গদ্য থেকে পদ্য আদতে কতখানি আলাদা? পরস্পর কত দূরে বা কত কাছে এদের বসবাস? এইসব প্রশ্নের বোধহয় কোনো সহজ উত্তর হয় না। এদের উত্তরের মাঝে বেড়ে ওঠে আরেক অমোঘ প্রশ্ন— গদ্য ও পদ্যের নৈকট্য আর দূরত্ব খোঁজার প্রয়োজন কেন বা কতখানি? আইরিশ লেখক অস্কার ওয়াইল্ড এই সব প্রশ্নের কোনো সরাসরি উত্তর না দিলেও ‘পোয়েমস ইন প্রোজ’ (১৮৯৪) নামের একটা বই লিখে হাজির করেছিলেন দুনিয়াজোড়া পাঠকের সামনে। বইটি গদ্যে লেখা পদ্যের বই। কয়েকটি আলাদা আলাদা গল্প ছিল। গল্পগুলো দেখতেও গল্পের মতো কিন্তু আকারে ছোটো। ভাষাও মূলত গদ্যের, অন্ত্যমিল বা ছন্দের খেলা নাই। কিন্তু ওয়াইল্ড দাবি করেছিলেন তাঁর লেখাগুলি মূলত কবিতা। কারণ কী? কবিতা হতে গেলে একটা লেখার মোটামুটি কী কী গুণ বা দোষ থাকতে হয়? ‘পোয়েমস ইন প্রোজ’ যতখানি না এর আকার, ভাষার জন্যে কবিতা হয়ে উঠেছিল তারচেয়ে বড়ো কারণ ছিল এর ভাব। লেখাগুলো মূলত গল্প হলেও এদের চোখে মুখে ফুটে উঠেছিল জমে থাকা আবেগ। ভাবের গাঢ় গভীর প্রকাশ গল্পগুলোকে ছাড়িয়ে নিয়ে এসেছে গদ্যের বন্দীদশা থেকে। মুজিব মেহদী তার ‘উভলিঙ্গ রচনা’র বই ‘খড়বিচালির দুর্গ’কেও (২০১১) তেমনি মুক্ত করে এনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন মাঝখানে। গদ্য আর কবিতার নদী দুইপাশে দুই রঙের ঢেউ নিয়ে বয়ে যাচ্ছে, আর মধ্যখানে সবচেয়ে নতুন বা সবচেয়ে পুরাতন হয়ে এই লেখাগুলো দাঁড়িয়ে।
বইটির ভূমিকার নাম কবি দিয়েছেন ‘দুচেয়ারি বারান্দা’। এই নামের মধ্যে গল্প কবিতা দুইয়েরই আভাস আছে। যেন কেউ একজন কবিতার ভাষায় তাঁর গল্পের ব্যাখ্যা করে চলেছেন। পাশাপাশি দু’টি চেয়ার বহির্মুখী। ‘উত্তরাধুনিক কালপর্বে এসে ভাষিক শিল্পাঙ্গিকের পরস্পরের মধ্যকার সীমারেখাগুলো হুমকির মধ্যে পড়েছে। ইতোমধ্যে সীমান্ত এলাকাগুলো ধূসর হয়ে উঠেছে, জন্ম নিয়েছে ব্যাপক ধোঁয়াশা–কুয়াশা।’ (পৃ.৮) নিজের কবিতাকে ‘না-পদ্য’ আর নিজের গল্পকে ‘না-গদ্য’ ঘোষণা করে তাকিয়ে আছেন পাশে বসা শ্রোতার চোখের দিকে। সেখানে ঘোর, বিস্ময়, সন্দেহ। তিনি তাই আরও ব্যাখা করে চলেছেন। ‘পরিকল্পিতভাবে আমি কখনোই এদের লিখতে চাইনি! নামে বেনামে আমাকে দিয়ে এরা নিজ নিজ অভিপ্রায় বাস্তবায়ন করিয়ে নিয়েছে।’ (পৃ. ১১) বইয়ের এইরকম ভূমিকা যেমন ভাষার বিচারে, আঙ্গিক বা দর্শনের বিচারে অনন্য এবং সুখপাঠ্য, তেমনি এই বইয়ের অন্যতম দুর্বলতাও। আমি মনে করি ‘উভলিঙ্গ’ লেখাগুলো নিজেরাই নিজের পরিচয় দিতে সক্ষম। তাই প্রশ্ন জাগে— অতি ব্যাখ্যা বা অধিক যুক্তি পাঠকের চোখে লেখাগুলোকে বেশ অপ্রস্তুত বা খানিকটা বিব্রত ভঙ্গিতে উপস্থিত করছে কিনা?
