গল্পের শেষটুকু নিয়ে তিনি চিন্তিত। তিন পেয়ালা কফি, আড়াইটা বেনসন শেষ হয়েছে দেড় ঘন্টায়। কিন্তু তিনি সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি। উপসংহার নিয়ে যতটা না চিন্তিত তার চেয়ে চিন্তিত হঠাৎ এই ধরণের অনিশ্চয়তা তাকে এলোমেলো করে দিয়েছে বলে। ‘এলোমেলো’ শব্দটা মাথায় এলো বলেও তিনি একটু বিব্রত হলেন। এলোমেলো নয়, বলা যায় দ্বিধাগ্রস্ত। তাই দেড় ঘন্টায় সামান্য কয়েকটা লাইনে এসে তিনি থেমে গেছেন। তার আগে একটানে প্রায় দু হাজার শব্দ শেষ হয়েছে।
এই ধরনের গল্প এক সকালে বসে নামিয়ে দেওয়া তার মতো লেখকের কাছে খুব আহামরি কিছু নয়। কাহিনির মূল চরিত্র একটা মেয়ে। বছর সাতাশের তরুণী। এক সন্তানের মা। স্বামী ব্যাংকে চাকরি করে। মধ্যবিত্ত আটপৌড়ে জীবন। সহজ, স্বাভাবিক জীবন।
এই ধরনের গল্প এক সকালে বসে নামিয়ে দেওয়া তার মতো লেখকের কাছে খুব আহামরি কিছু নয়। কাহিনির মূল চরিত্র একটা মেয়ে। বছর সাতাশের তরুণী। এক সন্তানের মা। স্বামী ব্যাংকে চাকরি করে। মধ্যবিত্ত আটপৌড়ে জীবন। সহজ, স্বাভাবিক জীবন। অন্তত আপাতদৃষ্টে তাই মনে হয়। সব ভালোই চলছিল। বলার মতো তেমন কোনো সমস্যা ছিল না। সমস্যাটা হয় যখন মেয়েটা একটা প্রেমে পড়ে। নিস্তরঙ্গ সংসার জীবনে একটা ঢেউ ওঠে। তার শান্ত, ধীর-স্থির ব্যাংকের চাকুরে স্বামী মুরাদ বিস্মিত হয়ে বলে, ‘তোমার কী হইছে?’ কারণ সে দেখে, তার স্ত্রীর কোথাও মন নাই। তাদের সাড়ে তিন বছরের ছেলে আফনানের গোসল, খাওয়া কিছুই ঠিকমতো হচ্ছে না। ভাত খেতে বসে দেখে নাজিরশাইলের চাল ঠিকমতো না ফুটে শক্ত হয়ে আছে, লালশাকে হলুদের বিকট গন্ধ। তার চেয়ে বড়ো কথা, তার স্ত্রী শায়লা অদ্ভুত আচরণ করছে। ‘তোমার কী হইছে?’ প্রশ্নের জবাবে সে মুখস্ত জবাব দেয়, ‘কই, কিছু না তো!’ কিন্তু কথাটা শেষ হওয়ার এক সেকেন্ড পরে তার ঠোঁটে এক চিলতে হাসি ফুটে ওঠে। সে হাসি মুরাদের চোখ এড়ায় না। সে হাসির উৎস যে অন্তত ওই ঘরের মধ্যে উপস্থিত কিছু না, শায়লার অন্যমনস্ক চোখ দেখে তা বুঝতে তার দেরিও হয় না।
দাঁত দিয়ে নিচের ঠোঁট কামড়ে তিনি একটু চিন্তা করলেন। এ পর্যন্ত মুরাদ চরিত্রটাকে কি যথেষ্ট বিশ্বসযোগ্য করে তোলা গেছে? যাতে মনে হয় সে স্ত্রীকে খোলা বইয়ের মতো পড়ে ফেলতে পারে?
দাঁত দিয়ে নিচের ঠোঁট কামড়ে তিনি একটু চিন্তা করলেন। এ পর্যন্ত মুরাদ চরিত্রটাকে কি যথেষ্ট বিশ্বসযোগ্য করে তোলা গেছে? যাতে মনে হয় সে স্ত্রীকে খোলা বইয়ের মতো পড়ে ফেলতে পারে? নাহ্, এই দু হাজার শব্দে মুরাদের জন্য জায়গা খুব কম ছিল। তবে তার চোখ দিয়েই সব ঘটনা পাঠকের সামনে আসবে। তাই সে মূলত শায়লার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। লেখক মুরাদকে স্পষ্ট দেখতে পান। লম্বা, শ্যামলা একহারা গড়নের, রুক্ষ কোকড়া চুলের এক তরুণ। মৃদুভাষী। নিজেকে প্রকাশ করতে পারে না। ভ্রুগুলো ঘন ঝোপের মতো চোখের ওপর নেমেছে। সেই ভ্রূ চেহারায় একটা একরোখা ভাব এনে দিয়েছে। তবে আসলে সে কোমল হৃদয়ের এক মানুষ। তার পৃথিবী খুব ছোটো। স্ত্রী, সন্তান আর তার অফিস।
গল্পের শুরুতে ফিরে গিয়ে তিনি শায়লাকে দেখেন। বিয়ের পর মুরাদের ঘরের মধ্যে সে এলোচুলে পায়চারি করছে। সকালে গোসলের পর তার হাতে একটা চায়ের মগ। গায়ে কালচে সবুজ শাড়ি। এতই জীবন্ত যে হাত ধরে ফেলা যায়, ঠোঁট ছুঁয়ে ফেলা যায়। দুষ্টুমি করে শাড়ির আঁচল ধরে টান মেরে নিজের কোলের মধ্যে এনে ফেলা যায়। শায়লা কৃত্রিম রাগে মুরাদের গালে, বুকে কিল দিতে থাকে। তার দুহাত জাপটে ধরে মুরাদ বেপরোয়া ঠোঁট নামিয়ে দেয় শায়লার বুকে। যখন শায়লার শরীরের আনাচে-কানাচে মুরাদ ডুবে যাচ্ছে তখন তিনি কম্পিউটার থেকে মুখ তুলে বাইরে তাকান। এই শায়লা চরিত্রটি অনেকটা তার স্ত্রী কাবেরীর মতো। আর মুরাদের বৈশিষ্ট্য তিনি রফিকের থেকে নিয়েছেন। রফিক তার সবচেয়ে কাছের বন্ধু ছিল। সেও দেখতে খুব একরোখা হলেও ভেতরে ভেতরে খুব কোমল ছিল। একবার রাস্তায় একটা পা ভাঙা কুকুরকে পেয়েছিল সে। যত্ন করে ওষুধ দিয়ে তার পা ব্যান্ডেজ করে, নিয়ম করে খাবার দিয়ে সুস্থ করে তুলেছিল। তিন পা উঁচিয়ে দৌড়তে দৌড়তে কুকুরটা রফিকের পায়ে পায়ে ঘুরত। কারও দুঃখ-কষ্ট রফিককে খুব পোড়াত। মাঝে মাঝেই ভাত খেতে পারত না সে। তিনি বলতেন, ‘রফিক, তোর এসব দেখলে রাগ লাগে।’ রফিক কিছু বলত না।
রফিক থেকে ফিরে তিনি গল্পের সপ্তম অনুচ্ছেদে যান। সেখানে মুরাদ ফিসফিস করে বলে, ‘শায়লা, শায়লা।’ শায়লা ফিরে তাকায় না। সে গভীর মনোযোগে বইয়ের পাতা উল্টাচ্ছে। শৌখিন মুরাদের বুকশেলফ থেকে সে নামিয়েছে ‘নৌকাডুবি’। রমেশ, কমলা, নলিনাক্ষ আর হেমনলিনীর জীবনের জটিল কাহিনি গভীর মনোযোগে পড়ছে। জানালা দিয়ে আলো এসে পড়েছে তার মনোযোগী মুখে। এই জানালাতেই দেখা দেবে সেই তৃতীয় মানুষটির মুখ। যার জন্য শায়লার ঘুম হারাম হয়ে যাবে। তার খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে, হঠাৎ হঠাৎ অদ্ভুত আচরণ করবে সে। একটা আশঙ্কা মুরাদকে ঘিরে ধরবে।
