জোড়া মহিষের দেশ
চোখে জল চলে এলে ভরসা বলতে সেই এক জোড়া
মহিষের দেশ!
কতবার নদী পেরোলাম
কতবার বালিয়াড়ি পেরোলাম।
বাঁশিতে চেনা সুর, অথচ অচেনা
…………………………………বাঁশিয়াল।
আদরের বিপরীতে জোড়া মহিষ।
জোড়া মহিষ জলে নেমে যায় পুরোনো নুপূরের
…………………………………..খোঁজে
সাঁতার
জলে ডুবি, ভাসি আর চিরায়ত মাছেদের সাঁতার
খামারে হলুদবর্ণ ফড়িং।
আতপ চালের ঘ্রাণ জুড়ে থাকে নিসর্গ
…………………………………প্রাঙ্গণে।
আখ্যান
আমাদের নালা ও নদীময় দেশে দ্যাখো—
‘ও কি গাড়িয়াল বন্ধু রে’!
গাছ কি ছায়া হারিয়ে আবারো ছায়া জন্ম দেয়!
মানুষের জীবনে ঢুকে পড়ে শীত, সনেট আর
…………………………………আহত বাঘের ডাক
গুগল মিট
ভাঙা হাট থেকে কুড়িয়ে নাও মিথ।
হাটপাঁচালি থেকে নিঃসাড়ে উড়ে যায়
…………………………………প্যাঁচা
গঞ্জ গ্রামে এখন নাগরিক হাওয়া!
যে মেয়েটি উঠোনে মাদুর বিছিয়ে দেয়
যে মেয়েটি খোঁপা বাঁধবার গান গায়
লোকদেবতার থানে ধূপকাঠি পুড়ে গেলে
গুগল মিটে গান গাইতে শুরু করেন আফ্রিকান
………………………………………কবি
বিবাহদৃশ্য
বারমাসিয়া গান শুনি, দেখি ফণাতোলা সাপ
কুয়াশায় দাঁড়িয়ে থাকা মানুষকে কেমন অদ্ভুত
…………………………………মনে হয়!
অনন্ত ম্যাজিক নিয়েই তো বেঁচে থাকতে হয়
হাতকুঠারের পাশে চিরুনি।
মাঠে মাঠে জেগে উঠতে থাকে নাচ।
দেখি কাঠি ঢোল, মাছ ধরার জাল।
আংটিতে বিবাহ লিখলে কেমন বিবাহদৃশ্য জেগে
…………………………………ওঠে
সুবীর সরকার বাংলা কবিতার গুরুত্বপূর্ণ নাম। জন্ম ১৯৭০ সালের ৩ জানুয়ারি। নয়ের দশকে লিখতে আসা এ কবি উত্তরের লোকজীবনের সাথে জড়িয়ে আছেন তীব্র ভাবে। ত্রিশ বছরের বেশি সময় ধরে কবিতা গদ্য সহ বিভিন্ন ধারায় অনায়াস যাতায়াত করেছেন। ভাষার প্রায় সব কাগজে নিয়মিত লেখালিখি করছেন। ১৯৯৬ সালে তাঁর প্রথম কবিতাবই প্রকাশিত হয় কবিতা পাক্ষিক থেকে। গুরুত্বপূর্ণ কবিতা ও গদ্যের বইগুলো- ধানবাড়ি গানবাড়ি, মাহুত বন্ধু রে, নির্বাচিত কবিতা, বিবাহ বাজনা, নাচঘর, উত্তরজনপদবৃত্তান্ত, মাতব্বর বৃত্তান্ত, ভাঙা সেতুর গান। পেশায় শিক্ষক এ কবি ভালোবাসেন রবিশস্যের খামার বাড়ি, সাদা ঘোড়া আর যৌথ যাপনে চাঁদের আলোয় কবিতা আড্ডা, লোকগানের আমেজ।
কবিতা পাক্ষিক সম্মান ইতিকথা সাহিত্য পুরস্কার শিতলগড় সাহিত্য সম্মান কবিতা করিডোর সম্মাননা তোর্ষা বিশেষ সাহিত্য সম্মাননা বিবৃতি সাহিত্য পুরস্কার সমিধ কবিতা সম্মাননা আলপনা স্মৃতি সম্মাননা সাহিত্যিক অমিয়ভূষণ স্মৃতি পুরস্কার।