শুক্রবার, নভেম্বর ২২

সুখ পাখি : কিযী তাহ্‌নিন

0

মূল নগরের আশপাশ জুড়ে কাঁচুমাচু কিছু মফস্বল অঞ্চল লুকিয়ে থাকে— মসুরি তেমন এক স্থান। মূল নগর পপৌরির বর্ডার পার হয়ে আর ২৫-৩০ কিলোমিটার পর মসুরি। পপৌরি নগর তিন রঙা ফুল, রসালো ডালিম, আর সুঘ্রাণের জন্য প্রসিদ্ধ। সেই সুঘ্রাণে তীব্রতা আছে রাতের ঝলমলে উৎসবের মতন।

উল্টোদিকে, মসুরি কেমন নিজের মতন গুটিশুটি লুকিয়ে থাকা ছিমছাম। মসুরিতেও সুঘ্রাণ আছে, তবে তা স্নিগ্ধ, হালকা। মসুরির মতন লুকিয়ে থাকা সাদামাটা জায়গাগুলো থাকে বলেই, তার বিপরীতে পপৌরির মতন মূল নগরীকে এতো আকর্ষণীয় মনে হয়। আর তাই মসুরির মতন ছোট্ট সময়ের মফস্বল থেকে বড়ো হতে তরুণেরা ছোটে পপৌরিতে। আর যারা থেকে যায়, তারা শুধু থেকেই যায়, বেঁচে থাকার মতন।

যেমন আছেন ইসমত অলকানন্দা। তবে তিনি আর সবার মতন থেকে যাবার জন্যই শুধু থাকেননি। তার চোখদুটো পাখি যেন। আশার পালক ঝাপটি দেয় প্রতি পলকে। সেই শিশুকালে একঢাল রেশম চুলগুলোকে তার মা বেঁধে দিতেন বিশেষ কায়দায়। সামনের চুলগুলোকে গোছা করে তুলে পেঁচিয়ে আধাঢিলে একটা খোঁপা করে ঝিনুকের কাঁটা গেঁথে দিতেন। আর পেছনের চুলগুলো থাকত খোলা— হাওয়ায় ঝাপটাত। ইসমত অলকানন্দার বাহারি চুল আর পাখির পালকের মতন আশার চোখ এই অঞ্চলে কেউ যেন কখনো দেখেনি আগে। সেই ছোটো থেকে এখনো। বয়স আশি পার হয়েছে তবু সাদা চুলগুলো এমন করেই বাঁধে। আশার চোখ ঝকমকে এখনো, আগের মতনই। আর এ অঞ্চলের মেয়েরা সেই কবে থেকে তার মতন করে চুল বাঁধে। সকলে তার নাম দিয়েছে অলকাখোঁপা।

মসুরি শান্ত, তাতে আলাদা কোনো চটক ছিল না— যার আকর্ষণে অন্য অঞ্চলের মানুষ এখানে ঘুরতে আসবে। প্রকৃতি আছে, তাতে আলাদা উল্লাস ছিল না— যে, পর্যটকের দল প্রকৃতি দেখে, উৎসব করে তারপর ফিরবে। তবে যারা মসুরির মতন নিজের কাছে লুকিয়ে থাকতে চায় এমন কিছু মানুষজন সারাবছরই আসত। সেটা ইসমত অলকানন্দার ছোটোবেলার কথা।

ইসমত অলকানন্দার ছোটোবেলা কেটেছে আর বাকিদের মতোই। ভোরবেলা উঠে বাবার সাথে কৃষিশিক্ষা আর জীবনশিক্ষার পাঠ নিত সে। হাতেকলমে বাঁধাকপি ফুলকপি টমেটো আর সোনালি লেবুর গাছগুলোকে ফলফলান্তি করবার কাজ করত, সার-পানি দিত। আর বাবার কাছে শিখত হাত গুণে গুণে অঙ্ক— যাতে বাজারে গেলে ঠিক দামে ফল-ফসলের বেচাকেনা করতে পারে। কবিতা, অক্ষরজ্ঞানের পাঠ চলত গাছের ডাল দিয়ে মাটিতে দাগ কেটে কেটে।

