এমন একটি বৃহৎ আঙ্গিকের কবিতা-সংকলন সম্পাদন শেষে প্রকাশ করতে পারাটা মোটেও সহজ কাজ নয়। শিল্পের প্রতি তুমুলতিয়াসা যার আছে, তার পক্ষেই কেবল এমন শ্রমসাধ্য কাজ সম্পাদন করা সম্ভব। বিগত ৫০ বছরে বাংলা কবিতার এমন সুনির্বাচিত কাব্যসংকলন প্রকাশ পেয়েছে কি না আমার জানা নেই। অবশ্য সম্পাদক এটিকে ‘রবীন্দ্রনাথের নোবেল পাওয়ার পর বাংলা কবিতার সবচেয়ে বড়ো ঘটনা’ হিসেবেও অভিহিত করেছেন। এমন সাহসী মন্তব্যের সত্যতা যাচাইকল্পে সংখ্যাটি আমি সংগ্রহ করেছি। পাঠান্তে মনে হলো, এই মন্তব্য মোটেও অতিশয়োক্তি নয়।
এক ভাষা, এক সংস্কৃতি উৎস— একটি রাষ্ট্র ও অন্যটি একটি রাষ্ট্রের মধ্যে রাজ্য। রবীন্দ্রনাথ বা নজরুল এই দুই দেশেরই নিজের কবি। তবু গত পঞ্চাশ বছরের দুই দেশের সংস্কৃতিটা ভিন্ন।
হ্যাঁ, কবি-সম্পাদক আলী আফজাল খান সম্পাদিত ‘বাংলাবিশ্ব কবিতাসংখ্যা’র কথা বলছি। ১ হাজার ৩২ পৃষ্ঠার বৃহৎ কলেবরের এই বিশেষ কবিতাসংখ্যা সমকালীন বাংলা কবিতার ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে। সমসময়ে তো বটে, আগামীতে বাংলা কবিতার শুলুকসন্ধানে পাঠক এই সংখ্যাটির দ্বারস্থ হবেন সন্দেহ নেই। কবিতাসংকলনের উপদেষ্টা সম্পাদকমণ্ডলির দায়িত্বে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের কবি প্রবাল কুমার বসু এবং কবি ভাস্কর চৌধুরী। এই বিশেষ সংখ্যাটি প্রকাশের নেপথ্যগল্প জানা যাবে প্রবালকুমার বসুর ‘ভাবনার নেপথ্যে’। তাঁর লেখায় ‘বাংলাবিশ্ব কবিতাসংখ্যা’র মূল্যায়ন :
‘এক ভাষা, এক সংস্কৃতি উৎস— একটি রাষ্ট্র ও অন্যটি একটি রাষ্ট্রের মধ্যে রাজ্য। রবীন্দ্রনাথ বা নজরুল এই দুই দেশেরই নিজের কবি। তবু গত পঞ্চাশ বছরের দুই দেশের সংস্কৃতিটা ভিন্ন। আর সেই ভিন্ন সংস্কৃতি, যার অন্যতম বৈশিষ্ট্য রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিকাঠামো, দুই-ই ধরা পড়েছে বাংলা কাব্যভাষায়, কবিতায়। পাশাপাশি দুই নদীর মতো বয়ে গেছে দুই দেশের একই ভাষার কবিতা। এই দুই ধারাকে একত্রিত করে একটি ঐতিহাসিক ও প্রশংসার কাজ করল ‘ভিন্নচোখ’, বাংলা কবিতা নিয়ে এরকম বিপুলায়তন, সুশোভন সংকলন আমার আগে চোখে পড়েনি। হয়তো কেউ ভাবেনও নি। এই সংকলনটি দীর্ঘসময় বাংলা কবিতার পাঠকদের অনিবার্য আশ্রয় হয়ে থাকবে এমনটাই আমার বিশ্বাস।’
বাংলাদেশের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এ বছরটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এদেশের জনগণ উদযাপন করছে যথাক্রমে ‘স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর’ এবং স্বাধীনতার স্থপতি ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ’। সম্পাদক আলী আফজাল খান ঐতিহাসিক এই মাহেন্দ্রক্ষণে ‘বাংলাবিশ্ব কবিতাসংখ্যা’ প্রকাশ করে বাংলা কাব্যসাহিত্যের ইতিহাসে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর উদযাপন করলেন। কবিতাপ্রেমিদের জন্য এই সংকলন অসাধারণ শৈল্পিক উপহার বৈকি। বিশেষ সংখ্যাটি উৎসর্গ করা হয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি। এই প্রসঙ্গে সম্পাদকের ভাষ্য প্রণিধানযোগ্য :
‘…ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠে, শুধু মাতৃভাষার ও জাতিসত্তার মর্যাদা রক্ষায় রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে একটি আধুনিক রাষ্ট্রের জন্ম, এ ঘটনা তো বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। যাঁর নেতৃত্বে এই অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে, তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। চলছে এই মহান বিশ্বনেতার জন্মশতবর্ষ উদযাপন, মুজিববর্ষে ভিন্নচোখের এই সংখ্যা তাঁকে উৎসর্গ করে আমরা সম্মানিত বোধ করছি।’
‘…ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠে, শুধু মাতৃভাষার ও জাতিসত্তার মর্যাদা রক্ষায় রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে একটি আধুনিক রাষ্ট্রের জন্ম, এ ঘটনা তো বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। যাঁর নেতৃত্বে এই অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে, তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। চলছে এই মহান বিশ্বনেতার জন্মশতবর্ষ উদযাপন, মুজিববর্ষে ভিন্নচোখের এই সংখ্যা তাঁকে উৎসর্গ করে আমরা সম্মানিত বোধ করছি।’
‘ভিন্নচোখ’-এর প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল ২০০১ সালের ১০ আগস্ট। সেই হিসেব মতে, ‘ভিন্নচোখ’-এর পথচলার ২০ বছর পূর্ণ হলো। একটি সাহিত্যপত্রিকা ২০ বছর ধরে সদর্পে অগ্রসরমান থাকা মোটেও সহজ কথা নয়। এটা কেবল সম্পাদকের একাগ্র শিল্পপ্রেমের জন্যেই সম্ভব হয়েছে। সম্পাদকের ভাষ্যমতে, বর্তমান সংখ্যাটি ‘ভিন্নচোখ’-এর ২০ বছর পূর্তি সংখ্যাও বটে। ‘ভিন্নচোখ’-এর এই বিশেষসংখ্যাটি প্রকাশমাত্র পৃথিবীর নানাপ্রান্তের বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কাছে বেশ প্রশংসিত হয়েছে। অনেকেই এই সংখ্যা নিয়ে নিজ নিজ মতামত জানিয়েছেন। সবার প্রতিক্রিয়া নিয়ে সম্পাদক চাইলে স্বতন্ত্র একটি ‘প্রতিক্রিয়া সংখ্যা’ও প্রকাশ করতে পারেন। কারণ এসব মূল্যায়ন এবং মতামত নিশ্চয় প্রসঙ্গের বাইরে নয়। এসব ‘ভিন্নচোখ বাংলাবিশ্ব কবিতাসংখ্যা’র ঐতিহাসিক শিল্পস্তম্ভের সৌন্দর্য।
এতক্ষণ ‘ভিন্নচোখ বাংলাবিশ্ব কবিতাসংখ্যা’ সম্পর্কে উচ্চমার্গীয় মন্তব্যে নিশ্চয় আমাদের মনে প্রশ্ন জেগেছে— কী আছে এই সংকলনে? কাদের লেখা এখানে সূচিবদ্ধ হয়েছে? এরকম কবিতাসংখ্যা হরহামেশাই তো হতে দেখা যায়। তবে এর অভিনবত্ব কোথায়? কবি-সম্পাদক আলী আফজাল খান সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলা কবিতাকে পর্যবেক্ষণ করতে চেয়েছেন। সংকলনের মতোই এই সংখ্যার সম্পাদকীয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। পাঠক নিশ্চয় খেয়াল করবেন, সংকলনে কবিতা-নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাঁর নির্মোহ মনোভঙ্গি স্পষ্ট। এটা ঠিক, বাছাই কিংবা নির্বাচন করার ব্যাপারটি সর্বাংশে প্রশ্নাতীত কিংবা শতভাগ নিরপেক্ষ হওয়া সম্ভব নয়। তবে ‘ভিন্নচোখ’ এই ক্ষেত্রে দারুণ সচেতনতার প্রমাণ রেখেছে। প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় সম্পাদকীয় থেকে কিয়দংশ উদ্ধৃত করা যেতে পারে :
‘শব্দ ও রঙের যুগলবন্দিতে ভিন্নমাত্রায় হাজির হলো ভিন্নচোখ আবার। এই সংখ্যা ভিন্নচোখের ২০ বছর পূর্তি সংখ্যা। বাংলা ভাষার জীবিত প্রতিনিধিত্বশীল কবি যাঁদের আছে বাংলা কবিতায় নিজস্ব কণ্ঠস্বর ও স্বাক্ষর, তাঁদের মধ্যে ১০০ জন কবির জীবনী, কবিতাভাবনা ও একগুচ্ছ কবিতা নিয়ে পয়দা হইল ‘বাংলাবিশ্ব কবিতাসংখ্যা’। এতে প্রতিটি কবির কবিতাজগৎ অনেকখানি পরিষ্কার হয়ে উঠবে এবং বাংলা কবিতার প্রবহমান রক্তস্রোতের পালস ধরা পড়বে। কইতে পারি সংখ্যাটা বাংলা কবিতার ভং, ভঙ্গি ও ভাস্বরতার নানামুখী চলতি প্রবণতার হাইলাইটস অথবা ফ্যাশন, ফেইথ অ্যান্ড ফ্যান্টাসি। এ সংকলনের কালসীমা আমরা নির্ধারণ করছি শূন্য দশক পর্যন্ত। কারণ, এর পরবর্তী সময়ের কবিতা এখনো আকার পাওয়ার পথে। যুগলবন্দিতে কবিদের পোর্ট্রেট আঁকছেন ৬টি দেশের বরেণ্য ৭৩ জন চিত্রশিল্পী। অধিকাংশ কবিই তাঁদের স্বনির্বাচিত সেরা/পছন্দের কবিতাগুলো দিয়েছেন, অগ্রজদের কেউ কেউ সময় দিতে পারেননি, অনুমতিক্রমে তাঁদের কবিতাসমগ্র বা শ্রেষ্ঠ কবিতা থেকে কবিতা বেছে নেওয়া হয়েছে। অনেকে সময়ের অভাবে, আবার কেউ কেউ মনে করেন, তাঁদের কবিতাই কবিতাভাবনা, তাঁরা কবিতাভাবনা পাঠাননি। কবিদের ক্রমবিন্যাস করা হয়েছে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে।’
‘শব্দ ও রঙের যুগলবন্দিতে ভিন্নমাত্রায় হাজির হলো ভিন্নচোখ আবার। এই সংখ্যা ভিন্নচোখের ২০ বছর পূর্তি সংখ্যা। বাংলা ভাষার জীবিত প্রতিনিধিত্বশীল কবি যাঁদের আছে বাংলা কবিতায় নিজস্ব কণ্ঠস্বর ও স্বাক্ষর, তাঁদের মধ্যে ১০০ জন কবির জীবনী, কবিতাভাবনা ও একগুচ্ছ কবিতা নিয়ে পয়দা হইল ‘বাংলাবিশ্ব কবিতাসংখ্যা’। এতে প্রতিটি কবির কবিতাজগৎ অনেকখানি পরিষ্কার হয়ে উঠবে এবং বাংলা কবিতার প্রবহমান রক্তস্রোতের পালস ধরা পড়বে। কইতে পারি সংখ্যাটা বাংলা কবিতার ভং, ভঙ্গি ও ভাস্বরতার নানামুখী চলতি প্রবণতার হাইলাইটস অথবা ফ্যাশন, ফেইথ অ্যান্ড ফ্যান্টাসি।
গ্রন্থে সর্বমোট একশ দু’জন কবির প্রায় দেড় হাজার কবিতা স্থান পেয়েছে। আমি এখনও সব কবিতা পড়ে শেষ করতে পারিনি। তবে যতটুকু পড়েছি তার বিবেচনায় বলা যায়, ‘ভিন্নচোখ বাংলাবিশ্ব কবিতাসংখ্যা’য় যথার্থ কবিতার যথাযথ সন্নিবেশ ঘটেছে। গ্রন্থটি পড়তে গিয়ে বুদ্ধদেব বসু ও হুমায়ুন আজাদ সম্পাদিত ‘আধুনিক বাংলা কবিতা’ সংকলনের কথা মনে পড়ে। বোধকরি ‘বাংলাবিশ্ব কবিতাসংখ্যা’ও আগামীতে কাব্যপাঠকের কাছে অনুরূপ গুরুত্বপূর্ণ সংকলন হিসেবে উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হবে।
