১.
একটি পবিত্রতাহীন মিথস্ক্রিয়া
গড়িয়ে পড়ছে শুদ্ধ প্রতিক্রিয়ার ভেতর
আর, গাছে-গাছে প্রদর্শিত হচ্ছে গন্ধ-বায়োস্কোপ
যৌনশিসের সতত-বার্তা
পবিত্র ধারণা কখনই নিরপেক্ষ নয়
এটা স্রেফ প্রজননবিদ্যা, লীলাকুঞ্জের গণিত-জ্ঞান
বাতাসে হাঁটছে তোড়া-তোড়া জন্ম-জিনের তিয়াসা
গন্ধদম্পতির উষ্ণ অশ্বের খুরের গুঁড়ো
ফিসফিসিয়ে উঠছে বাগানতলা, জলের দানা, আহা,
অনুভূতিগুলো গন্ধযাত্রার অনুশাসন নিচ্ছে
২.
শুধু এই শ্বাসগাছ
মাটি ফুঁড়ে উঠে আসা জীবন-সৈনিক—
হাওয়ার অস্ত্রহাতে আমাকে হাওয়া দিচ্ছে
বুকের পাতায় দুলে-দুলে উঠি
কোথায় লুকিয়ে আছে জৈব-অনুগ্রহ
ফুল ও পাতার পাঠ্যক্রম
পর্দার আড়ালে খেলা ব্যঞ্জনার ভাষা!
এই ভাষা, মৃত্তিকার দিকে সেজদার মতো মনে হয়
৩.
বিষণ্ন ও লিকলিকে সবুজ দেখছি—
বুঝি, বহুদিন চুমু নেই পৃথিবীতে
লাভ কি, চুম্বনহীন এ-বাগান থেকে!
চোখের পুস্তক ভর্তি বিধানের যতিচিহ্ন, যতিচিহ্ন…
মালিক, উপড়ে ফেল সব
বহুদিন চুমু নেই পৃথিবীতে…
৪.
থলে ভর্তি জল তুলে দেব বাগানের চারাগাছে
কারণ, মানুষ বাগান-সন্ধানী
সামনে, দ্বিধার কাচ খুলে আমাকে দেখছে বেঢপ মহিলা
জিভের আঙুলে তার চাকু নেচে ওঠে
তোমার বাগানে ছেড়ে দিচ্ছি ভ্রমণের মাছি :
রাত্রিতে পাঁচিল ভেঙে দেখি, চাঁদ-ডাল পড়েছে নদীতে
জলের ছুরিকা কেটে যাচ্ছে ঢলঢলে চাঁদফল
আমি হো-হো হি-হি হাসি শুনছি চাঁদের
বাগানের ফুলগুলো আমার ঔষধ
নিঃস্বতার প্রয়োজনে নিঃস্বরা বাগানে আসে!
৫.
চাঁদের রাখাল হয়ে তাড়িয়েছি একপাল চাঁদ
আমারও একদিন লোকগান ছিল
জানি, এ-হৃদয় সংক্রামক ও সংকেতবাহী
গেয়ে ওঠে— ’মন কান্দে, রাখাল বন্ধুরে’…
মূলত নব্বই দশকে কয়েকবছর কবিতা লিখে ছেড়ে দিয়েছিলেন। লিখেছিলেন দ্রষ্টব্য, প্রান্ত, একবিংশ, অহ্ন— এসব লিটলম্যাগে। কবিতার টানেই ফের ফিরে আসা। একটা কবিতা পুস্তিকা ২০২০ বইমেলায় বের হয়েছে ‘কথানহর’ নামে। কবিতা ছাড়া অন্য কোনো ভাবনাও নেই। নিজেকে গুটিয়ে রাখতে পছন্দ করেন। খুলনায় বসবাস। জন্ম লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে।