মগ্নচৈতন্যে আত্মলীন অনুভবের জাদুতে জীবনদর্শনে নাগরিক অন্ধকারের ভেতর চৌধুরী ফাহাদের কালিক ভাবনা সমকালের দহন থেকে কালান্তরেই খোঁজে মুক্তির স্বপ্ন। ‘ঘর সব পালিয়ে যাচ্ছে বাড়ির ঠিকানায়’ কাব্যের এমন অভিনব নাম ও গ্রন্থিত কবিতার মধ্যেই আমরা তার কবিস্বভাব ও কবিশক্তির পরিচয় পাই। নামকরণের চমৎকারিত্ব যেমন পাঠককে মুগ্ধ করে, আবার এর অন্তর্জালে লুকিয়ে আছে বহু ব্যঞ্জনার দূরাভাসও।
আশা-নৈরাশার দ্বন্দ্ব-সংঘাত, প্রেম, বিষণ্নতার ঘোর, জরাগ্রস্ত মানুষ, নাগরিক অমাবস্যা, অনিয়ন্ত্রিত কাল, সমাজ, ইতিহাস-ঐতিহ্য, নিষিদ্ধ সময়, সন্ধ্যার অন্ধকার ঘিরে নিরন্তর জেগে আছে ফাহাদের বোধিচিত্ত। ফাহাদের এই অন্ধকার বনলতা সেনের চুলের রোম্যান্টিক অন্ধকার নয়। এই অন্ধকার স্রেফ ব্যক্তিজীবনের, বিশেষ সময়-কালের, অপ্রাপ্তির, বিষ-বেদনার। কেননা সুনীলের বরুণার মতো সেও কথা রাখেনি। তবু ফাহাদ আশাবাদী। ভঙ্গুর হৃদয়ে গেয়ে ওঠেন নতুনের গান। ফাহাদ লেখেন—‘আঁধারের মিছিল ভাঙছে দেখে সবকটা সন্ধ্যা পশ্চিমমুখো জাহাজের নাবিক হয়ে/ উঠলে—/ শেষ সূর্যরশ্মির সাথে জলকেলিতে মাতবো বলে পৃথিবীর শেষ পথে,/ দাহকাল নিস্তারের পর আরক্ত বিকেলের ছায়ামুখে মিশিয়ে রাখি পানশালার রঙ’। (কালান্তর/পৃ: ৭)।
দুঃসময় কাটিয়ে একটা মুক্তির আকাঙ্ক্ষা জেগে থাকে পানশালার রঙে। কিন্তু সেই রংও ফাহাদকে বস্তুর বর্ণছটায় রাঙিয়ে দিতে পারে না। আবার অন্ধকার নিষিদ্ধ-সময় নৈরাশ্যে পুড়ে যায় তার বুক। তার আত্মোপলব্ধিতে উঠে আসে কঠোর কালিক বাস্তবতা। তিনি অনুভব করেন নিষেধের বেড়াজালে মুখ বুজে থাকা সমকালকে। এখানে কদর পায় না শুভবাদী গুণীরা। ক্ষয়িত সমাজ ছেড়ে তাদের কেউ কেউ পাড়ি দিচ্ছেন পাশ্চাত্যে। ফলত ধীরে ধীরে নিভে আসছে বাতিঘর। দিকহীন লক্ষ্যভ্রষ্ট বলেই পৃথিবীর অতলে নেমে আসে আরও অন্ধকার। অতল অন্ধকারের গভীরে বুকপোড়া বিষাদে জেগে আছেন এক উত্তরপুরুষ—তিনিই ফাহাদ। ক্ষয়িষ্ণু অন্ধকার মোড়ানো কালিকচেতনা ফাহাদের অনুভবে উঠে আসে অনিন্দ্য বয়ানে—‘ব্ল্যাকহোলের মতো ফুসফুসে বাধাপ্রাপ্ত হাওয়া/ হৃদচক্র না হবার বেদনা নিয়ে পুড়েছে বালিবুকে,/ শুনতে পাচ্ছ বিলাপ?/ দিগন্ত না চিনেই মিশে গেলো গোলার্ধে/ আরও অতলে, সুনিপুণ গভীরে—/ অন্ধকারে!’ (উত্তরপুরুষ/পৃ: ২৯)।
ইংরেজ কবি শেলী ছিলেন বেদনার সন্তান। তাই Skylark-পাখির কাছ থেকে চেয়েছিলেন অর্ধেক আনন্দ। একই অনুভব জীবনানন্দ পেয়েছিলেন ‘সিন্ধুসারস’-এর কাছ থেকে। তবে জীবনানন্দের ‘হায় চিল’-এর বেদনার সাথে ফাহাদের বেদনাকে কোনোভাবেই এক তুলাদণ্ডে মাপা যায় না। পৃথিবীর রাঙা রাজকন্যাদের মতো যে প্রেমিকা চলে যায়, তারই বিরহে জীবনানন্দের বেদনা চিল হয়ে আকাশে উড়ছে। এই বেদনা একান্ত ব্যক্তিগত। এটি কোনো সামষ্টিক জন-সমাজকে সংক্রামিত করে না। পক্ষান্তরে ফাহাদের বেদনার উৎস হলো ঘুণে ধরা নষ্ট সমাজ। এখানে ফাহাদ একা বেদনা ভারাক্রান্ত নন। এই বেদনায় আক্রান্ত হন সমাজের আরও অনেকেই। ফাহাদ কেবল তাদের পথ দেখান।