কিংবদন্তি চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ড্রইং উপজীব্য করে সংকলনের নান্দনিক প্রচ্ছদ করেছেন শিল্পী ধ্রুব এষ। যাদের আন্তরিক প্রয়াসে এই সংকলন, তারা হলেন— শিল্প সম্পাদক বিকাশ আনন্দ সেতু, শিল্প উপদেষ্টা উত্তম ঘোষ, সহ-সম্পাদক যথাক্রমে অনন্যা ব্যানার্জি, মাহফুজ পাঠক ও মলয় দত্ত। গ্রন্থে কবিদের নির্বাচিত সেরা কবিতাগুচ্ছ সন্নিবেশিত হয়েছে। সন্দেহ নেই, কবিতা পড়ার পাশাপাশি কবিদের নিজস্ব কাব্যভাবনা পড়ে পাঠক আন্দোলিত হবেন। কবিদের জীবনবৃত্তান্ত এবং গ্রন্থতালিকাও এতে যুক্ত হয়েছে। অর্থাৎ এই সংকলন পাঠের মধ্যে দিয়ে পাঠক একজন কবি সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাবেন। যদিও জীবিত গুরুত্বপূর্ণ কবিদের কবিতা নিয়ে এই আয়োজন। তবে পরিতাপের বিষয়, কবিতা জমা দিয়ে সংখ্যাটি প্রকাশের আগেই মৃত্যুবরণ করেছেন নবনীতা দেবসেন, পার্থপ্রতিম কাঞ্জিলাল ও অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত। গ্রন্থের শুরুতেই সম্পাদক তাঁদের বাছাই করা গুচ্ছকবিতা প্রকাশ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। সংকলনগ্রন্থে বাংলাদেশ অংশের ভূমিকা লেখার কথা ছিল অধ্যাপক আনিসুজ্জামান স্যারের। কিন্তু মৃত্যুজনিত কারণে তা আর হয়নি।
সর্বোপরি, বাংলা কবিতার বাঁকবদলের ইতিহাসে ‘ভিন্নচোখ বাংলাবিশ্ব কবিতাসংখ্যা’ একটি বিশেষ ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হবে এই প্রত্যাশা রাখি। কেবল অবয়বে নয়; সুনির্বাচিত কবিতার সুসমন্বয়ে কবিতাসংখ্যাটি হয়েছে অনন্য। এই সুযোগে সম্পাদক আলী আফজাল খান এবং ‘ভিন্নচোখ’ টিমকে অভিনন্দন জানাই। এমন ঐতিহাসিক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রেখে আমিও ইতিহাসের অংশ হলাম।
জন্ম ১ মার্চ ১৯৮৫। শাহরাস্তি, চাঁদপুর। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং উচ্চতর এম. ফিল. (২০১৪) ডিগ্রি অর্জন করেছেন। একাডেমিক কৃতিত্বের জন্য পেয়েছেন ‘নিপ্পন ফাউন্ডেশন অব জাপান’ (২০০৬) শিক্ষাবৃত্তি। ২০১৯ সালে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ‘সার্ক সাহিত্য সম্মেলন’ এবং ‘নেপাল আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন’-এ যোগদান করেন। সম্পাদনা করেছেন (যৌথ) লিটল ম্যাগাজিন ‘অক্ষৌহিণী’। ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ‘পোয়েম ভেইন বাংলা’। লেখালেখির স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন ‘রউফিয়ান রিদম সাহিত্য সম্মাননা-২০১৬’ ‘উচ্ছ্বাস প্রহর সাহিত্য সম্মাননা-২০১৯’ এবং ‘সমতটের কাগজ লেখক সম্মাননা-২০২০’।
বর্তমানে ‘বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ’ (রাইফেলস কলেজ, বিজিবি সদর, পিলখানা, ঢাকা)- এ বাংলা বিষয়ে অধ্যাপনায় নিয়োজিত আছেন। প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ: কাব্যগ্রন্থ:১. ‘অচঞ্চল জলের ভিতর নিরাকার বসে’ (২০১৭); ‘আঙুলের ডগায় সূর্যোদয় (২০১৮); ‘বিচঞ্চল বৃষ্টিবিহার’ (২০২০)। প্রবন্ধগ্রন্থ: ‘শামসুর রাহমানের কবিতা: নগর-চেতনা ও নাগরিক অনুষঙ্গ’ (২০১৫); ‘শিল্পের করতালিi’ (২০১৯); ‘শামসুর রাহমানের কাব্যস্বর’ (২০২১)। ভ্রমণগ্রন্থ: ভ্রমণে অবাক অবগাহন (২০২১)।