বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১

ধ্রুব এষের উদ্ভট গল্প : মনোজিতের দিবানিদ্রা

0

Eid Motif

মনোজিত ছাত্রী পড়াচ্ছে।

মনোজিত বসাক মনা। টাউনের পৌর কলেজের অধ্যাপক। বয়স এই বিশে মার্চে ফিফটি সিক্স হয়েছে। ছাপ্পান্ন না ফিফটি সিক্স। কেন নয় ছাপ্পান্ন বললে মনে পড়বেই ছাপ্পান্ন পাগলকে। টাউনের পাগল। পাকিস্তান আমলের। তারা দেখে নাই, শুনেছে কেবল। চেয়েচিন্তে বালিশের খোলে জমানো নগদ ছাপ্পান্ন হাজার টাকা চুরি হয়ে গেলে মাথা বিগড়ে গিয়েছিল মানুষটার।

ছাপ্পান্ন প্লাস বছর পার হয়ে গেছে, ছাপ্পান্ন পাগল যায় নাই টাউনের জন-মন থেকে। টাউনের বাতাসের কোনো লেয়ারে এখনো ছাপ্পান্ন পাগলের বিলাপ লেগে আছে, ‘ছাপ্পান্নো হাজার রে! ছাপ্পান্নো হাজার!’

রমজান মাস। ছাব্বিশ রোজা যায়। কাল রাতে ব্যাপক ঝড় বৃষ্টি হয়েছে। তার ঠান্ডা রেশ আছে এখনো। রোদ অতটা তেজালো না। মেঘের দল আছে। আবার বৃষ্টি হবে এমন রং রূপ তাদের।

এই ব্যাচে পড়ে ছয় জন। রোকসানা, লিডিয়া, নুজহাত, সীমা, শায়েরি, মিষ্টি। রোকসানা, নুজহাত ও শায়েরি রোজা রাখে। সাহ্‌রী করে সকালে আসতে পারে না। লিডিয়া, সীমা এবং মিষ্টি আসে। খ্রিষ্টান মিশনের অর্পার মেয়ে লিডিয়া, ষোলঘরের রানাদার মেয়ে সীমা, চাণক্য পাড়ার ভজনদার মেয়ে মিষ্টি। এই তিনটার মধ্যে মিষ্টিটা গাধা। পড়াশোনা পারে না, করে না। কলেজের ছাত্রী হতে পেরেছে ডাইরেক্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায়।

সকাল আটটার ব্যাচ পড়াচ্ছে মনোজিত। এই ব্যাচে পড়ে ছয় জন। রোকসানা, লিডিয়া, নুজহাত, সীমা, শায়েরি, মিষ্টি। রোকসানা, নুজহাত ও শায়েরি রোজা রাখে। সাহ্‌রী করে সকালে আসতে পারে না। লিডিয়া, সীমা এবং মিষ্টি আসে। খ্রিষ্টান মিশনের অর্পার মেয়ে লিডিয়া, ষোলঘরের রানাদার মেয়ে সীমা, চাণক্য পাড়ার ভজনদার মেয়ে মিষ্টি। এই তিনটার মধ্যে মিষ্টিটা গাধা। পড়াশোনা পারে না, করে না। কলেজের ছাত্রী হতে পেরেছে ডাইরেক্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায়। পরীক্ষা পদ্ধতি তারা জলবৎ তরলং করে দিয়েছে। হায়রে! তাদের সময় থাকত এরকম মহা সৃজনশীল পরীক্ষা পদ্ধতি!

নতুন বছরের নতুন ব্যাচ এরা। অনার্স ফার্স্ট ইয়ার। দুই মাস ধরে মনোজিতের কাছে পড়ছে। বিকালে আরও এক ব্যাচ পড়ে। আটজনের ব্যাচ। রমজান মাস বলে তাদেরও চারজন আসে না। চারজন আসে। এই ব্যাচের সোনেকা মেয়েটা দেখতে মেঝোবৌদির বোন শ্যামলিমার মতো। ফরিদুল, জাতির বিবেক, এরা দেখেছে শ্যামলিমাকে। ফরিদুল পরে কাব্য ডেলিভারি দিয়েছে।

পলিমাটির বানানো, মা,
মনার বেয়াইন শ্যামলিমা।

‘মা? কার?’

‘আমার বাচ্চার। আমি বিয়া করব তোর বেয়াইনরে।’

মনোজিতের বেয়াইনকে বিয়ে করে নাই, ফরিদুল বিয়ে করেছে তার বেয়াইন লুবনাকে। সতেরো বছরের দাম্পত্য জীবনে তারা তিনের অধিক বাচ্চা প্রযোজনা করেছে।

‘মিষ্টি?’

‘স্যার?’

‘নো দাইসেলফ কার কথা, বলো।’

‘নো দাইসেলফ?’

