[মজনু শাহর এই লেখাটি মূলত ‘উড়কি’ থেকে প্রকাশিত শামীম কবীরের নির্বাচিত কবিতার ভূমিকা। শামীম কবীরের কবিতা প্রসঙ্গে এই লেখাটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হওয়ায় একে পুনঃপ্রকাশ করা হলো।]
যে বয়সে শামীম কবীর ইতি টেনেছিল তার জীবনের, তারপর আরো দুই যুগ অতিক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যুর পরে তার যে কবিতাসমগ্র প্রকাশিত হয়েছিল ‘দ্রষ্টব্য’ থেকে, তাতে সমস্ত কবিতাই প্রায় গ্রন্থিত।
এখন আবার সেই কবিতাগুলো ফিরে পড়তে গেলে দেখা যাচ্ছে, সময় সেসব সংহার করতে পারেনি, বরং পঙ্ক্তিমালা হয়ে উঠেছে আরও উজ্জ্বল। তার শারীরিক অনুপস্থিতি যে বেদনার মধ্যে নিমজ্জিত করেছিল আমাদের, তা আমরা অনেকখানি অতিক্রম করে এসেছি, শুধু রয়ে গেছে কবিতার সম্মোহন ও দীপ্তি।
কী এক জটিল উল্লাসের মধ্যে তার জীবন সে কাটিয়ে গেছে। অনর্গল সৃষ্টিমুখর থাকতে চাওয়ার বাসনা তাকে আচ্ছন্ন করেছে ক্রমাগত। সম্ভব সমস্ত পথে সে যেতে চেয়েছে, প্রশান্ত মনে, কখনো-বা ইন্দ্রিয়গুলোকে ড্রাগসহযোগে অতি মাত্রায় রঞ্জিত করে তুলে। কেবল কবিতার জন্যেই তার এই বেঁচে থাকা, আলিঙ্গন, আয়োজন, তার একার সন্ন্যাস, এইভাবে মঞ্চস্থ করে গেছে।
কী এক জটিল উল্লাসের মধ্যে তার জীবন সে কাটিয়ে গেছে। অনর্গল সৃষ্টিমুখর থাকতে চাওয়ার বাসনা তাকে আচ্ছন্ন করেছে ক্রমাগত। সম্ভব সমস্ত পথে সে যেতে চেয়েছে, প্রশান্ত মনে, কখনো-বা ইন্দ্রিয়গুলোকে ড্রাগসহযোগে অতি মাত্রায় রঞ্জিত করে তুলে। কেবল কবিতার জন্যেই তার এই বেঁচে থাকা, আলিঙ্গন, আয়োজন, তার একার সন্ন্যাস, এইভাবে মঞ্চস্থ করে গেছে। একটা প্যারালাল কল্পপৃথিবী সৃষ্টি করে, তারপর হিম এক অবহেলায় সেসব পরিত্যাগ করে স্বেচ্ছাপ্রস্থানের দিকে যেতে থাকা, এই ছবিটুকুর মধ্যে তাকে পাই। সে অনুভব করেছিল তার চারদিকে এক অদ্ভুত রকমের আকাশময়তা। নিজের ভূমি কাঁধে নিয়ে, মেঘেদের রঙবদল আর ছুটন্ত ধূলিকণার জ্বলন্ত পুচ্ছের লীলা দেখতে থাকা, যতক্ষণ পর্যন্ত না তার দৃষ্টি শূন্য হয়ে আসে।
একটা প্যারালাল কল্পপৃথিবী সৃষ্টি করে, তারপর হিম এক অবহেলায় সেসব পরিত্যাগ করে স্বেচ্ছাপ্রস্থানের দিকে যেতে থাকা, এই ছবিটুকুর মধ্যে তাকে পাই। সে অনুভব করেছিল তার চারদিকে এক অদ্ভুত রকমের আকাশময়তা। নিজের ভূমি কাঁধে নিয়ে, মেঘেদের রঙবদল আর ছুটন্ত ধূলিকণার জ্বলন্ত পুচ্ছের লীলা দেখতে থাকা, যতক্ষণ পর্যন্ত না তার দৃষ্টি শূন্য হয়ে আসে।
Horus has been bitten. O re! A scion of yours has been bitten! Horus has been bitten!… The atmosphere changes at once. The sickness of horus is a cosmic event. এই অনুভব দ্বারা তাড়িত হয়ে, সবকিছু ভুলে এমন একটা অসুখ সে চেয়েছিল, কেননা সে হোরাসের ভূমিকায় ভাবতে পেরেছিল নিজেকে, The sickness of mine is a cosmic event. Oh I have been bitten!
এরপর, ক্রাটনের এনগ্রেভিং, যেখানে আমরা জানতে পারব, সমস্ত পরীক্ষানিরীক্ষা শেষ হয়েছে, অক্ষরের পৃথিবী থেকে চলে যাবার সময় হয়েছে তার। My aim is to go aimless, এমনই কবিত্বপূর্ণ তার সেই প্রস্থান।
জন্ম : ২৬ মার্চ ১৯৭০। প্রকাশিত কবিতার বই : ‘আনকা মেঘের জীবনী’ (১৯৯৯), ‘লীলাচূর্ণ’ (২০০৫), ‘মধু ও মশলার বনে’ ( ২০০৬), ‘জেব্রামাস্টার’ (২০১১), ‘ব্রহ্মাণ্ডের গোপন আয়না’ (২০১৪), ‘আমি এক ড্রপআউট ঘোড়া’ (২০১৫) এবং ‘বাল্মীকির কুটির’ (২০১৮)।