ইসমত অলকানন্দার ছোটোবেলা কেটেছে আর বাকিদের মতোই। ভোরবেলা উঠে বাবার সাথে কৃষিশিক্ষা আর জীবনশিক্ষার পাঠ নিত সে। হাতেকলমে বাঁধাকপি ফুলকপি টমেটো আর সোনালি লেবুর গাছগুলোকে ফলফলান্তি করবার কাজ করত, সার-পানি দিত। আর বাবার কাছে শিখত হাত গুণে গুণে অঙ্ক— যাতে বাজারে গেলে ঠিক দামে ফল-ফসলের বেচাকেনা করতে পারে। কবিতা, অক্ষরজ্ঞানের পাঠ চলত গাছের ডাল দিয়ে মাটিতে দাগ কেটে কেটে। বেঁচে থাকার জন্য যতটুকু দরকার, সে শিখে নিয়েছে বাবার কাছ থেকে। এ নতুন কিছু নয়। এ অঞ্চলের ছেলে মেয়েরা এমন করেই শেখে। কাজের ফাঁকে পাঠশালা যায়। ঘর, কাজ— সবটুকু জুড়েই তারা শেখে। ইসমত অলকানন্দার জীবনও আর বাকিদের মতন। মসুরির মানুষদের কাছে ইসমত অলকানন্দা এক আকর্ষণ। তাকে দেখলে যেন মনে হয়, অন্য কোথাও বাড়ি। অন্যরা ইসমত অলকানন্দাকে দেখে আকর্ষিত হয় এটা সে বুঝতে পারে। তবে তাঁর নিজের জীবন ছিল ছিমছাম, একইরকম।

প্রতিদিনের রুটিনে ইসমত অলকানন্দার আরেকটি কাজ ছিল। অল্প যে ক’জন পর্যটক নিরিবিলি থাকার জন্য এখানে আসত, তাদের খরচের হিসাবনিকাশ করা, দেখভাল করা। ইসমত অলকানন্দার বাবার ছিল পৈতৃকসূত্রে পাওয়া বাড়তি এক দোতলা বাড়ি। সেই বাড়টি ব্যবহার করা হতো পর্যটনের কাজে। যে গুটিকয়েক মানুষ বছরজুড়ে মসুরিতে আসত, তাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা হতো ওই বাড়িতে। সেখান থেকে যা টাকা পাওয়া যেত, ৬০ শতাংশ পেত ইসমত অলকানন্দার বাবা, আর বাকিটা মসুরির প্রধানের তহবিলে যেত অঞ্চল উন্নয়ন খাতে। বড়ো হতে হতে এই পর্যটন ব্যবসাকে পুরোপুরি আয়ত্ত করে ফেলল ইসমত অলকানন্দা। ভাইয়েরা খেতের কাজ করে, আর ইসমত অলকানন্দা মনপ্রাণ ঢেলে পর্যটন ব্যবসা সামলায়, হিসাবকিতাব রাখে।