সূচি পার হয়ে প্রথম লেখার শিরোনাম ‘বীথির সবুজ চুলে বনানীর গন্ধ লেগে থাকে’। এর শুরু অনেকটা গল্পের ধাঁচে। স্থান, কালের পরিচয় দিয়ে ঘটনার আগমন। ‘কালোবাজারির অর্থে নির্মিত হাইরাইজ ঘেঁষে আসা ফাটকা বাতাস যখন বীথিটার চুল নিয়ে খেলছিল, অদূরেই প্রান্তরে দাঁড়ানো একলাগাছের নিচে দেশলাইয়ে বিড়ি ধরাতে আমি প্রাণান্ত ছিলাম’ (পৃ. ১৫)— গল্পের চরিত্রদেরও জানা হয়ে গেল কিন্তু পড়তে থাকলে একটা সময় গিয়ে খটকা লাগে। যখন শেষ হয়— ‘যে হাসিতে প্রতিবার আমার পৃথিবী পুরো ভেসে যায় একটা মন-কেমন-করা বন্যায়, প্রেমের প্রতিভা ওড়ে সীমাহীন সৌরজগতে’— কবিতার ভাব আর আবেশ স্পষ্ট হয়ে থেকে যায়। তবে কি গল্পে লেখা কবিতা পড়লাম? নাকি কবিতায় লেখা গল্প?
প্রায় সবগুলো লেখার শিরোনাম একেকটা আবেগী আর দার্শনিক বিবৃতির মতো শোনায়, গভীর অভিজ্ঞতা আর অনুভবের অভিনব সন্নিবেশ, যেমন— ‘উৎকেন্দ্রিকতারও এক কেন্দ্র থাকে নিচে’, ‘অবজারভারের দেখাশোনায় কিছু পর্যবেক্ষণ থাকে’, ‘আত্মপক্ষ সমর্থনের মাত্রাতিরিক্ত সুযোগ থাকাটাই স্ব-মূল্যায়নের সবচে’ বড়ো সীমাবদ্ধতা’, ‘উচ্ছ্বসিত কথাগুলো রূপকথা হয়ে যায়’, ‘তুঁতনির্ভর গুটিপোকা থেকে প্রাপ্ত ধারণারও বুদ্ধিবৃত্তিক ব্যবহার সম্ভব’, ‘দিক বদলের কোশেশ করা মাঝেসাঝে দরকারি হয়’, ‘বানানো মৃত্যুভয় মৃত্যুকে কাছেপিঠে ডেকে আনে’, ‘চাল-ডাল-তেল-নুন-দুধে সময়ের ঘ্রাণ লেগে থাকে’ ইত্যাদি। শিরোনামগুলোতে ভাষার ব্যবহারও অন্য রকম। বিদেশি শব্দ, নির্লিপ্ত বাক্য, অ্যাকাডেমিক ভাষা— সব মিলিয়ে কবি শিরোনাম তৈরি করেছেন বেশ নিরীক্ষা করে। শুধু শিরোনাম না, লেখাগুলোতেও এই নিরীক্ষার প্রকাশ বেশ সফল ও স্পষ্ট। সেই অর্থে লেখাগুলো মোটেও সাবলীল তথা রোমান্টিক না, আধুনিক নয়তো উত্তরাধুনিক।
উত্তরাধুনিকতা সীমারেখা মানতে চায় না অনেক ক্ষেত্রেই। গদ্য আর পদ্যের ক্ষেত্রেও উত্তরাধুনিকতা সীমা অতিক্রম করতে চায়। একজনের সাথে আরেকজন মিলতে চাইলে মিলুক, এখানে আক্ষেপের কিছু নাই। পুরোনো কিছু হারিয়ে যাচ্ছে বলে আধুনিকদের মতো উত্তরাধুনিকেরা বিলাপ করে না, বরং মেনে নেয়, খাপ খাইয়ে নিতে চেষ্টা করে। সেই বিচারে ‘খড়বিচালির দুর্গ’ অনেকাংশেই উত্তরাধুনিক। এখানে বহুর সম্মিলন ঘটেছে বেশ সাবলীল ভাবে। গল্প, কবিতা পরস্পর বিলীন হয়ে যে ক্রমেই পরিচয় হারাচ্ছে তা নিয়ে কোনো আক্ষেপ নাই। গণিত, পদার্থবিদ্যা, উদ্ভিদবিজ্ঞান, আটপৌরে সংসার, ইতিহাস, দর্শন, পরিসংখ্যান, হিসাববিজ্ঞান যেখান থেকে যাই আসুক না কেন সমস্ত মেনে নিয়ে, হাসিমুখে বরণ করেই ‘খড়বিচালির দুর্গ’ তৈরি। কিন্তু এতো কিছুর পরেও এই বই থেকে শেষমেশ আধুনিকতার সুরই বারবার ভেসে আসে।
‘কঙ্কালের সাথে হাঁটছে ঝিনুক, কঙ্কাল থাকবে আমি না থাকলেও, ও আমার চে’ দীর্ঘজীবী’ (পৃ. ৮৮)— মৃত্যু নিয়ে, ফুরিয়ে যাওয়া, হারিয়ে ফেলা নিয়ে আধুনিক এক হাহাকারের প্রকাশ এখানে। আবার ‘খুলে যায়, ঘাস থেকে পিঁপড়ার খসে যাওয়া যেন, সমাজ থেকে মানুষের খসে যাওয়া’ (পৃ. ৭৮)— বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার গল্প এখানে। আধুনিক সাহিত্যের সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত উদ্বেগের নাম এই বিচ্ছিন্নতা। ইয়েটসের ‘things fall apart, the centre cannot hold’ এর বারংবার প্রতিধ্বনি হয়েছে অন্য রঙে, ভিন্ন আলোয়, বিচিত্র অন্ধকারে। পশ্চিমের আধুনিক সাহিত্যিকেরা বিশেষ করে এলিয়টের মতোন কবিরা তাঁদের লেখায় অন্য লেখার রেফারেন্স ব্যবহার করেছেন। ওইসব রেফারেন্স লেখাগুলোকে জটিল আর দুর্বোধ্য করে তুলেছে। তাই ‘দ্য ওয়েস্ট ল্যান্ড’ (১৯২২) বইটি এতো পরিচিত আর পুরোনো হওযার পরও রয়ে গেছে সাধারণ পাঠকের ধরাছোঁয়ার বাইরে।
সবরকম ভাবেই সাহিত্য রচনা হতে পারে, যে কোনো উদ্দেশে, যে কারও উদ্দেশে বা উদ্দেশ-উদ্দেশ্যহীনও হতে পারে। যেভাবে, যখন, যে কারণেই তিনি লিখুন না কেন মুজিব মেহদী যে ‘খড়বিচালির দুর্গ’কে একই সাথে আধুনিক আর উত্তরাধুনিক করে তুলতে পেরেছেন এখানেই এর সার্থকতা।
মুজিব মেহদীর এই বইয়ের ‘বৃষ্টিভেজা গদ্যের অভিমুখ সর্বদাই বিষাদলক্ষ্যী হয়’ নামের একটি রচনা এই ক্ষেত্রে উল্লেখ হওয়ার দাবি রাখে। এই লেখাটি ওয়েস্ট ল্যান্ডের মতোই বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত, একেক ভাগের একেক অনন্য নাম, ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষায়। ‘এ হমিজ টু দ্য রেইন গডস’ নামের অংশে সংস্কৃতির বিভিন্ন শাখা থেকে উজ্জ্বল সব রেফারেন্স এসেছে। শুরু হয়েছে ‘বর্ষা মাথায় নিয়ে পণ্ডিত