বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১

খান আলাউদ্দিনের কবিতা : ৫২ হার্জ

0

ঢেউয়ের পরে ঢেউ


প্রতিদিন মৃত্যুমিছিলে কত যে কার্বনপ্রাণ-বায়ু বের হয়ে যায় ভাইরাস ও পরজীবী সংক্রমণে, তারা কেউ খাঁ খাঁ গোর, মরচুয়ারির ফ্রিজে এতটুকু স্থান পায় না। ব্যুরোর লোকেরা এসে তাদের লাশবাহী ট্রাকে উঠিয়ে নিয়ে কোন দূর ইলেকট্রিক চেম্বারে পুঁড়িয়ে ফেলে জীবাণুমুক্ত করার অভিপ্রায়ে, মানুষ পোড়ানো ছাইয়ে ঢেকে থাকে মরুভূমীবর্তী আকাশও।

গরমে কাঁঠাল পাকা গ্রীষ্মে নিজেরই কবর আমি খুঁড়ে চলেছি হলুদ সোনালু ফুল গাছের নিচে, নদী তীরবর্তী শহরে ঢু মেরে বায়ো যৌগ, ওষুধের অন্বেষণে এক হাফ হিউম্যান হাফ রোবটের গুলি খেয়ে আমার মরণ, শরীর বাঁচেনি বেঁচে আছে মন, শরীর সাইবারনেটিক।

আমাকে কেবল নাইট ভিশন, স্ক্যানার চোখে হিউম্যানোয়েড যে নারী দূর নিয়ন্ত্রণ, হ্যাক করে ফেলে মনে হয় তাকে কোনোদিন এমন গোপন কথা,সংখ্যা,বর্ণ বলেছিলাম যা কোড ভাঙতে সহায়ক ।

পোস্টবায়োলজিক্যাল, পোস্ট এন্টিবায়োটিক পৃথিবীতে বাগভাইরাস দূর হয়ে গেলে আমরা আবার একই নেটওয়ার্কে যুক্ত হবো রাধা!


রকেটডুবি


দেবী হেরার দুধভেজা পথে পাল তোলা বায়ু-নাও দেখে মনে পড়ে একদিন চিত্রায়, মাতামুহুরীতে রঙিন পালের নাও ছুটে যেত শন শন বায়ু বহা বিষম জলের বুকে। সেইসব নাইয়র আনা ভেন্না কাষ্ঠের নাওয়ের ছবি উৎকীর্ণ আছে ডাইভ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত এই নাক্ষত্রিক বায়ুযানে,মাঝি বাইয়া যাওরে মাইলা-তৈরি পালে বেতার ও আলো তরঙ্গের ধাক্কায় অদৃশ্যমান এলিয়েন মহাবিশ্বে। নদীতে তাকিয়ে থাকা নতুন বউয়ের মতো কেউ ঠিকই তোমাদের লক্ষ্য করছে টেলি-নিরীক্ষণ স্ক্রিণে।

হাইড্রোজেন সমুদ্রে পাড়ি জমানো পালতোলা ফিউশন ইঞ্জিন চালিত তরী দেখে ভাবি, সব তরী ডুবি ঘটে না জলের নিচ থেকে উঠে আসা পাহাড়ের চূড়ো, আইসবার্গের সাথে সংঘর্ষে। কিছু ঘটে উল্কাপাতে, সৌরঝড়ে।

কিছু মাঝিমাল্লাদের ঘটে কৃষ্ণগহ্বর সমাধি, কিছু মাল্লাদের সলিল সমাধি!


