Modern Listing Example
মাসুদ খান-এর কবিতাভাবনা : এক রহস্যমেদুর রেইন ফরেস্ট
কবিতা-অরণ্য হলো সেই রহস্যমেদুর রেইন ফরেস্ট, যেখান থেকে অক্সিজেন নেয় বহু-বহু বিষণ্ন ফুসফুস আর ত্যাগ করে খেদ ও নির্বেদ, গ্লানি ও কার্বন ডাই-অক্সাইড, এমনকি কখনো-কখনো মনোক্সাইডও। আর সেই বৃষ্টিবন ওইসব বিষ ও বিষাদকে ফের রূপান্তরিত করে ফেলে দ্রুত অম্লজানে। কবিতার রয়েছে সেই অভিনব সালোক-সংশ্লেষণী ক্ষমতা।
মুজিব ইরম-এর পাঁচটি কবিতা
রথের দিনে শিমের বিচি গাঁথিয়া দিও সাঁঝে, সেই বিচিতে উঠবে গাছ আমার মনের মাঝে। শিমের গাছে ভরে উঠবে তোমার নয়া ভিটা, সকাল বিকাল মায়ার হাতে দিবা জলের ছিটা। আমি না হয় দূরে বসে দেখবো তোমার কাজ, তোমার হাতে আমিই না হয় ধরবো সবুজ সাজ। কতো কতো ফুল ফুটিবে তোমার আদর পেয়ে, কতো কতো আসবে ভ্রমর ফুলের খবর পেয়ে। ফুলগুলো তো সকাল বিকাল তোমার দয়ায় ফোটে, তুমিও যেনো ফুইটা থাকো মিথ্যে তো নয় মোটে। আমি না হয় শিমের ছায়ায় খুব নিরলে বসে, দেখবো শুধু কেমন করে পাঁপড়িগুলো খসে। সেই না ফলন তুলিয়া নিও তোমার আঁচল ভরে, দেখবো আমি দূরের মানুষ সারা মৌসুম ধরে। সেই শিম রান্ধিবা তুমি দাওয়াত পাইবার আশে, মেকুর হইয়া বইস্যা থাকমু তোমার ঘরের পাশে।
রিমঝিম আহমেদের কবিতা
উনুনের রক্তরঙে লাল হয়ে ঘেমে ওঠে মুখ
চিড়-ধরা দেওয়ালে সঞ্চিত থাকে হিমঘ্ন অতীত
নিদ্রিত শিশুর মতো আধোলীন স্নেহের দাপটও
ক্ষয়ে যায়, জন্ম তার ছেঁড়ে— থাকে দাগ, চিদাকাশে
প্রাণের সমস্ত কড়া নেড়ে নেড়ে খসে পড়ে যায়
কে রয়েছে? আছে কেউ, পথ রুখে দাঁড়ায় সম্মুখে?
হয়তো দাঁড়ায় কেউ, ধুলোপাশে ছেঁড়া ছাতা ধরে
সহজ জলের ঢঙে অভ্যাসে গড়ায় অবনত
গোপাল কবিরাজ
প্রায়ই মনে হয় আচমকা এসে কেউ পেটের ডান পাশে একটা চাকু ঢুকিয়ে দেবে।প্রায় আট-দশ বছর…
সামুদ্রিক
‘সমুদ্রের কাছে যেতে সমর্পণ চাই হে ছোকরা, বিশ্বাস চাই। একটু একটু করে গোড়ালি ডুববে, হাঁটু…
বাবা
মায়ের ছটফটানিটা টের পাচ্ছে তরী। ছোটবেলায় বাবা ফিরতে দেরি করলে এমন অকূল দুশ্চিন্তা তারও হত।…
শীলা বিশ্বাস-এর পাঁচটি কবিতা
ভেবে নাও তুমিই জোনাকিরাত
লিখছ নৌকা অভিযান
হাতে সময়ের দাঁড়
আলো চুরি করা রাজহাঁস
সুত্র ভাঙা উপপাদ্যে
জুড়ছে মেঘের সঙ্কেত