শিবকুমার শর্মার সঙ্গে লাইভ পারফর্মেন্স’ দিয়ে এরপর লালন হয়ে নজরুল— “পূর্বপ্রান্তের পাথরগুচ্ছের ধার ঘেঁষে সাজানো হার্ডড্রিঙ্কসের দোকানিরা অজয় চক্রবর্তীর কণ্ঠে কাউন্টার দেয় ‘মেঘমেদুর বরষায়’ … বাজিয়ে”। এই একই লেখায় খনার বচন যেমন উঠে এসেছে, তেমনি এসেছে ‘মাসুদ খানের মতো অনুভূতি…বর্ষাই মূল পাঠ্যকৃতি,/ মূল আখ্যানপাত্র/ আর সব ঋতু পাঠ সহায়িকা,/ টীকা-টিপ্পনিমাত্র।’ এইসব অ্যালিউশন এই বইকে নানান ভাবে সমৃদ্ধ করেছে। সময় আর সংস্কৃতিকে নিবিড় বিশ্লেষণের মাধ্যমে তুলে ধরেছে বৈচিত্র্যময় এক অপরূপ ক্যানভাসের মতোন করে। কিন্তু ওই যে সেই শতাব্দী-পুরাতন বিতর্ক— সাহিত্য আদতে কার জন্যে লেখা হয়? লেখকের নিজের চাহিদায় নাকি পাঠক পড়বে বলে? আধুনিক সাহিত্যের সমালোচকেরা এই দুর্বোধ্যতা, সাধারণ পাঠককে উপেক্ষা করা নিয়ে বরাবারই আপত্তি জানিয়ে এসেছেন। উত্তরাধুনিকতা আরও একধাপ এগিয়ে এসে সাহিত্যের সাথে সহজবোধ্যতা ও জনপ্রিয়তার সম্পর্কের স্বরূপ বিশ্লেষণ করতে চেয়েছে। আমি মনে করি এই বিতর্ক আরও বহু যুগ চলতে থাকলেও কোনো সমস্যা নাই। সবরকম ভাবেই সাহিত্য রচনা হতে পারে, যে কোনো উদ্দেশে, যে কারও উদ্দেশে বা উদ্দেশ-উদ্দেশ্যহীনও হতে পারে। যেভাবে, যখন, যে কারণেই তিনি লিখুন না কেন মুজিব মেহদী যে ‘খড়বিচালির দুর্গ’কে একই সাথে আধুনিক আর উত্তরাধুনিক করে তুলতে পেরেছেন এখানেই এর সার্থকতা।
বইয়ের একদম শেষের দিকের কিছু লেখা দৃশ্যত ও মূলত কবিতাই। সেই রকম দু’টি রচনা নিয়ে আলোচনা না করলেই নয়। ‘যাত্রার ছন্দই ঠিক করে দেয় হবে কেমন ভ্রমণ’ শিরোনামে কবি লিখেছেন—
তবে ছন্দ লাগবে একটা, নিজস্ব ক্রন্দনে ভরা লেখার টেবিল যেমন, ছন্দই ঠিক
করে দেবে ঠিক কী হবে উৎপাদন, যে ছন্দ ছন্দশেখা বইয়ের বাইরে জাত
পথিক বলল, ‘দেখো উড়ছি সছন্দ লয়ে, হাঁটছি যতটা না তারও চেয়ে’
সময় বলল, ‘আমি সব ত্যাগই লিখে রাখি কালের কালিতে’
সবকিছু বারবার ভেঙে বারবার গড়তে হয়। হয়তো এর নামই নিরীক্ষা। মূল চ্যালেঞ্জ হলো এই নিরীক্ষা যতো সচেতনই হোক, পাঠক যেন বুঝতে না পারে। নিরীক্ষা হতে হয় সাবলীলের চেয়েও সাবলীল। ‘খড়বিচালির দুর্গ’আমার এই পছন্দ-অপছন্দের সূত্রের বিচারে হয়তো খানিকটা পিছিয়ে আছে কিন্তু এর এগিয়ে থাকার আরও অনেক কারণ আছে।