কিন্তু এখন এক দিন, দু দিন, তিন দিন তেমন কিছুই ঘটে না। আর চতুর্থ দিন তো শায়লা বলেই বসে, ‘ছেড়ে দাও। ব্যথা পাচ্ছি।’ ‘ব্যথা?’ মুরাদ হঠাৎ ফ্যাকাশে হয়ে যায়।
এগারোতম অনুচ্ছেদ পর্যন্ত শায়লার নিভে যাওয়ার ডিটেইলিং। শায়লার চোখ দেখে মুরাদ বোঝে, কিছু একটা সেখান থেকে হারিয়ে গেছে। সেই চোখে এখন অদ্ভুত একটা আলো। ক্লান্ত মুরাদ হাল ছেড়ে দেয়। শায়লার শরীরকেও জাগাতে পারে না সে। আগে তার বুকে মুখ বসালে কেঁপে কেঁপে উঠে শায়লা নিজেই মুরাদকে স্পর্শে স্পর্শে ভাসিয়ে দিত। কিন্তু এখন এক দিন, দু দিন, তিন দিন তেমন কিছুই ঘটে না। আর চতুর্থ দিন তো শায়লা বলেই বসে, ‘ছেড়ে দাও। ব্যথা পাচ্ছি।’ ‘ব্যথা?’ মুরাদ হঠাৎ ফ্যাকাশে হয়ে যায়। অন্ধকারে তার মুখ কেউ দেখতে পায় না, তবে ভেতরে প্রচণ্ড শব্দে কী যেন ভেঙে পড়ে। পরদিন সকালে খাওয়ার টেবিলে আফনানের গলায় খাবার ঠেকে যায়। মুরাদ তড়িঘড়ি করে পানি এগিয়ে দেয়। আফনান কাশতে থাকে। শায়লা খুব মন দিয়ে একটা বাটিতে কিছু একটা মাখাচ্ছিল। সেও এগিয়ে আসে। কিন্তু তখনও সে অন্যমনস্ক। মুরাদ তাকে বলে, ‘শায়লা, আফনানকে শুকনা রুটি দিছ ক্যান? ডিম কই?’ শায়লা মাখন এগিয়ে দেয়।
স্ক্রল করে লেখক পড়ে যেতে থাকেন। এ পর্যায়ে শায়লার ধীরে ধীরে অনুপস্থিত হয়ে যাওয়া মুরাদ বুঝতে পারে। কয়েক মাসের মধ্যে শায়লা আরেকটা মানুষ হয়ে গেছে। শরীর শুকিয়ে অর্ধেক আর খুব অন্যমনস্ক। একমাত্র উজ্জ্বল হয়ে ওঠে সে বৃহস্পতিবার বিকেলে। ঐদিন মুরাদের বন্ধু রঞ্জন নিয়ম করে তাদের বাড়িতে আসে। তিন বছর ধরে এটা একটা রুটিন। রঞ্জন শায়লার সঙ্গে খুব ঠাট্টা করে। মুরাদ মুখচোরা। সে এত জমাতে পারে না। প্রথম দিনই রঞ্জন শায়লাকে বলেছিল, ‘ভাবি-টাবি ডাকতে পারব না, বন্ধুর বউ মানে আমারও বউ। আমার বউকেও মুরাদ নাম ধরে ডাকবে। পারমিশন দিয়ে দিলাম।’ শায়লা একটু বিব্রত হলেও মুরাদ মুখ টিপে হেসেছিল। রঞ্জন মজা করতে খুব পছন্দ করে। স্বতঃস্ফূর্ত, সাবলীল সে। এসে বলবে ‘শায়লা, আমাদের জন্য একটু বাদামের ব্যবস্থা করা যায়? রাজপুত্র মুরাদ আর সামান্য রঞ্জনের জন্য।’ কিংবা, ‘শায়লা, তোমার মর্জি হলে আমাদের একটা গান শুনাইও।’ ঐসব সন্ধ্যা রফিকেরও ভালোই লাগত। কারণ শায়লা বেশ স্বতঃস্ফূর্ত থাকত এ সময়। রঞ্জনই রফিক এবং শায়লার জীবনে জানালায় দেখা দেওয়া তৃতীয় মুখ।