মানুষের বিবেকে পচন ধরেছে। মরে যাচ্ছে বিবেক। এই দৃশ্য প্রতিদিনের। এই নষ্ট সময় থেকে উত্তরণেরও আশা নেই। কারণ মানুষেরা হয়ে আছে নির্বাক। ফাহাদ অভিজ্ঞতা ও ভাবের পরিমিত রসায়নে এই দুর্বিসহ সময়ের চিত্র আঁকলেন স্বীয় দক্ষতায়।
‘বোধিশ্বর’ কবিতায় নৈরাজ্যকালীন বাংলাদেশের সংকট রূপায়িত করলেন সংযমিত কাব্য ভাষায়। এ সময়ে ধর্মীয় মৌলবাদের উত্থান ক্যানসারের মতো বিস্তার লাভ করে সমগ্র দেশে। ঈশ্বরের নামে অকারণে খুন করা হচ্ছে মানুষকে। সব দিকে ছড়িয়ে পড়ছে আগুন-সন্ত্রাস। মানুষের হৃদয়েও জ্বলছে আগুন। কারণ তারা বাকহীন বৃক্ষের মতো চুপ। তাদের প্রতিবাদের কোনো মন্ত্র নেই। মানুষের বিবেকে পচন ধরেছে। মরে যাচ্ছে বিবেক। এই দৃশ্য প্রতিদিনের। এই নষ্ট সময় থেকে উত্তরণেরও আশা নেই। কারণ মানুষেরা হয়ে আছে নির্বাক। ফাহাদ অভিজ্ঞতা ও ভাবের পরিমিত রসায়নে এই দুর্বিসহ সময়ের চিত্র আঁকলেন স্বীয় দক্ষতায়। ‘প্রতিদিন পাল্টে যাচ্ছে দৃশ্যপট, আগুন লাগছে-আগুন জ্বলছে/ আমাদের স্তব্ধতা থেকে বিস্তার নিয়ে ছড়িয়ে পড়ছে মানচিত্রে/ আগুন-আগুন!/ আমরা চুপ!’ (বোধিশ্বর/পৃ: ২৩)
ফাহাদের এই বোধ ছড়িয়ে পড়ে ‘ধাঁধা’ কবিতাতেও। তবে নগর জীবনে তিনি আর নির্বাক নন। তিনি সরব, প্রতিবাদী, মিছিলে-আন্দোলনে সক্রিয়। কিন্তু শত চিৎকার-কোলাহলে একা বলে এই নষ্ট সময়-স্রোতে নিজের পতন ঠেকাতে পারেন না। এই পতনেই বুঝতে পারেন আকাশ মস্ত বড়ো এক ধাঁধা। পরের কবিতা ‘শহর’-এ ফাহাদ ধাঁধার উত্তর অনুসন্ধানে প্রয়াসী হন। এই শহর, ঘরও তার কাছে বান্ধবহীন। ধাঁধা কবিতার একাকিত্ব এখনো কাটেনি। বরং এখানে চলছে এক অদ্ভূত প্রতিযোগিতা। সবাই যেন ঊর্ধ্ব পানে ছুটছে। আকাশ ছোঁয়ার অভিলাষে পুরো শহরটা যেন আঁধার, জলার্দ্র প্রহর, সরোবর, ছায়াবন ফেলে ছুটে যাচ্ছে। ফাহাদ তাদের উদ্দেশ্যে বলেন—‘ছুটছ কোথায় হে কোলাহল! শহর!/ আজন্ম মাটিতে নত আকাশ-বিনিদ্র আবাস।/ আর কিছু নাই, উড়ছ কোথায়!’ (শহর/পৃ: ৪৮)। শহর কবিতায় ফাহাদ বলছেন আকাশের কোনো বন্ধু নাই। অর্থাৎ আকাশও তার মতোই নিঃসঙ্গ। এই নিঃসঙ্গতার চূড়ান্ত রূপ দেখতে পাই ‘একা’ কবিতায়। এখানে তিনি প্রত্যাশা ও প্রার্থনায় কামনা করেন বৃক্ষজীবন। কেননা, তিনি ও তার ব্যাধিরা শতবর্ষী বৃক্ষের মতোই একা। ফাহাদ নিজেকে বৃক্ষ রূপকে প্রকাশ করার মধ্যে যে বেদনা-বিষণ্নতার ছায়া দেখি, এর উৎস কিন্তু নগর জীবনের তিমিরাচ্ছন্ন কাল থেকেই।
