শুক্রবার, অক্টোবর ১৮

বেগম রোকেয়ার ‘পদ্মরাগ’, একটি পর্যালোচনা : আসেফ আব্দুল্লাহ

0

‘রোকেয়া ছিলেন আমূল নারীবাদী, কিন্তু তিনি জানতেন তিনি পৃথিবীর এক বর্বর পিতৃতন্ত্রের অন্তর্ভুক্ত, তাঁকে বিদ্রোহ করতে হবে ওই বর্বরতাকে স্বীকার করেই।’ কথাগুলো হুমায়ূন আজাদের। যিনি অপ্রিয় সত্যি বলতে ছিলেন এক নির্ভীক লেখক।

রোকেয়া সাখাওয়াৎ হোসেন জন্মেছিলেন ১৮৮০ সালে রংপুর জেলার পায়রাবন্দ গ্রামে, এক জমিদার পরিবারে। লেখক হিসেবে গল্প-কবিতা-উপন্যাসের মধ্যে দিয়ে তিনি আত্মপ্রকাশ করেছেন, সংগঠক হিসাবে রোকেয়া স্কুল প্রতিষ্ঠা, নারীর কল্যাণে সংগঠন প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে এসেছিলেন। সেসময় একজন নারী হয়ে এমন কাজ করা অনেক কঠিন বিষয় ছিল। বাঙালি, বাঙালি-মুসলমান, নারীশিক্ষা, নারীজাগরণ তাঁর কর্মকাণ্ডের মূলভূমি হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। বাংলা সাহিত্যেও তার অবদান অনেক।

বেগম রোকেয়ার গদ্য কিংবা প্রবন্ধ নিয়ে অনেক আলোচনা হলেও তাঁর উপন্যাস ‘পদ্মরাগ’ নিয়ে তেমন আলোচনা-সমালোচনা নেই। পদ্মরাগ একটি পুরদস্তুর সামাজিক উপন্যাস যেটিতে নারীবাদ মুখ্য ভূমিকায় রয়েছে।

এ উপন্যাসটিতে রোকেয়ার শিক্ষা বিষয়ে বক্তব্য ও দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় বিশেষভাবে পাওয়া যায়, যদিও এ উপন্যাসে তার অন্যান্য বিবেচনা ও মতামত বিভিন্ন চরিত্রের মধ্যে দিয়ে ফুটে উঠেছে। নারীদের তৎকালীন সামাজিক সমস্যা তুলে ধরেছেন বিভিন্ন চরিত্রের মাধ্যমে। ১৯০২ সালে রোকেয়া রচনা করেছিলেন ‘পদ্মরাগ’ নামের এই উপন্যাস। যদিও গ্রন্থাকারে সেটি প্রকাশ পেয়েছিল অনেক বছর পরে, ১৯২৪ সালে। পদ্মরাগ উপন্যাসের পরিচ্ছেদ সংখ্যা ২৮টি। আবার প্রতিটি পরিচ্ছেদের আলাদা আলাদা আকর্ষণীয় শিরোনাম রয়েছে। সাধু ভাষায় লেখা এই উপন্যাসে রোকেয়ার অন্যান্য রচনার মতো মাঝে মাঝে ছন্দোবদ্ধ কবিতাও ব্যবহৃত হয়েছে। উপন্যাসটিতে সামাজিক চিত্রপটের সাথে রয়েছে প্রেমের অনভূতি, তবে এখানেও তিনি একটা বিশেষ ধর্মভিত্তিক প্রচলিত রীতিনীতি ও সংস্কার তুলে ধরেছেন।

নারীকেন্দ্রিক এই সামাজিক উপন্যাসের কেন্দ্র ‘তারিণী-ভবন’। এই ভবনকে কেন্দ্র করে উপন্যাসের ঘটনা ও নায়ক-নায়িকার চরিত্র ফুটে উঠেছে। উঠে এসেছে তৎকালীন সমাজের প্রচলিত নারীশিক্ষা ব্যাবস্থা, অপধর্ম ও কুসংস্কারের কবলে পড়া মেয়েদের দুঃখ, দুর্দশা।