তিনি হঠাৎ ভাবতে থাকেন, তৃতীয় মুখটি কি স্বর্গোদ্যানে সাপের রূপ ধরে আসা স্যাটান? ইভের জীবন যে তোলপাড় করে দেবে? তার মনে হয়, তা কিছুতেই না। কারণ ওই তৃতীয় মুখ শায়লাকে জাগিয়ে দেবে। শায়লার মধ্যে ঘুমন্ত একটা মানুষকে সে জাগিয়ে দেবে। মুরাদ তা পারেনি। হয়তো রঞ্জন তা পেরেছিল। নিষিদ্ধ ফল না খেলে কী করে ইভ পৃথিবীতে আসত? নশ্বর জীবনের সুখ, দুঃখ, যৌনতা, মোহ, প্রেম, বিরহ, পাপ, বিস্ময় এইসব জানত কীভাবে সে? জানালায় ওই মুখ আসার আগে শায়লা কি নিজেকে জানত? নিজেকে জোর দিয়ে বলেন, ‘না, জানত না।’
সিদ্ধান্ত টেনে তিনি ফিরে যান মুরাদের ঘরের বারান্দায়। সেখানে রাত। অন্ধকারে বসে আছে শায়লা আর মুরাদ। ‘শায়লা, আমাদের ছেলের কথা ভাবো।’ কিন্তু মুরাদ জানে, ছেলের কথা ভেবে সংসার ধরে রাখা কথাটার মধ্যে একটা বিরাট ফাঁক আছে। কেন সে বলতে পারল না, ‘আমার কথাটা ভাবো, আমি তোমাকে ভালোবাসি। আমাকে ছেড়ে যেও না। আমি জানি, তুমিও আমাকে ভালোবাস। আমার চোখে তাকাও’! বরং সে কয়েক সেকেন্ড অপেক্ষা করে হঠাৎ বলে ফেলে, ‘আচ্ছা। ভাবার দরকার নাই। মা মরে গেলে বাচ্চা বাঁচে না?’ অন্ধকারে শায়লার চোখ দিয়ে জল পড়তে থাকে। সে ছেড়ে যেতে চায় না। না ছেড়ে যেয়ে থাকবার কথাও ভাবতে পারে না।
লেখকের আঙুল আবার কি-বোর্ডে ঝড় তোলে। এবার দেখিয়ে যান মুরাদ কীভাবে প্রস্তুত হতে থাকে সবচেয়ে খারাপ কিছুর জন্য। নিজেকে বোঝায়, আসলে এভাবে শায়লাকে ধরে রাখা ঠিক নয়। এই শায়লার সঙ্গে মুরাদ থাকতে পারবে না। এ অন্য কেউ। সুতরাং আরও কিছুদিন পর তৃতীয় লোকটির সঙ্গে শায়লার নতুন জীবন শুরু হয়। খুব নিঃশব্দে। চুপচাপ। যেন পৃথিবীতে কোথাও মুরাদ নামের কেউ ছিল না। যেন কোথাও ভেঙে যায়নি কিছুই। রঞ্জন আর নতুন সন্তান নিয়ে দারুণ উদ্যমে নতুন এক জীবন।
তিনি জানেন, শায়লা চরিত্রটি রঞ্জনের সঙ্গেও থাকবে না। কারণ, শায়লার মধ্যে কী একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছিল। জানালায় দেখা দেয়া তৃতীয় মুখটিকে নিজের মধ্যে টেনে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শায়লা আরও অনেক কিছুকে টেনে নিয়েছিল। সে কারণেই হয়তো তার জীবন থেকে কিছু জিনিস হারিয়ে যায়। সে আর গান গাইত না। সুখী হওয়ার সব ক্ষমতা সে হারিয়ে ফেলেছিল। তার ভেতর থেকে সেই শূন্যতা কেউ, কোনো কিছু পূরণ করতে পারেনি। সুতরাং রঞ্জনকে ফেলেও একদিন শায়লা চলে যাবে।