ফাহাদ একাধারে স্বাদেশিক সমাজ-রাষ্ট্রের অবক্ষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন—বিষাদ বেদনায় ভারাক্রান্ত, আবার বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট নিয়েও সচেতন। পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এন্টার্টিকার বরফ গলছে। সমুদ্রের জলের উচ্চতা বাড়ছে। বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে দূষিত কার্বন। মানুষের দোরগোড়ায় এসে গেছে অশনি সংকেত। এই দায়ভার কার? নিশ্চয় প্রযুক্তির অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার এর জন্য দায়ি। তাই ফাহাদ বলেন, উষ্ণতা বৃদ্ধির দায় হৃদয়ের নয়। অর্থাৎ কবি কেন সেই দায়ভার বহন করবে! তিনি লিখেন—‘নাসিকা দিয়ে কেবল কার্বন নয়, রক্তও বের হয় হাওয়ার মতন!/ দীর্ঘশ্বাস পরিমাপক যন্ত্র নেই বলে ব্যথার উত্তাপে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধির দায়/ হৃদয়ের নয় এখনও…’। (ছায়া মৃত্যু অথবা বিপন্ন শ্বাস/পৃ: ১১)।
ফাহাদ তার অগ্রবর্তী ভূমিকাকে আরও স্পষ্ট এবং প্রসারিত করে তোলেন ‘নিমন্ত্রণ’ কবিতায়। এখানেও তিনি বিনাশ বেদনায় ব্যথিত ও বিচলিত। বাণিজ্যের নামে ধ্বংস করা হচ্ছে অরণ্য-উদ্যান, উজাড় হচ্ছে বৃক্ষ, গ্রাস করা হচ্ছে ভূমি। এই সংকটকালে দাঁড়িয়ে ইতিহাস-ঐতিহ্যের দিকেও ফাহাদের দৃষ্টি পড়ে। তিনি দেখতে পান ধ্বংসপ্রাপ্ত তাম্রলিপি শাসনের নিদর্শন। যার দিকেও রয়েছে কতিপয় মানুষের লোলুপ দৃষ্টি। লোপ পাচ্ছে মানবিক অনুভূতি। তাই কেউ প্রসারিত করছে না হৃদয়ে হৃদয়ের হাত। অথচ তারা জানে এই আঘাত আসছে কোথা থেকে, সমাজের ক্ষত কোথায় এবং কোথায় ধরেছে ঘুণ। ফাহাদও অবগত। তাই দিন বদলের প্রত্যাশায় তিনি তাদের জানান নিমন্ত্রণ। ‘জরুরী নয় জয়োল্লাসে প্রথম হতে হবে/ সব হাত মিলে কণ্ঠের জোয়ারে আসে জয়…/ কেউ তবু আসো, কেউ আসুক-কণ্ঠে কণ্ঠ ভাসুক/ চিৎকারে,/ ওখান থেকেই আসবে দিন বদলের সংলাপ, সূর্যতাপ..’। (নিমন্ত্রণ/ পৃ: ১৫)।
‘সাজেক’, ‘পাখিদের এয়ারপোর্ট’, ‘তামাদি রোদের গেরস্থালি’ প্রভৃতি কবিতা প্রকৃতিমনস্ক হলেও শুনতে পাওয়া যায় ফাহাদের অন্তর বেদনার বাঁশি। ‘মোম’, ‘সন্তরণ’, ‘পোর্ট্রেট’, ‘বাজি’, ‘বিনীতা’, ‘প্রেমিক’, ‘অস্থিরতা’, ‘অশ্লীল আঁধার’, ‘অথচ’, ‘জাবর’, ‘আস্তরণ’, ‘নদীর নাম শারি’, ‘ডাক’ প্রভৃতি প্রেমের কবিতায় দেখা যায় বেদনার পোর্ট্রেট। মূলত ফাহাদ প্রেমে বিরহবাদী। তবে তিনি হেলাল হাফিজের মতো ‘বেদনাকে বলেছি আর কেঁদো না’ বলে সান্ত্বনা খোঁজেন না। ফাহাদ বিরহ জিইয়ে রাখেন।