নারীকেন্দ্রিক এই সামাজিক উপন্যাসের কেন্দ্র ‘তারিণী-ভবন’। এই ভবনকে কেন্দ্র করে উপন্যাসের ঘটনা ও নায়ক-নায়িকার চরিত্র ফুটে উঠেছে। উঠে এসেছে তৎকালীন সমাজের প্রচলিত নারীশিক্ষা ব্যাবস্থা, অপধর্ম ও কুসংস্কারের কবলে পড়া মেয়েদের দুঃখ, দুর্দশা। ‘তারিণী-ভবন’ লেখিকার নিছক কল্পনার সৃষ্টি নয়। তার ব্যক্তিগত জীবনের আর্দশও এই ‘তারিণী-ভবন’ এবং সেই জন্যই আদর্শ, শিক্ষা ও কর্মপদ্ধতি সম্বন্ধে তিনি যে আলোচনা করেছেন, তা নিখুঁত ও সুন্দর এবং তৎকালীন সময়ের সাথে অত্যন্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ।

‘গঙ্গাস্নান’ করে পবিত্র হওয়া আবহমানকাল ধরে হিন্দু ধর্মালম্বীদের বিশ্বাস। এ বিশ্বাসের খবর অসাম্প্রদায়িক বেগম রোকেয়ার জানা ছিল বলেই সপ্তম পরিচ্ছেদে লিখেছেন— “‘তারিণী-ভবন’ গঙ্গা— ইহাতে এক ডুব দিলেই সকলে পবিত্র হইয়া যায়।’ গঙ্গাস্নানের সাথে সেবাশ্রমকে তুলনা করে লৌকিক জীবনবোধের জয়গান গেয়েছেন।

রোকেয়ার সময়টা ছিল নারীর জন্য এক অন্ধকার যুগ। এ অন্ধকার শিক্ষাহীনতার; যেখানে নারীরা ছিলেন অন্যতম লক্ষ্যমাত্রা। রোকেয়ার জানা ছিল না, গুরু-শিক্ষক কেমন হয়। তবুও তিনি স্ব ও সুশিক্ষিত হয়েছিলেন। এরকম একজন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বঞ্চিত মানুষের জন্য ‘পদ্মরাগ’ উপন্যাস রচনা করা অভাবনীয় প্রতিভা ছাড়া আর কিছু হতে পারে না।

‘পদ্মরাগ’ উপন্যাসটি আত্মজৈবনিক হিসেবে বিবেচিত হতে পারে, দীনতারিণী ও পদ্মরাগ প্রধান চরিত্র দুটির মাধ্যমে বেগম রোকেয়া তার জীবন ও জীবনাদর্শ পাঠকের সামনে উন্মুক্ত করেছেন।

‘পদ্মরাগ’ উপন্যাসের প্রধান চরিত্র জয়নব ওরফে আয়েশা সিদ্দিকা বিয়ে-পরবর্তী করুণ নির্মমতার শিকার। উপন্যাসের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী জয়নব চরিত্রটির নাম হয় সিদ্দিকা এবং উপন্যাসে এই নামেই চরিত্রটির সম্বোধন সবচেয়ে বেশি করা হয়। পরে ‘তারিণী ভবনে’ দীনতারিণী তার নাম দেন ‘পদ্মরাগ’। সেই থেকে উপন্যাসের নামকরণ।