ইসমত অলকানন্দা তখন কৈশোরের শেষ দিনগুলোতে। একবার পপৌরির নগরকবি এসেছিলন সেই পর্যটন বাড়িটিতে থাকতে; নিরিবিলি কাব্য রচনা করবে বলে। ইসমতের বিনয়, আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব আর দৃঢ়তায় মুগ্ধ হয়েছিল নগরকবি। শোনা যায়, তার লেখা মহাকাব্যে ইসমতকে উল্লেখ করে কয়েকটি পঙ্‌ক্তিও আছে। মসুরি থেকে চলে যাওয়ার আগে অনেক উপহারও দিয়ে গিয়েছিলেন তাকে। আর সাথে দিয়েছিলেন পপৌরির বিখ্যাত ডালিম। ইসমত অলকানন্দার হাতে সোনার মতন ফসল জেগে ওঠে। ডালিমের কিছু বিচি শুকিয়ে রেখেছিল মনের খেয়ালে। এক গরমের দিনে খেলার ছলে ডালিমের বিচি আর মসুরির বিখ্যাত সোনালি লেবুর বিচি গুঁড়ো করে মিশিয়ে ছড়িয়ে দিয়েছিল বাড়ির পেছনের খালি জমিতে। ভুলেও গিয়েছিল। সেইবার শীতের আগে, ইসমতের বাবা যখন ভাবল অনেকদিনের পরে থাকা জমিতে বাঁধাকপির চাষ করবেন, ততদিনে হলুদ রেশমি পাতায় ভরা গাছ পুরো জমি জুড়ে। এমন গাছ কেউ দেখেনি আগে। ইসমতের বাবা বলে, ‘কেটে ফেলি এ অচেনা গাছ।’

‘না না এগুলো আমার বোনা গাছ। কেটো না।’

পাখির পালকের মতন কথা বলে ওঠা ইসমত অলকানন্দার অনুরোধ উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। তাঁর বাবা গাছগুলো রেখে দেয়। রেশমি হলুদ পাতায় ভরে ওঠে জমি। সেবার বসন্তে ডালিম রঙা ফলে পুরো জমি ছেয়ে যায়। ডালিম ভেবে ভেঙে দেখে ভেতরে লেবুর মতন শাঁস, টলটলে সোনালি। আর কেমন এলাচ দানার গন্ধে মৌ মৌ। কেউ কামড় দিতে সাহস করে না। যদি বিষ হয়, তেতো হয়? এক ভোরে ইসমত অলকানন্দা ঘুম থেকে জেগে দেখে সূর্য উঠি উঠি আলোয় পুরো জমি যেন সোনা। সোনারঙা আলো ঠিকরে বেরুচ্ছে সূর্যের সাথে রেশম পাতার মিলেমিশে। সেই রং উপেক্ষা করেনি ইসমত অলকানন্দা। দৌড়ে গিয়ে একটা টসটসে ফলে কামড় বসায়। এমন স্বাদ, এমন ঘ্রাণ আগে কখনো কেউ জানেনি। টলটলে শাঁসের এলাচের ঘ্রাণ মাখা মিষ্টি ফল। ইসমত অলকানন্দা তার নাম দিয়েছিল— এলাচি ফল।

এক ভোরে ইসমত অলকানন্দা ঘুম থেকে জেগে দেখে সূর্য উঠি উঠি আলোয় পুরো জমি যেন সোনা। সোনারঙা আলো ঠিকরে বেরুচ্ছে সূর্যের সাথে রেশম পাতার মিলেমিশে। সেই রং উপেক্ষা করেনি ইসমত অলকানন্দা। দৌড়ে গিয়ে একটা টসটসে ফলে কামড় বসায়। এমন স্বাদ, এমন ঘ্রাণ আগে কখনো কেউ জানেনি। টলটলে শাঁসের এলাচের ঘ্রাণ মাখা মিষ্টি ফল। ইসমত অলকানন্দা তার নাম দিয়েছিল— এলাচি ফল।

এরপর বদলে গিয়েছিল মসুরি। কিংবা বদলে দিয়েছিল ইসমত অলকানন্দা। প্রতি বসন্তকালে মসুরি জেগে উঠত উৎসবে। লোকে তার নাম দিয়েছিল প্রভাত-উৎসব। এলাচি ফলে মাখামাখি জমি, যা অন্য কোথাও জন্মে না, তাতে যখন সূর্যভাঙ্গা প্রথম আলো পরে, যেন সোনা! পর্যটকে ভরপুর হয়ে ওঠে মসুরি বসন্তকালে। প্রভাত-উৎসব দেখে, এলাচি ফল কিনে উৎসব করে পর্যটকদল ফিরে যেত। আরও পাঁচটি দালান ভাড়া করে অতিথিদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা হয়। পর্যটন ব্যবসা জমে ওঠে বসন্তে। সব সামলায় ইসমত অলকানন্দা। পপৌরি নগর থেকে নগরকবিও এসেছিলেন স্বয়ং সে উৎসব দেখতে। তখন তিনি বৃদ্ধ, ক্লান্ত। গল্পের আসর জমেছিল মসুরিতে সেদিন। নগরকবি বলেছিলেন কেমন করে তাঁর উপহার দেওয়া ডালিম থেকে জন্ম নিল এলাচি ফল। সবই ইসমত অলকানন্দার গুণে। সেদিন রাতে ফিরে যাওয়ার আগে, নগরকবি আলাদা করে খুঁজে নিয়েছিলেন ইসমত অলকানন্দাকে।