আমার কাছে সাহিত্যের হিসাব একই সাথে এই দুনিয়ায় সবচেয়ে জটিল এবং সবচেয়ে সহজ। ভালো লাগার হিসাবও তাই। লিখতে কেন ভালো লাগে তার হিসাব যত বেশি জটিল, পড়তে কেন ভালো লাগে এর হিসাব ততখানিই সহজ। মানুষ নতুন কিছু পড়তে চায়, একেকজন লেখক একেকজন থেকে আলাদা হোক মনে মনে এমন দাবি করে। যখন বুঝতে পারে কোনো একজন বইয়ে এমন কিছু লিখছে যা আগে কেউ লেখে নাই বা ভবিষ্যতেও কেউ লিখবে না, একজন পাঠক তখন সেই লেখাকে গুরুত্ব না দিয়ে পারে না। সব লেখককে যে অন্য কারও কথা ভেবে লিখতে হবে এমন না। সে একলা নিজেও হতে পারে সমস্ত পাঠকের সমান। নিজে হোক বা অন্য, পাঠকের কথা চেতনে বা অবচেতনে ভেবে লেখক লিখতে বসে। চ্যালেঞ্জ হলো তাকে নতুন কিছু লিখতে হবে। কিন্তু এই পৃথিবীতে আর নতুন শব্দ, নতুন বাক্য, নতুন চিন্তা, অনুভব খুঁজে পাওয়া সহজ নয়। লেখককে তাই ভাষা, অনুভূতি, ভাবনা— সবকিছু বারবার ভেঙে বারবার গড়তে হয়। হয়তো এর নামই নিরীক্ষা। মূল চ্যালেঞ্জ হলো এই নিরীক্ষা যতো সচেতনই হোক, পাঠক যেন বুঝতে না পারে। নিরীক্ষা হতে হয় সাবলীলের চেয়েও সাবলীল। ‘খড়বিচালির দুর্গ’ আমার এই পছন্দ-অপছন্দের সূত্রের বিচারে হয়তো খানিকটা পিছিয়ে আছে কিন্তু এর এগিয়ে থাকার আরও অনেক কারণ আছে।
এই বইয়ের লেখাগুলো নিজেরাই নিজেদের কণ্ঠস্বর। গল্প-কবিতা যাই হোক না কেন এরা যতবার যত শব্দে, যত ভাষা-ভঙ্গিতে কথা বলে, ততবার কোনোদিন না দেখা সমুদ্রের স্রোত বয়ে যায়। ঢেউ থেকে ঢেউকে আলাদা করে এদের কথার অর্থ বের করা হয়তো তীরে দাঁড়ানো পাঠকের জন্যে কষ্টসাধ্য। তবে অচেনা, ভিনদেশি সুরে বাজা বাঁশিও অনেক সময় মধুরতর হয়।
আব্দুল্লাহ আল মুক্তাদিরের জন্ম সিরাজগঞ্জে, ১৯৯০ সালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে পড়াশোনা শেষ করে এখন শিক্ষকতা করছেন ত্রিশালের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে। দৈনিক সংবাদের সাহিত্য পাতায় ছোটগল্প ও কবিতা প্রকাশের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ ২০১০ সালে । এখন পর্যন্ত প্রকাশিত কবিতার বই দুইটা, অন্য গাঙের গান, সমুদ্রসমান (২০১৬) ও যুদ্ধ যুদ্ধ রুদ্ধ দিন (২০২০)। প্রথম গল্প সংকলন বছরের দীর্ঘতম রাত প্রকাশিত হয় ২০১৯ সালে।