মিষ্টি অকুল পাথারে পড়ল। নো দাইসেলফ সে বলে নাই, নিশ্চিত সে। তবে কে, লিডিয়া বলেছে? নাকি সীমা?

মনোজিত বলল, ‘তুমি বলো নাই?’

‘না স্যার! না স্যার! বিদ্যা-আ-আ!’

মিষ্টির বাবা ভজনদার সঙ্গে বুধবারে দেখা হয়েছিল রাস্তায়। ভজনদা আনন্দের সঙ্গে বলেছে সম্বন্ধের পর সম্বন্ধ আসছে মেয়ের। ভগবানের কৃপা, মেয়ে একেবারে দুর্গা প্রতিমার মতো হয়েছে দেখতে। লাইন পড়েছে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, গ্রীস, আমেরিকা, ইউক্রেন প্রবাসী পাত্রদের। ভজনদার দুই পাত্র পছন্দ হয়েছে। এরা অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডা প্রবাসী। মিষ্টির এক মামা থাকে কানাডায়। সে বলেছে সৎপাত্র। অস্ট্রেলিয়ার ছেলেটার ব্যাপারে বাপিকে ফোন করেছিল ভজনদা। বাপি ছেলের গোষ্ঠীসুদ্ধ চেনে। বলেছে, এই যুগে এমন ছেলে বিরল ভজনদা। মদ খায় না, গানজা টানে না।

‘কানাডার ছেলেটা কি মদখোর নাকি, ভজনদা?’

‘না-আ-আ। তা কেন হবে? তা কেন হবে? মদখোর-গানজাখোরের সাথে আমি মেয়ের বিয়ে দিব নাকি? তুমি মনা এইটা কী কথা বললা? ধরো পাত্র তোমার ভাতিজা অরিত্র আর বিপ্রেশ উকিলের নাতি মৃদুল। আমি কি মৃদুলের কাছে মেয়ে বিয়া দেব? গাইনজাখোর একটা!’

‘কানাডার ছেলেটা কি মদখোর নাকি, ভজনদা?’

‘না-আ-আ। তা কেন হবে? তা কেন হবে? মদখোর-গানজাখোরের সাথে আমি মেয়ের বিয়ে দিব নাকি? তুমি মনা এইটা কী কথা বললা? ধরো পাত্র তোমার ভাতিজা অরিত্র আর বিপ্রেশ উকিলের নাতি মৃদুল। আমি কি মৃদুলের কাছে মেয়ে বিয়া দেব? গাইনজাখোর একটা!’

ভগবানের লীলা

কার মুখে কী দিলা!

ভজনদা মার্কামারা মদখোর টাউনের। টপচার্টে তিন নম্বরে আছে। ফার্স্ট মুশায়িদ ভাই, সেকেন্ড লিখনের দাদা সত্যশিব কাকা।

‘লিডিয়া, নো দাইসেলফ কোন দার্শনিক বলছেন?’

‘সক্রেটিস স্যার।’

‘গুড! ভেরি গুড! গুড! দর্শনের গোল্ডেন রেশিও জানো?’

‘না স্যার।’

‘সীমা?’

‘না স্যার।’

‘মিষ্টি জানো?’

‘না স্যার! না স্যার!’

হেসে দিল মনোজিত। বলল, ‘দর্শনের গোল্ডেন রেশিও বা—।’

ফোন বাজল।

ঢাকা কলিং।

এই এক আজব! সময় জ্ঞান নাই!

জাতির বিবেকও অভিযোগ দায়ের করেছে। শালা বে, মানে বেদিশা, সময়-গময় বোঝে না, কল দিয়ে বসে। মারাত্মক সময়ে কল দিয়েছে কয়েকবার। জাতির বিবেকের বউ বাণী বলেছে, ‘দাদারে একটা বিয়া করতে বলো।’

বাণীর দরকারী বাণী শুনলে তো সে!

বাণীর দাদার কল ধরল মনোজিত, ‘কী রে?’

স্টার্ট নিল, ‘জাতির বিবেকের বউ আবার পোয়াতি শুনলাম। তারে কে পোয়াতি করছে?’

‘আচ্ছা রে। ধর একটু—।’

মনোজিত উঠল। তার ফোনের সাউন্ড অত্যন্ত পরিষ্কার। ছাত্রীরা ঢাকার কথা শুনে ফেলতে পারে। অস্বস্তিকর। ছাত্রী পড়ানোর সময় বন্ধুবান্ধব ফোন দিলে এজন্য ছাত্রীদের সামনে থাকে না সে। বেডরুমে ঢুকে যায়। এখন বেডরুমে ঢুকে বলল, ‘হ্যাঁ—?’