উপন্যাসটিতে সিদ্দিকাকে রহস্যময় এক নারী হিসেবে দেখা যায়, পরে কাহিনি এগোনোর সাথে সাথে চরিত্রটির গুরুত্ব উপলব্ধি করা যায়। সিদ্দিকা গভীরভাবে ভালোবেসেছিল ব্যারিস্টার লতিফ আলমাসকে। তখন লতিফের সঙ্গে তার বিয়ে হয়ে গিয়েছিল, একটি বিশেষ ধর্মীয় রীতিতে বিয়ে; যেখানে বর-কনের দেখা হয় না। পরে তারিণী ভবনে লতিফ আলমাসের সঙ্গে দেখা হয়েছিল সিদ্দিকার। সিদ্দিকা কিছুদিনের মধ্যেই লতিফের আসল পরিচয় জেনে গেছিলেন যে ইনিই তার স্বামী। কিন্তু কিছু ভুলবোঝাবুঝির কারণে তাদের বিয়েটা আগে সম্পূর্ণতা লাভ করেনি; অপরদিকে লতিফ বড়োদের কথায় রাজি হয়ে অন্যত্র বিয়ে করায় সিদ্দিকার মনে অভিমান জন্মেছিল। তাই সে আর লতিফকে ধরা দেয়নি; অন্যদিকে লতিফের মনে সিদ্দিকার প্রতি ভালোবাসা জন্মিয়েছিল। লতিফ সেসময় তারিণী ভবনের একজন অন্যতম শুভাকাঙ্ক্ষী হয়ে উঠেছিলেন। তারিণী ভবনের সবার সাথে তার সখ্য গড়ে উঠেছিল, স্নেহের ভাতৃ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল কিন্তু সিদ্দিকা তাকে অবহেলায় ফেলে রাখত। শেষে তাঁরা উভয়েই নিজেদের প্রকৃত পরিচয় জেনেছিলেন কিন্তু সিদ্দিকা লতিফ আলমাসের সাথে মিলনে অসম্মতি জানান। সিদ্দিকা নিজের সুখ বিসর্জন দিয়ে নারীদের জন্য জীবন উৎসর্গ করতে চান বলে লতিফকে নিজের পথ দেখতে বলেন। সিদ্দিকা সংসার ত্যাগ করবে বলে সিদ্ধান্ত নেন। এখানে সিদ্দিকার মধ্যে একটি নারীবাদী সত্ত্বার প্রতিফলন স্পষ্ট। বেগম রোকেয়া তার সিদ্দিকা চরিত্র দিয়ে এই নরীবাদ পাঠকের মধ্যে প্রসারে সফল। কারণ এই সিদ্দিকা চরিত্রটিকে এমনভাবে তিনি নির্মাণ করেছেন যার ফলে যেকোনো পাঠক চরিত্রটির সাথে একাত্মতা বোধ করতে পারবে। সিদ্দিকা আর লতিফ আলমাসের মধ্যে কাহিনির নাটকীয়তা পাঠকের জন্য বেশ আবেগপ্রবণ বলে মনে হতে পারে; তবে সমগ্র উপন্যাস বিচারে এটা সার্থক। এই নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে লেখিকা তার পাঠক-আকর্ষক লেখনশৈলীর পরিচয় দিয়েছেন।

অপরদিকে লতিফ বড়োদের কথায় রাজি হয়ে অন্যত্র বিয়ে করায় সিদ্দিকার মনে অভিমান জন্মেছিল। তাই সে আর লতিফকে ধরা দেয়নি; অন্যদিকে লতিফের মনে সিদ্দিকার প্রতি ভালোবাসা জন্মিয়েছিল। লতিফ সেসময় তারিণী ভবনের একজন অন্যতম শুভাকাঙ্ক্ষী হয়ে উঠেছিলেন। তারিণী ভবনের সবার সাথে তার সখ্য গড়ে উঠেছিল, স্নেহের ভাতৃ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল কিন্তু সিদ্দিকা তাকে অবহেলায় ফেলে রাখত। শেষে তাঁরা উভয়েই নিজেদের প্রকৃত পরিচয় জেনেছিলেন কিন্তু সিদ্দিকা লতিফ আলমাসের সাথে মিলনে অসম্মতি জানান।