বলেছিলেন, ‘তুমিই পারবে, এবার খোঁজো।’

ইসমত বিস্মিত হয়— ‘কী খুঁজব কবি?’

‘সুখ পাখি।’

‘সুখ পাখি?’

নগরকবি থেমেছিলেন। তাঁর থেমে যাওয়াটুকুতে বিষণ্ণতা। তিনি বলেছিলেন, ‘ছোট্টবেলায় বাবার মুখে গল্পটা শুনেছিলাম। বাবা শুনেছিলেন তাঁর বাবার কাছে। ভোর হবে হবে মুহূর্তে, একটা পাখি উড়ে বেড়ায়, ঘুড়ে বেড়ায়, গান গেয়ে ওঠে। তার নাম সুখ পাখি।

‘আপনি তাকে পেয়েছেন কবি?’ ইসমতের কণ্ঠে বিস্ময়, চোখে জাদু।

‘অত সহজ তো নয়। সে নিজেকে লুকিয়ে রাখে, সহজে কারো সামনে আসে না। তবে কোনো মানুষ যদি একবার কোনোভাবে এই পাখির দেখা পায় বাকি জীবন তাকে আর কোনো দুঃখ-কষ্ট স্পর্শ করে না, সে সুখী হয়। হাতে গোনা অতি সৌভাগ্যবান কিছু মানুষই শুধু তার দেখা পায়। কাকে দেখা দেবে সেটা একান্তই নির্ভর করে সুখ পাখির নিজের মর্জির ওপরে। সে না চাইলে হাজার খুঁজেও তার দেখা পাওয়া সম্ভব নয়। আমি সারাজীবন খুঁজেছি। খুঁজতে খুঁজতে কেমন কবি হয়েছি দেখো। সুখ পাখি পাইনি। এ এক নেশার মতন।’

‘আপনি খুঁজে পাননি। আমি কী করে পাব?’

‘চেষ্টা করো ইসমত। তুমি সোনার সকাল তৈরি করেছ। তুমি চেষ্টা করো। সোনার এ পাখি খুঁজে দেখো। পারলে তুমিই পারবে। আমার তো বয়স শেষ। চোখের আলোও কমে আসছে। তুমি খোঁজো।’

‘কিন্তু আমি যে সুখী। আমার তো আর সুখের প্রয়োজন নেই।’

কবি হেসেছিলেন। তিনি এখন আর বিষণ্ণ নন। তার কণ্ঠে আশার ফুল, ‘ইসমত তুমি তোমার জন্য সুখী। তুমি সকলকে সুখী করবে না? তুমি সুখ পাখি খুঁজে পেলে, মসুরিও যে পূর্ণ হবে।’

নগরকবি চলে যাওয়ার আগে ইসমতকে কবিতার টুকরো পঙ্‌ক্তি লিখে দিয়ে গিয়েছিলেন। ইসমত অলকানন্দা তা এখনও পরম যত্নে গুছিয়ে রেখেছে। আর খুঁজে গেছে সুখ পাখি। নগরকবি ঠিকই বলেছেন, সুখ পাখি খোঁজা যেন এক নেশা, ধ্যানের মতন ঘোর জাগানিয়া। সেই তারুণ্যে ডুবিডুবি ইসমত অলকানন্দা আজও তাঁর আশি পার করা জীবনে খুঁজছেন।

নগরকবি চলে যাওয়ার আগে ইসমতকে কবিতার টুকরো পঙ্‌ক্তি লিখে দিয়ে গিয়েছিলেন। ইসমত অলকানন্দা তা এখনও পরম যত্নে গুছিয়ে রেখেছে। আর খুঁজে গেছে সুখ পাখি। নগরকবি ঠিকই বলেছেন, সুখ পাখি খোঁজা যেন এক নেশা, ধ্যানের মতন ঘোর জাগানিয়া। সেই তারুণ্যে ডুবিডুবি ইসমত অলকানন্দা আজও তাঁর আশি পার করা জীবনে খুঁজছেন। প্রতিদিন ভোর সেঁচে ফেলেছেন, তাঁর পালকের মতন দু’চোখে। সুখ পাখির খোঁজে। কতকিছু এসেছে জীবনে, এলাচি ফল ঘিরে বসন্তের প্রভাত-উৎসব ফুলে ফলে ভরে উঠেছে। ইসমত অলকানন্দা স্ত্রী হয়ে, মা হয়ে জীবনের কত রূপ ধারণ করেছেন। তবু সুখ পাখির নেশা তার কাছে সবচেয়ে সত্য। আশি পার করে আরও তিন বছর বেঁচে ছিলেন। শেষ দিনেও চোখের শেষ আলোতে, সবটুকু দিয়ে সুখ পাখি খুঁজেছেন।

ইসমত অলকানন্দা চলে যাবার পর, এলাচি ফলের বাগানেই তার সমাধি বানিয়েছে পরিবার আর মসুরির মানুষেরা। এলাচি ফলের ঘ্রাণে মেখে থাকে সমাধি। সমাধির এক পাশে ছোট্ট টিলা করে রঙিন ফুলের জংলা তৈরি করেছে মসুরির স্থপতি। খুব ভোরে আশেপাশের পাখিরা টিলার ওপরে এসে বসে। হু হু একটা গুনগুন সুর ভেসে আসে পাখিদের মাঝ থেকে। সবাই খোঁজে। কেউ তবু সুরের ঠিকানা খুঁজে পায় না।

সেই যে নগরকবি কবে ক’লাইন লিখে দিয়েছিলেন ইসমত অলকানন্দার জন্য, তাঁর সমাধির পাশের সেই টিলায় টুকটুকে সোনালি রঙে খচিত রয়েছে—

‘দিয়েছো টান
পেয়েছো জীবন?
খুঁজেছো কি সময়
জীবনের চেয়েও দামি?
আহা সুখ পাখি।’

আর মসুরির মানুষেরা বলে, ‘এখানেই আছে সুখ পাখি, নিশ্চিত।’

শেয়ার করুন

লেখক পরিচিতি

জন্ম ১৩ জানুয়ারি, ঢাকায়। লেখালিখি শুরু হয় পত্রিকার শিশুপাতায় কবিতা লেখার মধ্যে দিয়ে, সেই সৃজনশীল লেখার অধ্যাবসায় এবং চর্চা তিনি চালিয়ে যেতে চান। তার লেখা গল্প এবং কলাম প্রকাশিত হচ্ছে দেশ এবং বিদেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য পত্রিকার সাহিত্য পাতায়। তার বিভিন্ন গল্প অনূদিত হচ্ছে ইংরেজি ভাষায়। ২০১৯ সালে কিযী তাহনিনের প্রথম গল্পগ্রন্থ 'ইচ্ছের মানচিত্র', ২০২০ সালে গল্পগ্রন্থ 'আছে এবং নাই' এবং ২০২১ সালে গল্পগ্রন্থ 'বুধ গ্রহে চাঁদ উঠেছে' প্রকাশিত হয়েছে পাঠক সমাবেশ থেকে। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশে অবস্থিত জাতিসংঘের একটি অঙ্গসংস্থায় কর্মরত আছেন।

error: আপনার আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় ।