‘বাণীরে কে পোয়াতি করছে বল? জাতির বিবেক তো বলে তারা এখন ভাইবোনের মতো থাকে। গুরু ধরছে, দীক্ষা নিছে। ঘুম থেকে উঠে মালা টপকায়।’

‘শালা ভন্ড। কোনদিন দীক্ষা নিছেরে সে? দীক্ষা নিলে কেউ মালা টপকায় বলে? অসভ্য। মানুষ না এ। দুর্গাপুজার সময় বউ বাচ্চারে নিয়া একটা দিন বার হয় না ব্যাটা। আচ্ছা আমাদের না হয় বউ বাচ্চা নাই, তোর তো আছে। বউ আছে, দুই বাচ্চা আছে। তুই তাদের নিয়া ঘুরবি না।’

‘মনা রে?’

‘হুঁ।’

‘আগেই বলি রাগ করতে পারবি না। একটা কথা বলি। দিবারে নিয়া তুই দুর্গাপুজায় ঘুরতি?’

‘না রে। দুর্গাপুজার ছুটি পড়লেই সে নাইওর চলে যেত বাপের বাড়িতে। আমিও তার সাথে গেছি দুইবার—।’

‘তোর বউয়ের নামটা কিন্তু দারুণ রে। দিবা। কেমন একটা! হা হা হা! আস্কিং নামেই।’

আস্কিং। দিবা? মানে কী? কী দিবা? তা না, এ দিব্যময়ী থেকে দিবা। বলে কী হবে? মনোজিত এখন বলল, ‘হুঁ।’

‘হুঁ? ফরিদুলের কবিতা পড়ছিস?’

‘কোন কবিতা? এই এক যন্ত্রণা হইছে রে ভাই। হর হামেশা তার কবিতা পড়তে হয়। ফেইসবুকে দেয়। একদল গাধা আছে টাউনে, সে যা লেখে তাতেই লাইক দেয়, কমেন্ট করে। আহা উহু করে। রবীন্দ্রনাথ আসছে টাউনের। তুই যদি ফেসবুকে থাকতি দেখতি।’

‘কোন কবিতা? এই এক যন্ত্রণা হইছে রে ভাই। হর হামেশা তার কবিতা পড়তে হয়। ফেইসবুকে দেয়। একদল গাধা আছে টাউনে, সে যা লেখে তাতেই লাইক দেয়, কমেন্ট করে। আহা উহু করে। রবীন্দ্রনাথ আসছে টাউনের। তুই যদি ফেসবুকে থাকতি দেখতি।’

‘আমারে সে মেসেজে পাঠায়। এইমাত্র একটা পাঠাইছে। ফেইসবুকে দেয় নাই?’

‘আমি তো ফেইসবুক খুলি নাই আজ—।’

‘শোন তবে—
ও আমার মনা
ও আমার সোনা
দিদিমনি বলে, ইশ্শ
আর বলব না।
হা হা হা!’

মনোজিত শ্মশান-চণ্ডাল হলো মুহূর্তে। এই চণ্ডাল তার ভেতরে থাকে। অত্যধিক রাগ হলে আত্মপ্রকাশ করে। সেই চণ্ডাল মনে মনে ঢাকাকে বলল, ‘তুই চড়ক পূজা দেখছিস রে ভাই? দেখিস নাই। চড়ক গাছে আটকানো বঁড়শি দেখিস নাই। মানুষ গেঁথে ঘোরায়। বনবন করে চড়কগাছ ঘুরে উত্তরে দক্ষিণে পূবে পশ্চিমে। দেখিস নাই। তোর কথা শুনে আমার মাথায় চড়কের গাছ ঘুরতেছে রে ভাই। বনবন বনবন করে ঘুরতেছে। কবি হইছে? কবি! বাসস্ট্যান্ড রোডে ডেডবডি পড়ে থাকবে তার।’

ঢাকা চণ্ডালের কথা কী করে শুনবে?

মনোজিত বলল, ‘অ, আমি দেখি নাই।’

‘শালা কবি! দারুণ-ণ-ণ! হা হা হা।’

মিমিক্রি করল চণ্ডাল, ‘দারুণ-ণ-ণ! হা হা হা!’

মনোজিত বলল, ‘আচ্ছা রে শোন আমি এখন রাখি। একটু পরে ফোন দিবোনে আবার।’

‘আচ্ছা রাখ। কী হইছে? দিদিমনি আসছে?’

মনোজিত ফোনের লাইন কেটে দিল। নিশ্বাস উত্তপ্ত তার। চোখ লাল বর্ণ ধরতে লেগেছে। পড়ার ঘরের তিন কন্যা চুপ। এরা যদি স্যারের এই রূপ দেখত!