কিন্তু এটাই উপন্যাসের মূল উপজীব্য নয়। কার্যত সিদ্দিকার মধ্য দিয়ে যে চরিত্র রোকেয়া এঁকেছেন, সেটি তাঁর নিজের দৃষ্টিভঙ্গি। নিজেকে সিদ্দিকার জায়গায় রেখে সমাজের কলুষতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন। আয়েশা সিদ্দিকা এক নতুন নারী; কিন্তু তাঁর সংসারত্যাগের সিদ্ধান্ত তৎকালীন ভদ্রমহিলাদের বিশ্বাসের বিপরীতে এক ভিন্ন চরিত্র। পুরুষতান্ত্রিক সমাজের অমানবিকতার বিপরীতে নারীর দ্বারা পরিচালিত এক প্রতিবাদী বিকল্প সমাজের কল্পনা তিনি করেছেন।

উপন্যাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল ‘তারিণী ভবন’। মূলত তারিণী-ভবন সংসারের চিত্র নয়, সংসার থেকে পালানো মেয়েদের ছবি। চরিত্রদের স্মৃতিচারণায় যে সংসার-চিত্র পাওয়া যায় তার মধ্যে প্রচলিত ধর্মীয় আচার-বিচার বা রান্না খাওয়ার কথা নেই। তার বদলে রয়েছে মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের জটিলতার কথা। তারিণী-ভবন এমন এক জায়গা, যেখানে নেই ধর্মীয় বিধিনিষেধ। তারিণী-ভবনে প্রধান কর্মীদের মধ্যে চারুবালা, সৌদামিনী, হেলেন, জাফরি, সাকিনা, রসিকা, ঊষা প্রমুখরাও স্বামীর বিশ্বাসঘাতকতা বা নির্দয়তার শিকার। তাদের বিষাক্ত তিক্ত অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে রোকেয়া তৎকালীন নারীদের ওপর বিভিন্ন সহিংসতা ও নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরেছেন।

উপন্যাসের চতুর্থ পরিচ্ছেদ ‘তারিণী-ভবন’ অধ্যায়ে—‘ছাত্রীদিগকে দুই পাতা পড়িতে শিখাইয়া বিশ্ব-বিদ্যালয়ের ছাঁচে ঢালিয়া বিলাসিতার পুত্তলিকা গঠিত করা হয় না। বিজ্ঞান, সাহিত্য, ভূগোল, খগোল, ইতিহাস, অঙ্কশাস্ত্র— সবই শিক্ষা দেওয়া হয় কিন্তু শিক্ষার প্রণালী ভিন্ন। মিথ্যা ইতিহাসে কণ্ঠস্থ করাইয়া তাহাদিগকে নিজের দেশ এবং দেশবাসীকে ঘৃণা করিতে শিক্ষা দেওয়া হয় না। নীতিশিক্ষা, ধর্ম্মশিক্ষা, চরিত্র-গঠন প্রভৃতি বিষয়ে অধিক মনোযোগ দান করা হয়। বালিকাদিগকে অতি উচ্চ আর্দশের সুকন্যা, সুগৃহিণী ও সুমাতা হইতে এবং দেশ ও ধর্ম্মকে প্রাণের অধিক ভালবাসিতে শিক্ষা দেওয়া হয়। বিশেষতঃ তাহারা আত্ম-নির্ভরশীলা হয় এবং ভবিষ্যৎ-জীবনে যেন কাষ্ঠপুত্তলিকাবৎ পিতা, ভ্রাতা বা স্বামী-পুত্রের গলগ্রহ না হয়, এ বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি রাখা হয়।’

এখানে রোকেয়ার সমকালে নারীর শিক্ষার ধরন ও শিক্ষার সামাজিক প্রেক্ষাপটে ভূমিকা কেমন ছিল তা তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি নারীদের জন্য কেমন শিক্ষা চাইতেন সে বিষয়েও স্পষ্ট বলা হয়েছে। নারীশিক্ষা যে কতটা জরুরি তা এই উপন্যাসে স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

তিনি শুধু নারী অধিকারের প্রশ্নেই আটকে থাকেননি; বরং ধর্ম-বর্ণের বিভেদের দেয়ালে হানা দিয়েছেন ‘পদ্মরাগ’ উপন্যাসের মাধ্যমে। নারী-পুরুষকে পৃথক করে ফেলার অবস্থান থেকেও সরে এসেছেন বেগম রোকেয়া। তিনি জোর দিয়েছেন ব্যাক্তি স্বাতন্ত্র্যে। ফেমিনিজম মুভমেন্টের থার্ড ওয়েভ এর মূল বিষয়গুলোর একটি ব্যাক্তি স্বকীয়তা, ব্যাক্তি স্বাতন্ত্র্য। অবাক করা বিষয় এই থার্ড ওয়েভ ফেমিনিজমের সময়কাল ১৯৯০-২০১০। কিন্তু আমাদের উপমহাদেশের এক প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বঞ্চিত, পুরুষতান্ত্রিকতার স্বীকার নারী যে এই ধারণা পোষণ করতেন তা ‘পদ্মরাগ’ পাঠ না করলে আমার জানা হত না।

সর্বোপরি নারী-পুরুষের সম্পর্কে মানবিক প্রেম দেখানো হয়েছে, যেখানে চাপিয়ে দেওয়া কোনো সম্পর্কের বোঝা থাকবে না। এটা এই উপন্যাসের একটি বড়ো সফলতা।‌

‘পদ্মরাগ’ গ্রন্থের অন্য একটি গুরুত্ব আছে, এ গ্রন্থে একজন মুসলিম লেখিকা হিসেবে মুসলিম সমাজের অন্তঃস্থিত অন্ধকারকে স্পষ্টভাবে উচ্চারণ করেছেন, এতে রয়েছে অসাম্প্রদায়িকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তারিণী ভবনকে কেন্দ্র করে ঈশান কম্পাউন্ডারের ভাষায়, ‘হিন্দু-মুসলিম ব্রাহ্ম-খ্রিষ্টান একই মাতৃগর্ভজাত’। এতে দেখানো হয়েছে, প্রকৃত শিক্ষার মধ্যে সম্প্রদায়জ্ঞান থাকে না। জ্ঞানের আলোয় কূপমণ্ডূকতা দূর করতে পারে নারী।

আমাদের বর্তমান সমাজের প্রেক্ষাপটে পদ্মরাগ এখনো প্রাসঙ্গিক। এখানে লুকিয়ে আছে নারীর সমস্যা, অসাম্প্রদায়িকতা আর পুরুষতান্ত্রিকতার সমাধান। সমাজের তৎকালীন নারীদের শিক্ষা, অবস্থা আর অসহায়ত্ব বোঝার জন্য ‘পদ্মরাগ’ এখনো দরকার। বেগম রোকেয়ার সমাজ-ভাবনা, নারী শিক্ষার প্রয়াস ও বেগম রোকেয়ার জীবনী সম্বন্ধে জানতে হলেও ‘পদ্মরাগ’ অবশ্যই পাঠ্য।

শেয়ার করুন

লেখক পরিচিতি

পদ্মাপাড়ের রাজশাহীতে কোনো এক সালের ২৪ শে ফেব্রুয়ারি বসন্তের স্নিগ্ধ সকালে লেখকের জন্ম। লিটল ম্যাগাজিন ‘গৈল্পিক’ এর মাধ্যমে লেখকের গল্পকার সত্ত্বার প্রথম প্রকাশ ঘটে। ভালো লাগে ঘুরেবেড়াতে, বাগান করতে এবং নতুন জিনিস জানতে। কর্মজীবনে একজন ছাত্র, সুযোগ পেলে গল্পে মানবজীবনের ছবি আঁকেন।

error: আপনার আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় ।