‘জীবন বদল’, ‘বৈপরীত্য’, ‘আত্মপ্রকৃতি’, ‘সম্পর্কের ওয়াটারমার্ক’, ‘আপোস’, ‘কায়া’, ‘কবি বৃত্তান্ত’, ‘নিঃসঙ্গ’, ‘বায়োপিক’, ‘অহম’, ‘মাটির সংসার’, ‘স্মৃতিপাঠ’, ‘জলমগ্ন ছায়া’ প্রভৃতি কবিতাগুলোকে বলা যায় ফাহাদের আত্মদর্শনের ল্যাবরেটরি। ফাহাদ অক্ষরবৃত্ত ছন্দে বেশ স্বাচ্ছন্দ্য। ভাব, কল্পনা, চিত্রকল্প ও রূপকের সমাহারে ‘ঘর সব পালিয়ে যাচ্ছে বাড়ির ঠিকানায়’ কাব্যটি বাংলা সাহিত্যে এক বিশেষ মর্যাদা পাবার দাবী রাখতে পারে বলে আমার বিশ্বাস।
প্রকৃত অর্থে মহৎ কবিতাকে বলা যায় একটি জৈব শরীর। এর বিভিন্ন অবয়বের মধ্যে রয়েছে এক জটিল আন্তঃসংযোগ। এ জাতীয় কবিতার সম্পূর্ণ অর্থ হয় বেশ সমৃদ্ধ অর্থাৎ যাকে বলা যায় কবিতার ব্যঞ্জনা। অর্থসমৃদ্ধির কারণে এ জাতীয় কবিতা পাঠকের মনকে আকর্ষণ করে।
প্রকৃত অর্থে মহৎ কবিতাকে বলা যায় একটি জৈব শরীর। এর বিভিন্ন অবয়বের মধ্যে রয়েছে এক জটিল আন্তঃসংযোগ। এ জাতীয় কবিতার সম্পূর্ণ অর্থ হয় বেশ সমৃদ্ধ অর্থাৎ যাকে বলা যায় কবিতার ব্যঞ্জনা। অর্থসমৃদ্ধির কারণে এ জাতীয় কবিতা পাঠকের মনকে আকর্ষণ করে। এতে বিভিন্ন পাঠকের কাছে কবিতার অর্থেরও প্রসার ঘটে। এ গ্রন্থের কবিতাগুলোতেও রয়েছে পাঠক আকর্ষণের বিবিধ উপাদান। কবির কাজ হলো পাঠককে ভাবনার রসদ যোগানো। কবিতার রস আস্বাদন করেই পাঠক উন্মিলীত করতে পারে তার ভাবচক্ষু। তখন পাঠক আর স্রেফ পাঠক থাকেন না। তিনিও কবির সাথে উড়াল দিতে পারেন ভাবজগতের অসীমত্বে। আমার মনে হয় এই অর্থে কবির দক্ষতা ও কবিতার সার্থকতার বিচার অমূলক নয়। সেই অর্থে কবিতার নির্মিতিতে ফাহাদকে দক্ষ ও ছান্দসিক কবিদের তালিকায় স্থান দেয়া যায়। একটি দৃষ্টান্ত দিলে বিষয়টি আরও প্রঞ্জাল হবে। ‘একটা সন্ধ্যাঠোঁট রাতের চিবুক ছোঁবে বলে আমাদের আঁধার চেনায়!/ কেবল রাত জানে কতটা দ্রুত ফেরি করে এসেছি সময় ও ঘুম!/ আর ফিরতেই জীবনকে পেরিয়ে যেতে দেখেছি এইসব তারার আকাশ…’ (দ্বৈত জীবনের নৈঋত কথা/ পৃ: ৮)।
পৃথিবীর অর্ধেক রাত, অর্ধেক দিন। মানব সমাজেও আছে শুভ-অশুভ আর আলো-আঁধারের খেলা। এরই মধ্য থেকে ঘটে ফাহাদের উত্তরণ। বোধের ব্যাকরণ খুলে পাঠ করেন পৃথিবীকে। এখানে যা কিছু একান্ত নিজের বলে অনুভব করেন সেটিই তার ঘর। কিন্তু এই ঘর কোনো স্থাপত্য নকশার মতো স্থবির নয়। তাদের প্রাণ আছে, তারা সচল। তারা ছুটে যাচ্ছে আপন ঠিকানায়। কেবল এক ভগ্ন নাগরিক দুপুর দাঁড়িয়ে থাকে। যেখান থেকে উড়ে আসছে ফাহাদের বিপন্ন শ্বাস।
আমার এই রচনাটি গ্রন্থের পূর্ণাঙ্গ আলোচনা নয়। আমি কেবল ফাহাদের কালিক চেতনার অন্ধকার সময়টুকুকে বিশ্লেষণের চেষ্টা করেছি মাত্র, যা তার মনচৈতন্যে দিয়ে গেছে আশা-নিরাশা ও বিষণ্নতার দোলা। ফাহাদের এই নগর চেতনাকে তুলনা দেওয়া যায় শামসুর রাহমানের সমকাল চেতনার সাথে।
লেখক, প্রাবন্ধিক ও গবেষক।