সময় পরিভ্রমণ জিন


ভবিষ্যৎ থেকে একদিন খবর আসে ইন্টেলিজেন্ট রোবট আক্রমণে তথ্য কেন্দ্র লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ার। তো অন্যদিন খবর আসে রক্ষিত ল্যাবরেটরি থেকে কারা যেন চুরি করে নিয়ে গেছে স্পেস থেকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে আসা মিউটেটেড জীবাণু, ডাইনোসরদের ডিএনএ স্টোরেজ। বরং অতীতে বার্তা পাঠালে কিছুটা সুখবর আসে টাইম লুপ দিয়ে।

কিছুদিন কাটিয়ে আসা যাক এইসব পারমাণবিক যুদ্ধ, রোবট শাসন,সাইবার হামলা, জৈব অস্ত্র আর তেজস্ক্রিয়তায় পুঁড়ে যাওয়া অর্ধ গলিত,দগ্ধ পৃথিবী থেকে বহু দূরে, ঘুঘু-ডাকা দুপুরে বকুল গাছের তলায় ঝিরঝিরে হাওয়ায় বসে বসে, বায়ু পরিশোধনমাস্ক খুলে ব্যাটারিচালিত ফুসফুসে অক্সিজেন টেনে নিয়ে, রেডিয়েশন জোন থেকে ফিরে গিয়ে গুন টানা নৌকোচলা নদীতে গোছল করে, সারাদিন বনে জঙ্গলে ঘুরে ঘুরে খাদ্য আহরণ শেষে আগুনের পাশে গোল হয়ে বসে, আগুনের পাশে গোল হয়ে বসে, নদী অববাহিকায় ভেজা নরম মাটিতে ফসলের বীজ পুঁতে। কিছুদিন কাটিয়ে আসা যাক ওজোন স্তর ধ্বংস, নষ্ট পরিবেশে বেঁচে থাকার জন্য নিজেকে হাফ রোবটে রুপান্তরিত না করে অনেক দূর অতীত সময়ে বিচরণ করে।

সেইসব সময় যদি ফিরে পাওয়া যেত ভেবে ভেবে যারা হতাশায় ডুবে গেছো তারা ফিরে যেতে পারো ডিএনএর মধ্যে জেনেটিক স্মৃতি হয়ে থাকা গতকালে। ওই তো স্পেসটাইম, পর্দায় ধীরে ধীরে প্রচুর শক্তির আয়োজনে জন্ম নিচ্ছে দুয়ারখোলা।


দীর্ঘজীবী রক্তের রহস্য


লেজারমেশিনচোখে আকাশে উজ্জ্বল খুদেবার্তা, টিভি অনুষ্ঠানের তরঙ্গগুলো অবলোকন করতে করতে ভাবি, মিনি স্যাটেলাইটের দিকে উড়ন্ত শব্দহীন শব্দাবলীর আখেরি গন্তব্য কি নেটওয়ার্ক টাওয়ার, ভাঁজ করা মুঠোফোন? সারাদিন ধরে নিউরোচিপে সংগ্রহ করেছি পৃথিবীতে আমার প্রতিটি পদক্ষেপ থেকে শুরু করে, সামরিক বাহিনীর গোপন সংকেত, দূর গ্যালাক্সিতে উৎপন্ন রেডিও ধ্বনি যেন ভাড়াটে গোয়েন্দারূপে নিজের পেছনে লেগে আছি, সেল্ফমনিটরিং থেকে বাদ যায়নি অনেক সময় নিয়ে চুলে সিঁথি কাটা, বায়োনিক পায়ের উপর থ্রিডি প্রিন্ট ত্বক কোথাও ছড়ে গেছে কি না তাও। নিজের প্রতি হঠাৎ এতোটা খেয়ালী হয়ে ওঠার একটাই অর্থ করা যাচ্ছে যে বুকের মধ্যে রচিত কৃত্রিম পেসমেকারে রিং বাজতে শোনা গেছে। প্রতিটি রিংয়ের শব্দেই শরীরে রং চেঞ্জ হচ্ছে বলে আমাকে দেখাচ্ছে একটা বর্ণ পরিবর্তনশীল গিরগিটি। কোষের নিউক্লিয়াসে ক্রোমোজোম কিছু যুক্ত করার পর থেকেই আমরা রং পরিবর্তন করি ইচ্ছেমতো । দীর্ঘক্ষণ ডুবে থাকি জলে।

নতুন নতুন ক্রোমোজোম সংযুক্ত করার পর কারো রক্ত আর আঠারো মাসের আগে মরছে না । প্রেমে পরার পরও একই ব্যাপার ঘটছে।


কালো, তবুও সুন্দর


নীলকন্ঠ ডাকনামে ডাকিনি কখনও তবু যতদূর মনে পড়ে তুমি ছিলে প্রজাপতিনীল, প্রকৃতিতে প্রাপ্ত রংগুলোর মধ্যে নীলই সবচেয়ে দুর্লভ বলে তোমার এ ক্যাটাগরি পিতামাতা চেয়েছিল তাদের সন্তান যেন নীল রং তৈরি করতে পারা মেলানিন নিয়ে জন্ম নেয়। তাই জেনেটিক ডিজাইন করার সময় তোমার গায়ের রং নীল করে দেওয়া হয়। মানব শিকারী মিউটেটেড বাজ শুধু বুঝেছিল তোমার শরীরে বিষ আছে। শুধু বাজ নয় তেজস্ক্রিয় পৃথিবীর বৃহদাকার দাঁতাল ইঁদুর, টাইটানাবোয়াদের হাত থেকে বাঁচতে নীল হওয়া ছিল মানুষের জন্য সময়ের প্রয়োজন।

এই পৃথিবীতে আজো ‘কালো, তবুও সুন্দর’ বলে কৃষ্ণকায়াদের উপহাস করা হয়। তাও তুমি হঠাৎ নিজেকে কালো করে তুললে কেন? যেন তুমি বিবর্তিত হয়েছ গভীর সমুদ্রে। গভীর সমুদ্রের মাছ। অন্ধকারে অনিরিক্ষ্য। দূর নক্ষত্রের সাথে যে এক্সোপ্ল্যানেট সর্বদা টাইডাল লক হয়ে থাকে সেই গ্রহের আঁধার অংশে তোমাকে প্রেরণ করা হবে বসবাস করতে। হিংস্র এলিয়েন-চোখে মানুষদের অদৃশ্য রাখার জন্য তাদের এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে যাতে তারা সব ধরনের আলো শুষে নিতে পারে । আলো শুঁষে নেওয়া মানে অন্ধকারে নিজেকে অদৃশ্য করে নেওয়া। দেখতে না পেলেও শরীরের সাথে যুক্ত রাডারে চারপাশে বস্তুর উপস্থিতি শনাক্ত করতে পারবে, চোখে ইনফ্রারেড লেন্স পড়ে নিলে দেখতে পারবে শ্বাপদের চোখে। আলো শুঁষে নিলে শরীরে সঞ্চিত থাকে যেমন খাদ্যের সাথে গ্রহণ করা সোডিয়াম আমৃত্যু শরীরে রয়ে যায়। শরীরে চিপ বিস্ফোরণের সাথে সেই সব আলো একদিন অবমুক্ত হয়ে পড়বে। তোমাকে দেখেই বুঝেছি তোমার মধ্যে শক্তিশালী আলো শরণ নিয়েছে কালী।


ড্রামাটিক আয়রনি


অবস্থা এমন যে, স্বপ্নেও খুনি রোবটেরা তাড়া করে গুলি করতে করতে। গাছের আড়ালে, ছাদে আকাশ পর্যবেক্ষক ড্রোন দেখতে পেয়ে যায়। ঘুমিয়ে রয়েছি, এ সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠার পরেও জেগে উঠতে পারছি না। কেননা এ ব্যাটেলগ্রাউন্ড কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ডিজাইন করা। ইচ্ছে হয়, স্যাটেলাইট ধ্বংস করে তাদের আন্তঃযোগাযোগ নষ্ট করে দিই কিন্তু নিজেদের রি-প্রোগ্রাম করতে সক্ষম রোবটের সাথে পেরে ওঠা সম্ভব নয়। ঘুম ভেঙে হয়তো দেখব হাসপাতালের ধবধবে সাদা বেডে আমি লাইফ সাপোর্টে মর-মর আর সুন্দরী রোবটই আমার তত্ত্বাবধান করছে।


মানুষ হলেও রক্ত মাছের


এই দাবদাহচৈত্রে পুকুর শুকিয়ে প্রাকৃতিক ক্রায়োজেনিক সাসপেনশন স্টেশন,শক্ত কাদার তলায় কত মাতৃমাছ শারীরিক ক্রিয়া বন্ধ করে ঘুমিয়ে রয়েছে বোবাধরা ঘুমে।তেলাপিয়া মাছের নিষিক্তডিম স্লিপ প্যারালাইসিস থেকে জেগে উঠতে পারেনি বলে ফোটেনি। একদম শুকিয়ে কাঠ পুকুরে বৃষ্টির জল জমলেই যেসব মাছ, কাঁকড়া ও ঝিনুক ঘাই দিতে থাকে জলে, কাদার ভেতর থেকে বের হওয়া প্রাকৃতিক গ্যাসের মতো ভুরভুরি ছাড়ে, তারা কাদা জমাটবাঁধা থেকে নিজেদের রক্ষা করতে জানে। প্রথম বৃষ্টিতে ব্লাডসেল অ্যাক্টিভ, দ্বিতীয় বৃষ্টিতে হার্ট পুনরায় চালু, তৃতীয় বৃষ্টিতে ডেমেজ স্টেমসেল পুনঃউৎপাদন হয়ে চেয়ে থাকা মাছের জীবন ফিরে আসে।

ঢোলকলমি গাছের নিচে ডাহুক, জলপিপি ও গাংচিল পাখিদের মৌন ভিড় সাসপেন্ডেড হিমনিদ্রা থেকে জেগে উঠা অভুক্ত, দুর্বল মাছ সব আজ জলচর পাখিদের ভোজে পরিণত হবে। পাখিরাও জানে বছরের কোন নির্দিষ্ট সময়ে মৃত মাছ পুনর্জন্ম লাভ করে।

আমি যে এই অপ্রেম খান্ডবদাহে বেঁচে আছি তা কেবল বহুদিন ঘুমাতে সক্ষম মাছের প্রোটিন ও রক্ত শরীরে রয়েছে বলে।


পেছনে ফেরা গেলে


অতীতে ফেরেনা কিছু— মিথেন জলের নদী, অ্যামোনিয়া মেঘ, বৃন্তখসা ফুল। ফেরার কামনা নিয়ে অপরাহ, কুঁজো হয়ে পড়া সন্ধ্যা চেয়ে থাকে তার তাগড়া দুপুর বেলার দিকে। মরণশীল দিনের শরীর থেকে এক এক করে খসে পড়ে রোদ্দুরের তেজ। একই সময়ে উৎপন্ন দুটি তারা ব্রহ্মান্ডের এদিক ওদিক থেকে এসে আর কখনওই মুখোমুখি হয়না। সবুজ চোখের ফটোরিসেপ্টরে ন্যানোপার্টিক্যাল মেশানো মেয়ের বিয়ে হয়ে গেলে যদি চাও তার সাথে বিয়ের আগের রাতে কোথাও লুকিয়ে দেখা করবে, হাত ধরাধরি করে চলে যাবে যেদিকে দু’চোখ যায়। জেনো, কোনো জাদুবলে আর অবিরাম ছুটতে থাকা সময় পিছনে ফিরবে না।

সময় পেছনে ফেরানো অ্যালগরিদম আবিষ্কার হলে তোমারে কি পাবো আমি ভালোবেসে?


শব্দাস্ত্র


শব্দাস্ত্রে আক্রান্ত হয়ে প্রথমেই মরে যেতে শুরু করেছিল রাশি রাশি মথ, তাদের নিষ্প্রাণ দেহের উপর জমছিল স্টারডাস্ট। দ্বিতীয়ত, অন্ধ বাদুড়েরা যারা শব্দোত্তর শব্দতরঙ্গ কাজে লাগিয়ে অন্ধকারে পথ চলে। বাদুড়ের বিলুপ্তির সাথে সাথে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ হয়ে গিয়েছিল বহু প্যাথোজেন। তারপর একদিন ইউনিভার্সাল রক্তের অধিকারী মানুষের পালা এলো, শব্দ আক্রমণ শুরু করেছিল তাদের। অগত্যা মানুষেরা সিসা গলিয়ে তাদের কান ঢেকে ফেলে কিন্তু শব্দেতর শব্দে স্নায়ুবিক রোগ থেকে রক্ষা পায়নি। রিমঝিম বৃষ্টির শব্দ শুনতে আর কোনো নারী জানালার পাশে বসে থাকতো না। মশার গুন-গুন শব্দে কেউ বিরক্ত হতোনা। মোবাইল ফোন ছিল ভাইব্রেশান মুডে। মানুষেরা ভুলে গিয়েছিল পরচর্চা, পরনিন্দা। সকলেই সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করতো। কেননা্ সবাই তাদের শ্রবণেন্দ্রিয় ঢেকে রাখতো কানপট্টিতে। বধির মানুষ ছাড়া। ভুল করে যদি কেউ তাদের কানের পর থেকে পট্টি খুলে ফেলতো তারা শুনতে পেতো কোনো মহাজাগতিক হাম, সম্মোহনী কোনো সুর, যা তাদের স্নায়ু দুর্বল করে মৃত্যুর দিকে ক্রমশ এগিয়ে নিয়ে যেতো। এভাবেই মানুষ এগিয়ে গিয়েছিল রক্ত-হিম-করা অন্তহীন নৈশব্দ্যের দিকে। পৃথিবীতে নেমে এসেছিল বাতাসহীন চাঁদ আর বাদ্যযন্ত্রের উপর জমছিল স্টারডাস্ট। এই প্রথম, এই প্রথম চুপে চুপে না কেঁদে বাড়ির পিছে, পুকুরে থালাবাসন ধুতে গিয়ে আকন্দ বাড়ির বউ কেঁদেছিল হাউ মাউ করে।


ফেরা যাত্রাস্থান-কালে


গ্রামের মেয়ের মতো কুকশিমা, দাঁতরাঙা ফুলগাছ ছাওয়া পথে সে ফিরবে না। তার পদচিহ্ন খুঁজি স্পেসটাইম কন্টিনিয়ামে। চুপে চুপে অতীতে গিয়েছে সে অথবা ভবিষ্যতে। অনুমতি নেয়নি কারো, কর্তৃপক্ষ কাল ভ্রমণের পর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বলে। বিকেলবেলা কড়ইয়ের ফুল নেতিয়ে পড়ার মতো তার প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা ক্রমে কমে আসছে। মাঝে মাঝে ভাবি, সে গিয়েছে স্পেসট্যুরে, আলোর চে দ্রুত ক্ষ্যাপা যানে ফিরে আসলেও আমার জীবনকালে আর্দ্রাঞ্চল থেকে সে ফিরে আসতে পারবে না কখনও। দূরত্বের ফলে আমাদের মধ্যে রেডিও যোগাযোগও ছিন্ন হয়ে গেছে। মাইক্রোফেব্রিকেশনে উৎপন্ন তার এক টুকরো শ্যামলবরণ ত্বক, আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মিতে পুঁড়ে যাওয়া কেশ থেকে তার আগমন ঘটবে।
বা সে হোক চলে গিয়ে বার বার ফিরে আসা টাইম ট্রাভেলার।

শেয়ার করুন

লেখক পরিচিতি

জন্ম ৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৭। পড়াশোনা: বিজ্ঞান, মানবিক , ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য। প্রকাশিত কবিতার বই : ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ডিসঅর্ডার  [চৈতন্য , বইমেলা ২০২১]।

error: আপনার আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় ।