কিন্তু এই অংশটি তিনি কিছুতেই গুছিয়ে লিখে উঠতে পারেন না। এই সমস্যার সমাধানের জন্য কাবেরীকে দরকার ছিল। আগে হলে যতটুকু লেখা হয়েছে তিনি কাবেরীকে দেখাতেন। নজরুল গীতির একনিষ্ঠ শিল্পী কাবেরী পাঠক হিসেবেও খুব উঁচু মানের ছিল। তাঁর লেখার সূক্ষ্ম অনেক বিষয় ধরিয়ে দিত। কিন্তু কাবেরী নেই। এগারো বছর ধরে তার পাণ্ডুলিপির কোনোটাই তিনি কাবেরীকে দেখাতে পারেননি। কোথাও এভাবে আটকে গেলেই কাবেরীকে মনে পড়ে। এক শীতের রাতে একটা নোট রেখে কাবেরী চলে গিয়েছিল। সেখানে লেখা ছিল, ‘ভালো থেকো’। নোটটা আজও আছে। কাবেরীর হারমোনিয়াম, কালচে সবুজ একটা শাড়ি, অন্তর্বাস, স্যান্ডেল এগুলো আজও আছে। তিনি মাঝে মাঝে ভাবেন কাবেরী একদিন ফিরে আসবে। কোথায় আছে সে? প্রথম ঘর বেঁধেছিল যার সঙ্গে, সেই রফিকের কাছেও সে ফেরেনি তা তিনি জানেন।
এক শীতের রাতে একটা নোট রেখে কাবেরী চলে গিয়েছিল। সেখানে লেখা ছিল, ‘ভালো থেকো’। নোটটা আজও আছে।
এই গল্পটা তিনি শেষ করতে চান। তার ইচ্ছে হয় শায়লাকে তিনি মুরাদের কাছে ফেরত পাঠান। মার্চ মাসের চৌদ্দ তারিখে একদিন কলিংবেল বাজার পর কাঁঠালবাগানের দোতলার বাসার দরজা খুলে মুরাদ সহজ গলায় বলে, ‘এসো। হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে নাও। আলমারিতে তোমার জামা আছে। দিচ্ছি।’ আফনান বড়ো বড়ো চোখ করে তাকিয়ে থাকে। এটা খুব আরোপিত একটা উপসংহার। বাস্তবে এমন ঘটে না, তবু তার একটা আরোপিত গল্প লিখতে ইচ্ছে করে। আর এ জায়গাতেই এলোমেলো লাগে নিজেকে। এমন তিনি করেননি কখনো। তিনি তত বড়ো লেখক নন, আবার ততটা দুর্বলও নন। তবু মনে হয় কি-বোর্ডে সামান্য কয়েকটা বর্ণের হেরফেরে তিনি মুরাদ নামের মানুষটাকে সুখী করে তুলতে পারেন। শায়লার ভেতরের শূন্যতাকে বুজে দিতে পারেন। একবার নিজের গল্পে ঈশ্বর হতে ইচ্ছে করে। এই গল্পটা শিল্পমানের দিক থেকে হবে খুব নিচু দরের একটা গল্প। হোক।
বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় দৈনিক পত্রিকার ইংরেজি অনলাইনে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে ঢাকার আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজে ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন। প্রকাশিত অনূদিত গ্রন্থ: ‘লেটার টু এ চাইল্ড নেভার বর্ন’। এছাড়া গল্প, অনুবাদ ও অন্যান্য লেখা একাধিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে তিনি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর।