শিবলী মোকতাদির-এর দশটি কবিতা
বুদ্ধিজীবী দুই হাত আকাশের দিকে তুলে, উত্তপ্ত বালির মরীচিকা সম্বল ক’রে নিষ্ফল হবার একশোভাগ রিস্ক…
বুদ্ধিজীবী দুই হাত আকাশের দিকে তুলে, উত্তপ্ত বালির মরীচিকা সম্বল ক’রে নিষ্ফল হবার একশোভাগ রিস্ক…
ন হন্যতে দুঃখের ছবি দেখবো না আর এই না দেখার হাত ধরে বেড়াতে যাবো পাহাড়…
তাহলে বসন্ত এলো রক্ত-কুসুমিত,
সন্তের ক্রূরতা আর খুনীর সন্ন্যাসে
দিগন্ত পেরিয়ে—
দল বেঁধে রক্তমুখা ইঁদুরেরা আসে
তাহলে বসন্ত ভালো, হিম-কুসুমিয়া?
শেষবার জ্বলে উঠে শ্বেত ফসফরাস
নিভে গেলো জীবনের আশ্চর্য কিমিয়া!
নিদালি প্রান্তরে কারা হয়েছে মুখর,
সাপ আর শয়তানের উদগ্র সঙ্গম;
লম্বা মানুষের গল্প ১ লম্বা মানুষের ছায়া যে লম্বা হবে— এমনটা ব্যাপার না ছায়া দীর্ঘ…
যৌথ ভ্রামরী প্রাণায়ামের মতো তোমার সুগন্ধ নাকে টেনে মুখ দিয়ে বের করে দিই। গুঞ্জনের এই…
নিজের প্রতি ০১. আমরা দুজন অপরিচিত, পরস্পরে প্রবেশ করি। কী আসে যায় পরিচয়ে? এই যে…
এই বসন্তে তোমার স্মৃতি
ডেফোডিলের ঝাড়ে হাওয়ায় উড়ে আসা
এক সাদা-কালো ছবি।
ছিল তোমার প্রেম
মাঠের সৌন্দর্যে গাছের অবদানের মতো—
দূর দেশে বসে সে-কথাই ভাবি।
যখন নিভে গেল হারকেনের আলো
তাকে স্পষ্টই দেখতে পেলাম
চাঁদের ঠিক নিচে
করমচা গাছের ছায়ায়—
তারাদের কথা ওঠে—
ভুলে যাই
একদিন আমারও ছিল বাড়ি
ছোট ছোট পলপলা, কাকরোল ফুলের পাশে
আব্বার নামাজ
মাছের অশ্রুত চোখ
রথের দিনে শিমের বিচি গাঁথিয়া দিও সাঁঝে, সেই বিচিতে উঠবে গাছ আমার মনের মাঝে। শিমের গাছে ভরে উঠবে তোমার নয়া ভিটা, সকাল বিকাল মায়ার হাতে দিবা জলের ছিটা। আমি না হয় দূরে বসে দেখবো তোমার কাজ, তোমার হাতে আমিই না হয় ধরবো সবুজ সাজ। কতো কতো ফুল ফুটিবে তোমার আদর পেয়ে, কতো কতো আসবে ভ্রমর ফুলের খবর পেয়ে। ফুলগুলো তো সকাল বিকাল তোমার দয়ায় ফোটে, তুমিও যেনো ফুইটা থাকো মিথ্যে তো নয় মোটে। আমি না হয় শিমের ছায়ায় খুব নিরলে বসে, দেখবো শুধু কেমন করে পাঁপড়িগুলো খসে। সেই না ফলন তুলিয়া নিও তোমার আঁচল ভরে, দেখবো আমি দূরের মানুষ সারা মৌসুম ধরে। সেই শিম রান্ধিবা তুমি দাওয়াত পাইবার আশে, মেকুর হইয়া বইস্যা থাকমু তোমার ঘরের পাশে।