দিদিমণি! দিদিমণি আসছে কি না তোকে বলতে হবে? আবার জিজ্ঞেস করে মনোজিত বউকে নিয়ে দুর্গাপুজায় ঘুরেছে কি না। আশ্চর্য! কী আশ্চর্য! তোর বউ তো তোর সাথে কোনোদিন রিকশায়ও চড়ে নাই ব্যাটা। ছেড়ে চলে গেছে। ঢাকায় থাকিস, কী মনে করিস, আমরা কেউ কিছু জানি না। হ্যাহ্!

দিদিমণি! দিদিমণি আসছে কি না তোকে বলতে হবে? আবার জিজ্ঞেস করে মনোজিত বউকে নিয়ে দুর্গাপুজায় ঘুরেছে কি না। আশ্চর্য! কী আশ্চর্য! তোর বউ তো তোর সাথে কোনোদিন রিকশায়ও চড়ে নাই ব্যাটা। ছেড়ে চলে গেছে। ঢাকায় থাকিস, কী মনে করিস, আমরা কেউ কিছু জানি না। হ্যাহ্!

ক্রোধান্ধ মনোজিত ফেসবুকে ঢুকল। ফরিদুল তাকে কিছু ট্যাগ করে নাই। ফরিদুলের পেজে ঢুকে দেখল। ঢাকা যে কবিতার কথা বলেছে, সেই কবিতা নাই। কী না কবিতা? দিদিমণি বলে ইশ্শ না কী?

আরে এক দিদিমণি। ভেতরের খবর তোরা কিছু রাখিস? দিদিমণি! কয়টা দিদিমণি তোরা দেখেছিস? —আচ্ছা এই দিদিমণি দুইতলায় থাকে, মনোজিতের সঙ্গে তার অন্তরঙ্গ সম্পর্ক, তাতে কী? তোদের কী? কী? কী?

পাশের ঘর এত সুনসান। কেন?

জাতির বিবেক দীক্ষা নেয় নাই, মনোজিত নেবে। দুই বছর আগে নাম লিখিয়ে রেখেছে রামকৃষ্ণ মিশনের খাতায়। বিলম্ব হচ্ছে করোনার কারণে। এখন দুইবার ভগবানের নাম নিল সে। একবার ষোল নাম বত্রিশ অক্ষর। মাথা ঠান্ডা হলো।

বেডরুম থেকে বার হয়ে মনোজিত মাঝখানের দরজা থেকে দেখল তারা কেউ নাই। তিন ছাত্রী। চলে গেছে! তাকে না বলে…। পড়ার ঘরে ঢুকে সে বাইরের দরজা খুলে দেখল। স্যান্ডেল নাই লিডিয়া, সীমা, মিষ্টির।

দুইতলার সিঁড়ি পর্যন্ত একবার দেখে নিয়ে মনোজিত দরজা আটকাল।

‘মনা দাদা-আ-আ।’

মনোজিত চমকাল। ভীষণ চমকাল। বেডরুম থেকে কে তাকে ডাকছে? মাত্র সে বেডরুমে ছিল। একা। কোত্থেকে কে আসবে এর মধ্যে? আর যার গলা…!

দিবা আহলাদ করে এরকম ডাকত, ‘মনাদাদা-আ-আ! ও, মনা দাদা-আ-আ।’

দিবা!

বেডরুম থেকে আবার ডাক দিল, ‘মনা দাদা-আ-আ-আ।’

কী করে?

হতভম্ব মনোজিত কী করবে? বিকালবেলার আকাশ দেখল টাউনের। বিকালবেলা! কখন হয়ে গেল? মেঘের দল আরও ঘনবদ্ধ হয়েছে। গুড়গুড় করে ডাকল। বৃষ্টি কি এখনই নামবে? ছাত্রীরা চলে গেছে ভালো করেছে। কিন্তু না বলে চলে গেল একদম!

‘এই-ই-ই!’

মনোজিত ঘুরে দিবাকে দেখল। বেডরুমের দরজায়।

দিবা বলল, ‘এতক্ষণ ধরে ডাকছি, শুনছো না? তুমি কী গো?’

মনোজিত বলল, ‘অ্যাঁ?’

দিবা হাসল, ‘অ্যাঁ। রোজা রমজানের দিনেও ছুটি নাই। মাস্টার মশাইকে ছাত্রী পড়াতেই হবে। আমি ওদের বিদায় করে দিছি। ভজনদার মেয়েটা কী সুন্দর হইছে গো।’

মনোজিত বলল, ‘হুঁ।’

দিবা আবার হাসল, ‘হয়েছে। হুঁ। আসো।’

মনোজিত বেডরুমে ঢুকল। দিবা দরজা আটকে দিল।

দিবা? নাকি দিদিমণি? ঘরে ঢুকে কে দেখতে যাচ্ছে বাবা?

কিছু সময় আনন্দে থাকুক মনোজিত। দিবানিদ্রা দিক।

শেয়ার করুন

লেখক পরিচিতি

চিত্রশিল্পী, কথাসাহিত্যিক।

error: আপনার আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় ।