তোমার অভিমান
তোমার অভিমান
যেন
কাঠবাদামের
প্রগাঢ় সবুজ।
আমি
বিচলিত
হতে হতে
মুগ্ধ হই।
তোমার অভিমান
যেন
আকাশ কালো করে আসা
ভীষণ ঝড়
ত
ছ
ন
ছ
করবে সব।
কিন্তু হঠাৎ শান্ত সমুদ্দুর ।
বিলম্বিত ভোর
কোনো এক বিলম্বিত ভোরে
আমারও পেতে ইচ্ছে করে
আকাঙ্ক্ষিত আস্বাদ।
জিহবায় আমিও পেতে চাই
নোনা স্বাদ, বারবার বহুবার।
বদ্বীপে ছোট্ট ঘাসের বনে
হরিণের মতো নাক ঘষে ঘষে
আমিও নিশ্বাসে নেব ঘাসের গন্ধ।
তারপর মেঘে মেঘে বহুদিন
নতুন চর নতুন ঘাস
তারপর গাছ জন্মে বন।
বহুবছর পরের কোনো ভোরে
নতুন করে বেঁচে ওঠা।
ছুট দাগ
প্রায় অস্তিত্বহীন হয়ে আছি
যেন মাঠ পর্চার ছুট দাগ
হিসাবে আছি নকশায় নেই।
কোনো দিন গা ম্যাজম্যাজ করলে টের পাই
বেঁচে আছি। আহা! বেঁচে আছি।
কী দারুণ এই বেঁচে থাকা।
একা শিরীষ
একদিন
খুনি হতে চেয়েছিলাম ।
এখন
আহত ক্ষোভ নিয়ে
মাঠের মাঝে
শিরীষ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকি।
রোদ তাতিয়ে দেয়,
বৃষ্টি ভিজিয়ে দেয়
হাওয়া দুলিয়ে দেয়
তবুও দাঁড়িয়ে থাকি।
মৌণ,
………. বিষণ্ন,
……………… একা।
ভালোবাসলে জড়িয়ে থাকতে হয়
ভর বৃষ্টিতে
মায়া হরিণেরা আর্তনাদ করে,
তীব্র চিৎকারে চরাচরকে বিষাদগ্রস্ত করে
খুঁজে নেয় প্রিয়তম সঙ্গী।
ভরা বর্ষায়,
বিষাদে আমাদেরও মন ভার হয়
সঙ্গীর কথা খুব মনে পড়ে,
হরিণের মতো সুতীব্র চিৎকারে
হাহাকার জানান দেয়া হয় না।
তোমাকে চাই, চাই।
সুতীব্র এই চাওয়া
এই আকুলতা জানানো হয় না
হরিণেরাও কখনো মানুষের চেয়ে পারঙ্গম—
গাছ কিংবা মানুষ যাই হোক,
ভালোবাসলেই জড়িয়ে থাকতে হয়।
ভালোবাসি, তবুও জড়িয়ে থাকা হয় না।
না গাছ, না মানুষ।
কবিতা লিখছেন বহুবছর ধরেই। তার কবিতার বিষয় মানুষ, প্রকৃতি, প্রেম এবং সম্পর্ক। আদ্যপান্ত কবি বলেই পেশাগত এবং ব্যক্তিগত বিপুল ব্যস্ততার মাঝেও তিনি এড়াতে পারেননি কবিতা লেখার তাগিদ। ছাত্র জীবন থেকেই চিন্তায়, মননে ছিলেন মানুষ ও প্রকৃতির মুক্তিতে নিবেদিতপ্রাণ। প্রকাশিত কবিতার বই ‘উষ্ণতার গণিত’।