও সম্মাননা, ঘুরেছেন বিশ্বের বেশ কিছু দেশ। piasmajid@yahoo.com